মা : লক্ষী সোনা চাঁদের কনা থাকে ঘুমের ঘোরে
মা বলছে ঘুমিয়ে পড়ো উঠতে হবে ভোরে।
সোনা : এইতো সবে রাত হলো;ঘুম পাড়িয়ে দাও
হীরক নামে যে রাজা ছিল সে গল্প শোনাও।
মা : অনেক হলো গল্প শোনা এবার চোখ বন্ধ
দুষ্টুমি করলে আমি কিন্তু ঠিক পাবো গন্ধ।
সোনা : আমি কি তোমার দুষ্ট সোনা কি যে বলো তুমি
ঠিক আছে বলবো না কথা ডাকো যদি চুমি।
মা : জানি জানি হয়েছে কিসে সোনার এত্তো মান
গল্প শেষ এবার তবে গাইতে হবে গান।
সোনা : সেই গানটা সেই..... গান, শেষ বায়না রাখো
যে গানে মা মধুমাখা কণ্ঠে সোনা বলে ডাকো।
মা : এটাই তবে শেষ হবে আর নয় বায়না
“ঘুমের দেশে রাজা বেশে আয় সোনা আয় না। ”(সুরে)
সোনা : কখন যে মা ঘুমিয়ে গেছি চোখে যত কালো (ঘুমের মাঝে বিড়বিড় করছে। )
ঘুম নয় মা..কেন বোঝ না জেগে থাকা ভালো।
ঘুমের ঘোরে দেখি কত বিশ্রি পরীর মুখ
তুমি ছাড়া আর কিছুতে পাই না আমি সুখ।
কোথায় তুমি লক্ষী মা এই ঘুম ভেঙ্গে দাও
সোনা বলে সোনা কে তোমার বুকে টেনে নাও।
(হঠাৎ পরীর আবির্ভাব। )
পরী : তা কি করে হয় এসেছো মোদের এই দেশে
রাজ্য পাবে রাজকন্যা, থাকবে রাজার বেশে।
মিঠাই মন্ডা হীরে মানিক যত তুমি চাও
আমিই তোমার রানী হবো রাজ্য তুমি নাও।
সোনা : আমি তোমায় চিনি তুমি পরীর দেশে রানী
আমার দেশ সেরা দেশ সেরা বলেই মানি।
তুমি আমায় পাবে না শোন আমার আছে মা
সেই আমার রাজ্য হীরে যার নেই তুলনা।
পরী : তোমার দেশ আমার হবে যদি আমি চাই
আমার দেশে অনেক আছে ওই দেশে নাই।
তোমার মা কে আনবো, হবে এথা রাজ মাতা
ওই দেশে আর কিবা আছে; আছে ছিঁড়া কাঁথা।
সোনা : শোন রে পরী দুষ্ট নারী মুখে লাগাম টানো
আমার দেশের মুক্তিসেনা নাম কিগো জানো।
সব পারি সইতে পারি না মা’র অপমান
মায়েরই জন্য দিতে পারি, নিতে পারি জান।
পরী : জানি এসব গপ্প শুধু নাটক হতে পারে
ঘুমের ঘোরে কতজনে রাজা উজির মারে।
এত্তো যদি বীর পুরুষ আমার সাথে লড়ো
এই রাজ্য জয় করো না হয় এবার মরো।
সোনা : মরণে ভয় করি নাকো দেখো বুকের ছাতি
আছে কত রয়েল বেঙ্গল আর আছে হাতি।
ঠিক আছে তাই হবে এসো; যুদ্ধ তবে হোক
দেখিয়ে দেবো শক্তি যত আমি বাংলার লোক।
(পরীর সাথে যুদ্ধ)
পরী : উত্তর থেকে এসো বায়ু দেক্ষিনে যত ঝড়
ধ্বংস করো তারে আঁছড়ে পড়ো ওর উপর।
সোনা : সাথে আছে মায়ের দোয়া বুকে আছে আল্লা
হবে জয় নিশ্চয় রবে মান, কে দেবে পাল্লা।
এসো এসো লক্ষী মা, যুদ্ধে পাশে এসে দাঁড়াও
আমি লড়ছি দেশের তরে তুমি যাহা চাও।
(পরীর পরাজয়। )
পরী : ভুল হয়েছে ক্ষমা করো মোরে করি মিনতি
মা আছে যার, তার শক্তিতে নাই কমতি।
মেনে নিলাম পরাজয় তুমি দামাল ছেলে
আমিও হতাম মহারাজা ওই মাকে পেলে।
এই দেশ তুমি নিয়ে নাও যুদ্ধ-চুক্তি মতে
যেতে চাই সাথে যদি নাও ওই মেঠো পথে।
তোমার সাথে মায়ের কোলে এই মাথা রেখে
কাটিয়ে দেবো এই জীবন বাংলা মাকে দেখে।
সোনা : বেশ! তাই হবে সাথে নিয়ে যাবো তোমায়
সবাই মোরা সুখে রবো ওই মা’র বাংলায়।
বিদায় এবার তবে যাও ভোর হয়ে এলো
একটু পরেই মা এসে বলবে আঁখি মেলো।
(মা’র আগমন)
মা : ওঠো ওঠো লক্ষী সোনা অনেক হয়েছে ঘুম
পাড়াময় পড়ে গেছে সোনার পড়ার ধুম।
সোনা : আর একটু ঘুমাতে দাও যুদ্ধ হলো আজ
আমার মাথায় দেখো পরীর দেশের তাজ।
মা : বুঝেছি আমি স্বপ্নে তুমি দেশ করেছো জয়
লেখা পড়া করলে সোনা বাস্তবে সেটি হয়।
সোনা : তবে মাগো রাজা হবো সেই রাজ্যে রবে সুখ
বুকের মাঝে রাখবো বেঁধে লক্ষী মা’র মুখ।
রচনাকালbr /> শুরু : ২৩.০৫.১২
সকাল : ৮টা ২০ মিনিট
সমাপ্ত : সকাল ১১টা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।