সারা দুনিয়ায় ধনী দেশের সংখ্যা আছে অনেক, সেই সাথে আছে দরিদ্র দেশ যাদের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী উন্নত জীবনের আশায় সেই সব উন্নত দেশে পাড়ি দিতে চায়, ইউরোপ,আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া আর এশিয়ার গুটিকয়েক দেশ। তবে যেদেশে যত সুবিধাই থাকুক না কেন, অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে আপন হতে পারে চারটি দেশ- অস্ট্রেলিয়া/নিউজি ল্যান্ড/ কানাডা আর আমেরিকা। কারন সহজ – এই চারটী দেশ গড়েই উঠেছে অভিবাসীদের দিয়ে, এখানে একমাত্র গুটীকয়েক আদিবাসী ছাড়া আর সবাই অভিবাসী। আর পক্ষান্তরে ইউরোপ বা জাপান আমাদের বাংলাদেশের মত প্রাচীন বাসিন্দা দের, অখানে জনসংখ্যার নিম্মহার আর বিপুল শ্রমিকচাহিদার কারনে ওরা বহিরাগতদের গ্রহন করে নিলেও আপন করে নেই নি কখনই। সেটা কে না জানে।
তবে ইউএস, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড আর কানাদার মধ্যে কানাডা আর অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে হালের ক্রেজ। কারণ তুলনামুলক ভাবে যাওয়া সহজ, দ্রুত নাগরিকত্ত পাওয়া যায়। তবে কানাডা আর অউস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কোনটা বেটার??
আবহাওয়াঃ কানাডা অনেক ঠান্ডা আর বরফ পড়ে, অস্ট্রেলিয়া উষ্ণ আর রোদ্রজ্জল। কানাডার ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরের জনয় ভাল,রোগজীবানু বাসা বাধে কম,অদিকে অস্ট্রেলিয়ার উষ্ণতা আর সূর্যালোক পর্যটনের জনইয় দারুন।
নাগরিক সুবিধাঃ কানাডায় মেডিকাল ফ্রি, কিন্তু ট্যাক্স থেকে কেটে রাখে, অস্ট্রেলিয়া ফি দেয়া লাগে।
ইকনমিঃ কানাডার টা বেশী আমেরিকা নির্ভর আর অস্ট্রেলিয়ার টা এশিয়া।
যোগাযোগঃ কানাডা গেলে একটা কথা মনে রাখেতে হবে তিন কি চার বছরে একবার দেশে আস্তে পারবেন। কারন কানাডা বাংলাদেশ থেকে একেবারে অপর প্রান্তে। আর অস্ট্রেলিয়া একেবারে এশিয়ার পাশেই।
পর্যটনঃ অনেকেই মুভি দেখে অস্ট্রেলিয়াকে কানাডার থেকে সুন্দর মনে করেন।
কিন্তু মনে রাখবেন কানাডাও কম সুন্দর নয়। অস্ট্রেলিয়ার আসল সৌন্দর্য এর সী বিচ গুলা। কিন্তু কানাডায় আছে অগণিত লেক, নদী আর ফরেস্ট যা খুব ই স্নিগ্ধ আর মনোমুগ্ধকর।
খাবারঃ অস্ট্রেলিয়ায় দাম একটু কম,তবে শোনাকথা, অস্ট্রেলিয়া তে টেস্ট ও বেশী।
নাগরিকত্তঃ আপনি যদি এখন ই ইমিগ্রান্ট হয়ে কানাডা যান, তবে আজ থেকে তিন ইয়ার পর কানাডিয়ান পাসপোর্ট পাবেন।
আর অস্ট্রেলিয়া গেলে থাকা লাগবে পাচবছর, তারপর পাবেন পাসপোর্ট।
আরো অনেক কিছুই আছে। এবার আপ্নারাই বলুন কোনটা বেটার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।