কানাডা হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং শীতলতম দেশ। 'কানাডা' নামটি সম্ভবত এসেছে সেন্ট লরেন্স ইরোকোয়াইয়ান শব্দ 'কানাটা' থেকে, যার অর্থ 'জেলেদের ক্ষুদ্র গ্রাম' বা বসতি। ১৫৩৫ সালের দিকে, বর্তমান ক্যুবেক শহরের বসবাসকারীরা অভিযাত্রী জ্যাক কার্তিয়ারকে স্টেইডাকোনা গ্রামের দিকে পথ-নির্দশনের সুবিধার্থে শব্দটি ব্যবহার করেছিল। কার্তিয়ার 'কানাডা' শব্দটি ব্যবহার করেছিল শুধু গ্রামটি চিহ্নিত করতেই নয়, বরং গ্রাম্য-প্রধান ডোন্নাকোনা সম্পর্কিত সব কিছু নির্দেশ করতে। ১৫৪৫ সাল নাগাদ, ইউরোপের বই এবং মানচিত্রে এই অঞ্চলকে 'কানাডা' হিসেবে নির্দেশিত করা শুরু হয়।
১৫তম শতকের শুরুতে ইংরেজ এবং ফরাসি অভিযাত্রীরা আটলান্টিক উপকূল আবিষ্কার করে এবং পরে বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ফ্রান্স দীর্ঘ সাত বছরের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলস্বরূপ ১৭৬৩ সালে উত্তর আমেরিকায় তাদের সব উপনিবাস ইংরেজদের কাছে ছেড়ে দেয়। ১৮৬৭ সালে, মৈত্রী চুক্তির মধ্য দিয়ে চারটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ নিয়ে দেশ হিসেবে কানাডা গঠন করা হয়। এর ফলে আরও প্রদেশ এবং অঞ্চল যোগের পথ সুগম এবং ইংল্যান্ড থেকে স্বায়ত্তশাসন পাওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। ১৯৮২ সালে জারিকৃত কানাডা অ্যাক্ট অনুসারে, ১০টি প্রদেশ এবং তিনটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত কানাডা সংসদীয় গণতন্ত্র এবং আইনগত রাজ্যতন্ত্র উভয়ই মেনে চলে।
রাষ্ট্রের প্রধান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। কানাডা দ্বিভাষিক (ইংরেজি ও ফরাসি ভাষা দুটোই সরকারি ভাষা) এবং বহু কৃষ্টির দেশ।
কানাডার জলবায়ুতে গ্রীষ্মকালে হালকা ভ্যাঁপসা ঠাণ্ডা, ভেজা কুয়াশা (কিছু সময় গরম রৌদ্র সম্পন্ন)। এ দেশে রাশিয়ার জলবায়ুর মতো শৈত্যপূর্ণ এবং হিমশীতল। দেশটি বছরে আট মাস বরফাচ্ছন্ন থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।