আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেকারি খাতে বড় ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে

অনুতাপ নিপীড়িত ব্যাথিত জনের শক্তিধরে অস্ত্রধারী শত সিপাহের অজপাড়াগাঁ থেকে শুরু করে সদরঘাট, কমলাপুর কিংবা মতিঝিলের অফিসপাড়া—সর্বত্রই সমান জনপ্রিয় চা-বিস্কুট কিংবা পাউরুটি-কলা। ক্ষুধা নিবারণ ও আড্ডায় সঙ্গ দেওয়া বিস্কুট-পাউরুটি ছাড়াও হস্তচালিত বেকারিপণ্য উৎপাদনে জড়িয়ে আছে বহু মানুষের জীবন-জীবিকা। প্রয়োজন আরও দক্ষ ও অদক্ষ লোকবল। ব্যবসায়ীরা জানান, সক্ষমতা সত্ত্বেও বিস্কুট, পাউরুটি ও বেকারিপণ্যের মোট চাহিদার মাত্র ৭০ শতাংশ জোগান দিচ্ছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান। উন্নত মানের পণ্য প্রস্তুত করলেও শুধু লোকবলের সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।

প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সহায়তামূলক ব্যবস্থা নিয়ে সরকার এগিয়ে এলে এ খাতে অনেক বেকার লোকের কর্মসংস্থান সম্ভব বলে দাবি করেন তাঁরা। বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির বর্তমানে সদস্য আছে তিন হাজার। এর বাইরেও সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আরও প্রায় চার হাজার প্রতিষ্ঠান। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে পাবনা, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে হস্তচালিত বেকারিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ব্র্যান্ডের বিস্কুট ও পাউরুটির চাহিদা অনেক বেড়েছে।

জাতীয় ছাড়াও অনেক আঞ্চলিক ব্র্যান্ডের পণ্যসমাগ্রী আছে। তবে এখনো ব্র্যান্ডবিহীন পণ্যই এগিয়ে। কারণ বিপুল চাহিদা। অবশ্য এর পরও উচ্চ শুল্ক দিয়ে বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে বেকারিপণ্য আসছে। একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, উদ্যোক্তাদের নিজস্ব প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে উৎপাদনের বিষয়টি নিশ্চিত করায় দেশীয় হস্তজাত বেকারিপণ্যের মান অনেকটা উন্নত হয়েছে।

সমিতি থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে মোড়কজাতকরণের ওপর জোর দেওয়ায় অপচয় কমেছে। ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, বছরে এ খাতে কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। সমিতির নেতাদের দাবি, বর্তমানে সারা দেশে খাতটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ লাখ মানুষ জড়িত। বিজ্ঞাপন দিয়ে গত এক বছরে ১০ হাজার অশিক্ষিত ও অদক্ষ বেকার লোকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন তাঁরা। এখন প্রতিবছর কমপক্ষে আরও ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করা সম্ভব।

Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।