প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করলেন নিশাত মজুমদার৷ বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় নিশাত এম এ মুহিতের সঙ্গে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন৷ প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করলেন নিশাত মজুমদার৷ বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এভারেস্ট চূড়ায় তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান৷ এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আরেক এভারেস্ট জয়ী এম এ মুহিত, যিনি এর আগেও একবার এভারেস্ট জয় করেছিলেন৷ দুজন'ই বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের সদস্য৷ বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক বলেন, শেরপার কাছ থেকে জানতে পেরেছি, সকাল সাড়ে ৯টায় নিশাত মজুমদার এম এ মুহিতের সঙ্গে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেছেন৷ ভাইয়ের দ্বিতীয় দফা এভারেস্ট জয়ের খবরে উল্লসিত মুহিতের বোন সাংবাদিক রাবেয়া বেবী৷ তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে এখনো ভাইয়ার যোগাযোগ না হলেও এএমটিসি'র পক্ষ থেকে সকালে তাদের এভারেস্ট জয়ের খবর দেওয়া হয়েছে৷ আমাদের পরিবারের প্রত্যেকেই খুবই খুশি, আমরা ভাইয়ার জন্য গর্বিত৷ সুস্থ দেহে মুহিত দেশে ফিরে আসবেন এমনটি প্রত্যাশা করছেন ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার রাবেয়া৷ এদিকে প্রথম বাংলাদেশি নারী নিশাত মজুমদারের এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ ব্যবসায়ী বাবা আবদুল মান্নান মজুমদার ও গৃহিণী মা আশুরা মজুমদারের চার সন্তানের মধ্যে নিশাত দ্বিতীয়৷ তার জন্ম ১৯৮১ সালে লক্ষ্মীপুরে৷ থাকেন ঢাকার পান্থপথে ভাড়া বাসায়৷ নিশাত ফার্মগেটের বটমূলী হোম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন৷ বর্তমানে তিনি ঢাকা ওয়াসায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত৷ বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট জয়ী নিশাত ২০০৩ সালে এভারেস্ট বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া কেওক্রাডং জয় করেন৷ ২০০৬ সালের মার্চে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বিএমটিসি আয়োজিত বাংলাদেশের নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে ফের কেওক্রাডং চূড়ায় ওঠেন তিনি৷ একই বছরের সেপ্টেম্বরে বিএমটিসি আয়োজিত নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে তিনি এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্রেকিংয়ে অংশ নেন৷ এরপর ২০০৭ সালের মে মাসে বিএমটিসির অর্থায়নে দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে হিমালয়ের মেরা পর্বতশৃঙ্গ জয় করেন নিশাত মজুমদার৷ এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে পরের বছরের মে মাসে হিমালয়ের সিঙ্গুচুলি পর্বতশৃঙ্গে ওঠেন৷ নিশাত ২০০৯ সালের এপ্রিলে পৃথিবীর পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ মাকালুতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অভিযানে অংশ নেন৷ গতবছরের অক্টোবরে বিএমটিসি আয়োজিত হিমালয়ের চেকিগো নামের একটি শৃঙ্গেও সফল অভিযানে যান নিশাত৷ এর আগে ২০১০ সালের ২৩ মে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন মুসা ইব্রাহিম৷ এরপর ২০১১ সালের ২১ মে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন এম এ মুহিত৷ লিংকটি এখানে...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।