আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রচন্ড গরমে সুস্থতা!!!

......... প্রচন্ড গরমে জীবন অতিষ্ট। দুপুরের প্রখর রোদে শরীর জ্বলে যাবার উপক্রম। কিন্তু জিবীকার প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরুতেই হয়। আর বাইরে বেরুলেই ঘামে ভিজে শরীরে সৃষ্টি হয় অস্বস্তিকর অবস্থার। ঘামের ফলে শরীর থেকে এই লবণ ও পানি বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের রক্তচাপও কমে যেতে থাকে।

সেই সঙ্গে প্রস্রাবের পরিমাণও কমে যেতে থাকে। পাশাপাশি অবসাদ এসে শরীরে ভর করে। সবকিছু মিলিয়ে এক পর্যায়ে গরমের কারণে কোনো ব্যক্তি জ্ঞান হারাতে পারেন। শুধু তাই নয় প্রচন্ড গরমের ফলে হতে পারে হিটস্ট্রোক। হিটস্ট্রোক হলে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়, এমনকি এ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

গরমের কারণে সৃষ্ট নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ও এ সময় সুস্থ থাকতে কিছু করণীয় বিষয় রয়েছে। সেগুলো হলো- -প্রচন্ড গরমে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বেরুনোই ভালো। আর দিনের মধ্যাহ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ। -এ সময় আঁটসাট কাপড় না পড়ে ঢিলেঢালা কাপড় পড়া আরামদায়ক। -বাইরে একান্তই যেতে হলে ছাতা ব্যবহার করা উচিৎ।

-প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিৎ। সাথে সব সময় মিনারেল ওয়াটার রাখুন। -হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠান্ডা জায়গায় নেয়া উচিৎ। -হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির গায়ে সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি স্প্র্রে কিংবা ঢেলে শরীর ভিজিয়ে দিতে হবে। -হিটস্ট্রোক একটি মেডিকেল ইমারজেন্সি।

হিটস্ট্রোকে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো খুবই জরুরি। -ঘামাচির সমস্যা হলে দিনে কয়েকবার গোসল করা ভালো। - ঘামাচিতে লাল ভাব দেখা দিলে কিছুদিন কিউরল অয়েন্টমেন্ট দিনে ২ বার করে ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যেতে পারে। -ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে প্রতিদিন গোসল করতে হবে আর প্রতিদিনের কাপড় প্রতিদিন বদলাতে হবে।

- ডিওডোরেন্ট, এন্টি পারস্পপিরেন্ট স্প্রে/বার/লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। -অতিরিক্ত গরমে অনেক সময় হজমে সমস্যা হয়। তাই সাধারণ খাবার, যেমন—ভাত, মাছ, ডাল, ভর্তা ইত্যাদি খাওয়াই ভালো। সুত্র  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।