খুজে ফিরি আমি আলোর ঠিকানা। বহুকাল আগে বাংলাদেশের মতই এক রাজ্য ছিল। তবে সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো সেই রাজ্যের চালক কোন রাজা ছিলনা বরং ছিল ৮ বছর বয়সী এক কিশোরী। কিন্তু খুকি হলে কি হবে তার ছিল ভিষন ক্ষমতার দাপট। যা বলে তা সে করেই ছারে এমন এক অবস্থা।
তবে রাজ্যের কিছু বুদ্ধিসমপন্ন জনগন চায় তারা যেন এই খুকী যেন ক্ষমতায় না থাকে। কারন হলো একেতো বাচ্চা মেয়ে নিজে কি বলে আর কি করে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। আর ২য় হলো তার একঘেয়েমি। কিন্তু তাতে খুকীর কিচ্ছু যায় আসেনা। যে দিব্যি তার নিজের মন মত এলো পাথারি রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
এমনি করেই দিন কাটছিল।
একদিন খুকী রাজ্য ভ্রমনে বের হয়েছিল। ভ্রমন প্রাক্কালে সে রাস্তায় হঠাৎ এক অদ্ভুদ জিনিস দেখলেন। দেখলেন ক্ষেতে এক বয়স্ক লোক একটা ছাগলের সাথে কি যেন বিড় বিড় করে বলছিল। এটা খুকীর ভিষন মজা লাগল এবং সে তার উপদেষ্টাকে বলল,”দেখছেন লোকটার কি অদ্ভুদ ক্ষমতা! বোবা প্রানীর সাথে দিব্যি কথা বলেই যাচ্ছে।
আমি একে তাই আমার রাজ্যের যোগাযোগ মন্ত্রী বানাবো। কারন তার যোগাযোগ করার ক্ষমতা অসাধারন!” যেই কথা সেই কাজ। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল নতুন এই মন্তীর নাম বাবু চীরঞ্জীত।
এভাবেই লোকটি রাতারাতি বিশাল ক্ষমতার অধিকারী বনে গেল। কিছুদিনের মধ্যেই চীরঞ্জতের সাথে তার কর্মীদের সাথে ভাল সম্পর্ক হয়ে গেল।
রাজ্যচলাকালে হঠাৎ এক পেয়াদা একদিন রানীর কাছে অভিযোগ দাখিল করল যে রাতে চীরনঞ্জীত রাজ কোষাগারের দেয়াল চাপায় আহত হয়েছে। এতে উপস্থিত সবার মাঝে গুঞ্জন রটে গেল যে রাজকোষাগার থেকে যোগাযোগ দপ্তর প্রায় ২ক্রোশ দুরে অথচ রাতে কি করে সে সেখানে গিয়ে আহত হলেন। সবারই পরিষ্কার ধারনা হয়ে গিয়েছিল বেটা আসলে চুরি করতে সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু খুখীর ভয়ে কেও কিচ্ছু বললোনা। কারন চীরন্ঞ্জীত খুকীর ভিষন প্রিয় কারন তার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে ছাগলের সাথে কথা বলার।
তাই চীরঞ্জীত রাণীর নির্দেষ মত কিছুদিন গা ঢাকা দিল। যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিল, ”আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমান করে আাবর ফিরে আসবো। ”
এদিকে সারা রাজ্যের সবাই যেনে গেল চুরি করতে গিয়ে বাবু চীরঞ্জীত ধরা খেয়েছিল। কিন্তু খুকীরতো তাতে বিশ্বাস হয় না। সে তাই নিজের এর বিচার কাজ শুরু করল।
প্রথমেই রাজ পেয়াদাকে খবর পাঠানো হলো সে ঘটনার সাক্ষী। কিন্তু সারা রাজ্যেও তার কোন সন্ধান মিললনা। মানে তিনি সেইদিনই গুম হয়ে গিয়েছে।
যাই হোক কোষাগারের দারোয়ানকে ডাকা হল। সে বলল যে আমি জানিনা খিভাবে কি হয়েছে কিন্তু উনাকে আমি দেয়াল চাপায় কাৎরাতে শুনেছিলাম।
এই কথা শুনে রাণী তেলে বেগুনে জ্বলে গেল। রাণী বলল”কি দরজা আমাদের যে শুধু শুধুই ভেংগে যায়?কে এই দরজা বানিয়েছে আগে তার বিচার হবে। ” এক দিন পর সেই রাজমিস্ত্রী আসল এবং বলল ”রাণীসাহেবা আমার কোন দোষ নেই। যে বালু দিয়েছিল সে চুরি করেছিল তাই ভেংগে গেছে। ” রাণীর নির্দেশে তার দুদিন পর সেই বালু ব্যবসায়ীকে খুজে পাওয়া গেল।
সেও এসে যা বলল, ” রাণী সাহেবা আমার কোন দোষ নেই যার কাছে ওজন মাপার যন্ত্র কিনেছিলাম তার দোষ। ” এবার খোঁজ পাঠানো হল সেই যন্ত্র ব্যবসায়ীর। এভাবেই একের পর এক লোক আসতে আসতে মানুষ চীরঞ্জীতের ঘটনাগুলো আস্তে আস্তে ভুলে যেতে শুরু করল।
শেষে রাণী প্রমান করলেন যে দোষ আসলে সে বেটা রাজ পেয়াদারই। সেই চুরি করতে গিয়ে সব দোষ চীরঞ্জীত বাবুর ঘারে চাপাতে চেয়েছিল।
অতএব প্রমানিত হলো যে চীরঞ্জীত নিতান্তই ছলনার শিকার মাত্র।
এর কিছুদিন পর চীরঞ্জীত রাজ্যের গন্যমান্য ব্যক্তিদের ডেকে পাঠালেন আর সবাইকে সরবে বলতে লাগলেন,”দেখেছেন আমার রাণীর সচ্ছ বিচারে আমি নির্দোষ প্রমানিত হয়েছি। রাণী আবার সত্যের জয় প্রতিষ্ঠা করলেন। জয় রাণীসাহেবার জয়। ”তিনি রাজ্যের অতিথীদের আরোও বললেন,”আমার মত এত সৎ মানুষকে এখন রাণীসাহেবা যদি আবার যোগাযোগ মন্ত্রী বানায় তবে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কষ্ট করে আমাকে সেই দায়িত্ব নিতেই হবে।
”
আসলেই চোরের মার বড় গলা!!!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।