আমাদের সুধী ব্লগারদের কেউ পোস্ট করেছিলেন এমআরপির (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। ওদিকে আমার পুরোনো পাসপোর্টটার পাতাও শেষ হয়ে আসছিল, ভাবলুম নতুন একটা নিয়েই নিই।
রাতে ফরমটা ভরবার জন্য বসলুম। প্রথমে একটা ঝামেলায় পড়লুম বাবা ময়ের নাম নিয়ে। বাবার মায়ের নামের আগে 'মরহুম' লেখা যাবেনা, অন্যদিকে তাদের 'পেশা' অবশ্যই লিখতে হবে! মরহুমদের পেশা সম্পর্কে এ অধমের জ্ঞান একেবারেই নেই।
ওদিকে 'অপ্রযোজ্য' লেখার সুযোগও নেই। দিলুম 'বেকার' মানে 'আনএম্প্লয়ড' এ টিকমার্ক করে।
তারপর লিখতে হবে স্ত্রী/স্বামীর নাম! আরে বাপু বিয়ে করব তবে তো নাম! যাক সেটাও শেষ করলুম।
এবার কোনমতে ঠিকানা লিখে ফাইনাল প্রিন্টের কপি দেখে তো বিরক্তই হলুম। সেখানে অস্হায়ী ঠিকানা আর স্হায়ী ঠিকানা মিলে একেবারে লেজে গোবরে করে ফেলেছে।
কি আর করা সেটার প্রিন্টআউট নিয়ে সকালে গেলুম আগারগাও পাসপোর্ট অফিসে।
সেখানকার বড় কর্তারা কয়েকজন অতি পরিচিত ছিল, তাদের একজনের অফিসে হাজির হলুম।
তিনি তো মনে হল আকাশ থেকেই পড়লেন! তারা নাকি এসম্পর্কে মোটামুটি জানেনইনা মানে তারা তৈরীই না। আমি এটার সফটওয়ারের ভুলগুলির কথা বললুম, তিনি বললেন এটা নাকি ট্রায়াল পর্যায়ে আছে! তবু একটা কিছু তৈরী করার জন্য আমাকে ছবি তোলার জন্য এক জায়গায় পাঠালেন। সেখানে আমার ছবি তোলা হল, আঙুলের ছাপ নেয়া হল।
সব শেষে সেই ছবি তোলার অফিসের লোকটা বলল দেখুন এসব অনলাইন ফনলাইন হবেনা, আমরা এসব কম বুঝি, আপনাকে হার্ড কপি সাধারণ ফরম হাতে ভরে কাল আবার যেতে হবে।
অর্থাৎ অনলাইন দরখাস্ত শুধু নামেই, আসলে খামোখা ডবল খাটনি !!
সুত্র: আমার নিজের অভিজ্ঞতা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।