আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাময়িক বহিষ্কার আর এক প্রহসনের নাম ............

আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা- সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন শিক্ষার্থী। রোববার ক্যাম্পাসে সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত কয়েক দফায় এই সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৭ জন ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আরামবাগ হোটেলের একটি আসনে বসাকে কেন্দ্র করে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আহসানউল্লাহ ও ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের পক্ষের কর্মী খন্দকার সাদ্দামের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সাদ্দাম তাঁর দলবল নিয়ে আহসানউল্লাহর ওপর হামলা করেন এবং কাচ দিয়ে আঘাত করে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেন। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হন। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মী সাদ্দামকে তাঁরা মারধর করেন। সাদ্দামের আহত হওয়ার খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা ইংরেজি বিভাগের ছাত্রদের ওপর আবার হামলা চালান এবং হাতুড়ি দিয়ে দুই শিক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়ে দেন।

এতে ইংরেজি বিভাগের মামুন ও দর্শন বিভাগের প্রণব মুখার্জি আহত হন। । ক্যাম্পাসে পৃথক দুটি সংঘর্ষের কারণে ১৭ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় গণসংযোগ কর্মকর্তা ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় সকালের ঘটনায় বহিষ্কৃত ছাত্ররা হলেন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের খন্দকার সাদ্দাম, ইব্রাহিম, তুহিন, মোশাররফ, রনি, শিমুল, শাকিল এবং ইংরেজি বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র রওশন জামান ও সাইদুল। এই ঘটনার জদি সুস্থু বিচার না করা হয়, তাহলে ছাত্রলীগের জন্য এটি একটি অশনী সংকেত ।

উল্লেখ্য আগামী কাল সাধারন ছাত্ররা অইসব দোসী সন্ত্রাসীদের স্থায়ীভাবে ক্যাম্পাস থেকে বহিস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।