আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঠিপস: দক্ষ ডাইভার তৈরি করুন

আমাদের ঢাকা শহরে দক্ষ ড্রাইভােরর প্রচুর অভাব। এই অভাব দুর করার দুটি উপায় আছে। একটি দক্ষ ড্রাইভার নিয়োগ দেয়া অপরটি অদক্ষদের দক্ষ বানানো। এখন যেহেতু অদক্ষ ড্রাইভার সবাই অশিক্ষিত, তাই তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে দক্ষ দিয়ে বানানো বেশ কঠিন। তাই কম সময়ে দক্ষ ড্রাইভার তৈরিতে আমার ঠিপস: কথায় আছে পড়ে না গেলে হাটা শিখা যায় না, তেমনি এ্যািক্সডন্ট না করলে দক্ষ ড্রাইভার হওয়া যায় না।

তাই আমাদের সমস্ত অদক্ষ ড্রাইভার দের প্রচুর এ্যাক্সিডেন্ট করার সুযোগ দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে এ্যাক্সিেডন্ট করলেই তো আবার বিপদ, কেস,কাচারী ইত্যাদি ম্যানেজ করা যায় কিন্তু দায়িত্বরত ট্রািফক থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত যে হাের টাকা দিেত হয়, এটা বাশের চেয়ে কঞ্চি বড় হয়ে যায়। ফাক-ফোকর: বাংলাদেশের ভূতপূর্ব এ্যাক্সিডেন্ট গুলি পর্যালোচনা দেখা যায়, জনসাধারন মারলে তার কোন বিচার হয় না, কিন্তু মিডিয়া জগতের কারও কিছু হলেই ড্রাইভার তো ড্রাইভার, তার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার হয়ে যায়। এমন বড় বড় শিল্পপতি বা বড় কোন চাকুরীজীবির কারও এ্যািক্সডেন্ট হলেও তেমন কিছু হয় না। এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রশিল্পি ইলিয়াস কাঞ্চন এর স্ত্রী মারা যারা পর তিনি এই ব্যাপাের উদ্যোগ নিলেও আজ পর্যন্ত কারও কিছু করতে পেরেেন বলে শুনতে পাই নি।

কিন্তু গত কয়েক বছরে যে কয়জন মিডয়াজগতের কারও এ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে তা সবার মুখস্থ। ব্যাপারটা যেন এইরকম আমার ভাই মরলে কার কি, ব্যটা তুই কে। আর মিডিয়ার কেউ মরলে আইজ তোর একদিন কি আমার একদিন। আর তাই: সমস্ত অদক্ষ ড্রাইভারদের ঢাকা থেকে মফসসলে পাঠিয়ে দেয়া হোক। সেখানে মিডিয়ার হোমরা চোমরা ব্যক্তিবর্গ কম থাকেন।

তারা সেখানে চোখ বন্ধ করে ড্রাইভ করতে পারবেন। তারে খুশি তারের মারেন, কোন সমস্যা নাই। দুই পাচশ টাকা সব সময় পকেটে রাখতে হবে যা নেওয়ার জন্য অনেক লোক লাইন দিবে, দিয়া দেন এবং আবার পুনরোদ্যমে মারতে থাকুন। চার-পাচবার মারলেই আপনি একটি দক্ষ ড্রাইভারে তৈরি হবে। সাবধান: কোন অবস্থাতেই টিভি বা পত্রিকার কাউকে মারা যােব না।

মুল মন্ত্র: মারতে থাকুন আর দক্ষ হইতে থাকেন। ক্ষমা চাচ্ছি: আমি কাউকে ছোট করতে চাই না। কিন্তু বর্তমান অবস্থাটা এই রকম যে মিডিয়া তাদের আত্মরক্ষার জন্য এবং ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য সব কিছু করছে। এটা মোটেও আশাতিত নয়। প্রথম আলো তাদের কেএফসি পিজা হাট ইত্যাদির খাবারকে নিউজ হিসাবে ছাপায়, ডেষ্টিনি আত্মরক্ষার জন্য প্রতিদিন "এমএলএম নিউজ" কে টক শো বানিয়ে দেখাচ্ছে, বসুন্ধরা, তাদের ব্লগ এবং নিউজ দিয়ে নিজেদের ব্র্যান্ডিং করছে এবং ব্যক্তিগত শত্রু ট্রান্সকম এর বিপক্ষে সমানে লিখে যােচ্ছ।

মিডিয়া এখন গনমাধ্যম নয় একটি "বায়াসড" মাধ্যমে পরিনত হয়েছে। তারা সাধারন মানুষের জন্য তখনই লিখে যখন এটা কাটতি বেশী হবে নতুবা তাদের মুল কোম্পনির বড় কোন স্বার্থ উদ্ধার হবে। পরিশেষে: আমরা শুধু এ্যাক্সিডেন্ট এর বিচার নিয়ে মাতামাতি করেই সময় পার করি। একটি বিচার চলছেই চলছেই এরপর আবার আর একটি বিচার চলছেই চলেই - - - - - - -। বিচার কখনও মিডিয়াতে মাতামতি করার বিষয় নয়।

এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেটা নিেয় লিখালিখি করলে আমরা দীর্ঘমেয়াদী ফল ভোগ করতে পারব। আসুন কিভাবে দক্ষ ড্রাইভার বানানো যায় সেটা নিয়ে মাতা মাতি করি। এই ব্যাপাের সরকােরর দৃষ্টি আকর্ষন করি। আপনি যখন নিজে ড্রাইভ করেন তা সে হোন্ডা হউক বা গাড়ি হউক তখন কি করলে আপনি ট্রাফিক আইন মেনে চলবেন সেটা নিয়ে আলোচনার দরকার আছে। আপনিই তো সময় নাই বলে সিগনাল অমান্য করছেন, আপনিই তো ওয়ান ওয়ে রুটে " এইতো সামনে যাব" টাইপের মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আইন অমান্য করছেন, আপনই যত্র তত্র পার্কিং করছেন, আপনিই টাকা দিয়ে ঘরে বসে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করছেন, আপনিই এ্যািক্সডেন্ট করে টাকা ছিটিয়ে নিেজ বাচার ফন্দি করছেন।

এই সব কিছুই আপনি করছেন, এখানে সরকার বা বিরোধী দলের কোন ভূমিকা নেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।