চুম্বক পরস্পর সমমেরুতে বিকর্ষণ করে এবং বিপরীত মেরুতে আকর্ষণ করে; চিরন্তন প্রাকৃ্তিক বাস্তব সত্যটিকে কেউ কি অস্বী্কার করতে পারবে? যদি কেউ মস্তিষ্ক বিকৃত না হয় তবে অস্বী্কার করার মত কেউ নেই। পৃ্থিবী এগিয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞানের অগ্রগতির ধারায়; সভ্য হচ্ছে মানুষ। কিন্তু প্রকৃত অর্থে মানুষ সভ্যতাকে কতটা অসভ্যের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে তা ভাবলে বা চোখের সামনে দেখলে মনে হয়- শুধু যুগের পরিবর্তন আর বিজ্ঞানের অগ্রগতিই মানুষকে প্রকৃ্ত সভ্যতায় সভ্য করতে পারেনি আজও।
একটা সময় মানুষ পোশাক পরতে জানত না; মানুষ পোশাক পরতে শিখেছে। মানুষের সভ্য হওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জা নিবারণের জন্য পোশাকের ব্যবহার অনেক বড় একটি বিষয়।
অথচ আমরা আবার সেই আদিম যুগেই বোধয় চলে যাচ্ছি। এখন পোশাক যত ছোট হবে মানুষ ততো আধুনিক হবে। আধুনিকতার বহিঃপ্রকাশ আদিমতার অনেক কিছুকেই প্রতিনিধিত্ব করছে এই বর্তমান সময়েও। শুরুতেই চুম্বকের ধর্মের চিরন্তন সত্য কথাটি উল্লেখ করেছি সমকামিতার মত বিকৃত চেতনাকে এই যুগেও আধুনিক মানুষের সমর্থনের বিকৃততার উদাহরণসরূপ। মানুষ আসভ্য বর্বর ছিল; সমকামিতা সেই আসভ্যতার উপাদাঙ্গুলোর অন্যতম।
কিন্তু এমন বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ কাজ আজ এই সভ্য জততেও কেন সেই আগের মত চর্চা হচ্ছে তা বোধগম্য করা কঠিন।
''একই জৈবিক লিঙ্গের দুইজনের মধ্যে বিয়েই হচ্ছে সমকামী বিয়ে। সমকামী বিয়ে আইন দ্বারা স্বীকৃত হয়। ২০০১ সাল থেকে আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, কানাডা, আইসল্যান্ড, হল্যাণ্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, এবং সুইডেন এই দশটি দেশ একই-লিঙ্গ দম্পতি জাতীয় আইন পাশ করে। এছাড়াও পরবর্তিতে ব্রাজিলের এলাগোয়াস রাজ্য, মেক্সিকো সিটি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই আইন চালু হয়।
'' (উইকিপিডিয়া)
বিয়ে নাগরিক অধিকার; রাজনৈতিক, সামাজিক, নৈতিক, এবং ধর্মীয় দিক থেকেও এই ধরণের বিয়ে কিংবা মিলিত হওয়া অবৈধ।
বিয়ে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছে। সে সমকামিতা করবে কি করবে না এটাও তার স্বাধীনতা। তবে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সমকামিতা মানসিক বিকৃতি ছাড়া আর কিছু নয়। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে আলাদা করে সৃষ্টি করেছেন প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য।
তা না হলেতো সকল মানুষ একই লিঙ্গের অধিকারী হয়ে জন্মাতো।
নারী-পুরুষ উভয়ই মানুষ; লিঙ্গভেদ শুধুমাত্র মানুষের মধ্যেই নয় জগতের সকল প্রানীর মধ্যেই রয়েছে। কারণ দুজন মানুষ বা প্রাণির ভেতরেই সুপ্ত থাকে নতুন একজন মানুষ বা একটি প্রাণী (লেসবিয়ান কাপলরা প্রয়োজনে টেস্টটিউবের মাধমে xx নিষিক্ত করে সন্তানের জন্ম দিতে পারবে; অনেক দিন আগে অনলাইনে একটা নিউজে পড়েছিলাম তবে এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে) শারীরিক চাহিদাই যদি মূল কারণ হয়ে থাকে তবে পরস্পর সমমেরুতে আকর্ষণের মাধ্যমে অভারসাম্যতা অসভ্যতা নয় কি? যদিও আনুপাতিক হারে নারী-পুরুষের সংখ্যা সমান নয়, তার মানেতো এটা না যে, নারীকে নারীর সাথে কিংবা পুরুষকে পুরুষের সাথে মিলিত হতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।