অ্যাপলের স্টিভ জবস-ওজনিয়াক, গুগলের ব্রিন-পেজের মতো অসংখ্য সফল উদ্যোক্তা তাঁদের ছোটো উদ্যোগের স্বপ্ন থেকে গড়ে তুলেছেন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি উদ্যোগের পেছনে অনেক সাফল্য আর ব্যর্থতার গল্প থাকে। সামান্য সহযোগিতা, দিকনির্দেশনা পেলে অধিকাংশ উদ্যোগই সফল হতে পারে। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠছে এমনই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য উদ্যোগ। কখনও দুই বন্ধু বা কখনও ঘনিষ্ঠজনেরা মিলে বাংলাদেশের মধ্যেই এসব ছোট ছোট উদ্যোগ নিচ্ছেন।
অসংখ্য চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তাঁরা গড়ে তুলছেন তাঁদের ব্যবসা। তাঁদের উদ্যোগের এই গল্পগুলো বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে ‘স্টার্টআপ ঢাকা’ নামের একটি উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন মোস্তাফিজুর রহমান নামের একজন উদ্যোক্তা।
মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর এই উদ্যোগ সম্পর্কে প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন, আমি দেশের উদ্যোক্তাদের সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানাতে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করতে যাচ্ছি। এই তথ্যচিত্রটি সবার জন্য উন্মুক্ত হবে। বিশ্বের সবাই আমাদের দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের কথা জানবে।
এতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে যেমন একটি কমিউনিটি তৈরি হবে তেমনি বিদেশিদের অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। প্রবাসীদের অনেকেই বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হবে এবং একটি কমিউনিটি তৈরি করা সম্ভব হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর এ তথ্যচিত্র তৈরির জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে ইন্ডিগোগো নামের ক্রাউডফান্ডিং সাইটে প্রকল্প জমা দিয়েছেন। তাঁর এ প্রকল্পের জন্য ক্রাউডফান্ডিং সাইট থেকে আট হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে চান তিনি। বর্তমানে এ সাইট থেকে এক হাজার ৯৫০ ডলার জমা হয়েছে।
তহবিল সংগ্রহের জন্য এখনও ৩৭ দিন বাকি রয়েছে। আগ্রহীরা কমপক্ষে ১০ মার্কিন ডলার দিয়ে এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর উদ্যোগ সম্পর্কে জানিয়েছেন, আশা করি উদ্যোক্তা কমিউনিটি তৈরির উদ্যোগটি সফল হবে। তহবিল সংগ্রহের জন্য ক্রাউডফান্ডিংয়ের মতো নতুন বিষয়যুক্ত হওয়ায় এই উদ্যোগ সম্পর্কে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ জানতে পারবে। এরমধ্যেই এ উদ্যোগে আশানুরূপ সাড়া পাওয়ার কথাও জানান তিনি।
নিজের সম্পর্কে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনি একজন বিনিয়োগকারী, কমিউনিটি উন্নয়নকারী এবং আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবসা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছেন। নিজেকে প্রযুক্তিপ্রেমী হিসেবে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এখনও নতুন। মোস্তাফিজুর আশা করছেন অনেকেই এ ধরনের প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসবেন এবং ‘স্টার্টআপ ঢাকা’র জন্য সহযোগিতা করবেন।
বর্তমানে স্টার্টআপ ঢাকার ক্রাউডফান্ডিং প্রকল্পটি দেখা যাচ্ছে http://igg.me/at/StartupDhaka ঠিকানায়।
বাংলাদেশের উদ্যোগ হিসেবে ‘ডুগডুগি’, ‘চালডাল’, ‘নিউজক্রেড’,‘আরবান লাঞ্চ প্যাড’, ‘জি অ্যান্ড আর’-এর মতো নানা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য এবং বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন বিষয়গুলো তথ্যচিত্রে তুলে আনা হবে, যা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। সবাইকে এর সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান উদ্যোক্তারা।
স্টার্টআপ ডটকমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফায়াজ তাহের বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন ব্যবসা ও প্রযুক্তি কমিউনিটির সঙ্গে বাংলাদেশের কমিউনিটির একটি সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য এই উদ্যোগ। বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের সফলতার গল্প তুলে এনে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে তুলে আনা হবে এতে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।