আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত তিনজন নারীকে ছিনতাইকারীদের কবল থেকে রক্ষায় নিজের জীবন বাজি রেখেছিলেন তিনি। সেই বাজিতে হেরে জীবনটাই খোয়াতে হয়েছে তাকে। ফলাফল: কাপুরুষের এই শহরে এক ধরণের বীরের মর্যাদা পেয়েছেন তিনি।
আর এখন তার স্ত্রী, শিশুপুত্র অনিশ্চিত অন্ধকারের দিকে ধাবমান। ঢাকা শহরে মাঝে মাঝে উঁকি দেয় একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকার সামাজিক দায়বদ্ধতার বিজ্ঞাপন। উটপাখির মতো বালুতে মুখ লুকিয়ে নয়, মানুষের মতো প্রতিবাদী হয়ে বাঁচার মন্ত্র দেওয়া আছে সেখানে। বিজ্ঞাপনটি দেখে আগে খুব ভালো লাগতো। এখন চোখে পড়লেই হযরত আলীর কথা মনে পড়ে।
হযরত একটি বড় কোম্পানির বড় পদে চাকরি করতেন। জানি না ওই কোম্পানি তার জন্যে কী করছে। তবে যে পত্রিকাটি এ শহরের মানুষকে মানুষের জীবন বেছে নিতে বলে, সাহসী হতে বলে তারা এখন পর্যন্ত সাহসী হযরতের জন্যে কিছুই করেনি। প্রকাশ্যে করলে আমরা জানতাম। যে নিজের জীবন বাজি রাখতে পারে তার চেয়ে বড় সাহসী আর কে? তার এই সাহসকে আমি কুর্ণিশ করি।
কয়েকজন তরুণ ব্লগে ও ফেসবুকে হযরতের অসহায় পরিবারটির জন্যে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে। তাদের টুপিখোলা অভিবাদন।
কিন্তু সেই পত্রিকাটি--- যাকে কবি আবু হাসান শাহরিয়ার বলেছিলেন, আমার সময়ের সবচেয়ে অন্ধকার গলিটির নাম প্রথম আলো--- এখন পর্যন্ত হযরতের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি। এটা ভাবলে ভীষণ কষ্ট হয় আর বৃক্ষহীন বিলবোর্ডের এ শহরে তাদের সাজানো নাটকের দৃশ্যগুলো গুঁড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে। বলতে ইচ্ছে করে নিজেরা উটপাখির জীবন বেছে নিয়ে দিব্যি আরামে আছেন।
আর অন্যদের বলছেন মানুষের জীবন যাপন করতে! Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।