আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি। হযরত ঊসমান(রাঃ) দ্বারা মদীনা থেকে রাসুলের(সাঃ) বিশ্বস্ত সাহাবী আবুযরের(রাঃ) বহিস্কারের সময় আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলীর(আঃ)র ভাষন(খোতবা # ১২৯)
হে আবুযর(১)! তুমি আল্লাহর নামে ক্রোধ দেখিয়েছিলে। সুতরাং যার ওপরে রাগান্বিত হয়েছিলে তার বিষয়ে আল্লাহতে আশা রেখো। মানুষ তার জাগতিক বিষয়ের জন্য তোমাকে ভয় করতো,আর তুমি তোমার ঈমানের জন্য তাদেরকে ভয় করতে। কাজেই তারা যেজন্য তোমাকে ভয় করে তা তাদের কাছে রেখে দাও এবং তুমি যে জন্য তাদেরকে ভয় কর তা নিয়ে বেরিয়ে পড়।
যে বিষয় থেকে তুমি তাদেরকে বিরত রাখতে চেয়েছিলে তাতে তারা কতই না আসক্ত এবং যে বিষয়ে তারা তোমাকে অস্বীকার করেছে তার প্রতি তুমি কতই না নির্লিপ্ত। অল্পকাল পরেই তুমি জানতে পারবে আগামীকাল (পরকালে) কে বেশী লাভবান এবং কে বেশী ঈর্ষনীয়। এমনকি সমস্ত আকাশ ও পৃ্থিবী যদি কারো জন্য রুদ্ব হয়ে যায় এবং সে যদি আল্লাহকে ভয় করে, তবে আল্লাহ তার জন্য খুলে দিতে পারেন। শুধু ন্যায়পরায়নতা তোমাকে আকর্ষন করে এবং অন্যায় তোমাকে বিকর্ষন করে। যদি তুমি তাদের জাগতিক বিষয়ের বিষয়ের প্রীতি গ্রহন করতে তাহলে তারা তোমাকে ভালবাসতো এবং যদি তুমি তাদের সাথে এর অংশ গ্রহন করতে তবে তারা তোমাকে আশ্রয় দিত।
(১)আবুযর গিফারীর নাম ছিল জুনদাব ইবনে জুনাদাহ। তিনি মদীনার পুর্বপ্রান্তে অবস্থিত রাবাযাহ নামক একটা ছোট গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। রাসুলের(সাঃ) ইসলাম প্রচারের কথা শোনা মাত্রই তিনি মক্কা থেকে এসেছিলেন এবং রাসুলের(সাঃ) সঙ্গে সাক্ষাত করে ইসলাম গ্রহন করেছিলেন। এতে কাফের কুরাইশগন তাকে নানাভাবে অত্যাচার-উতপীড়ন করেছিল। কিন্তু তার দৃঢ় সংকল্প থেকে টলাতে পারেনি।
ইসলাম গ্রহকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন ৪র্থ বা ৫ম। ইসলামে অগ্রনী হবার সাথে তার আত্নত্যাগ ও তাকওয়া এত উচুস্তরের ছিল যে, রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ
“আমার লোকদের মধ্যে আবুযরের আত্নত্যাগ ও তাকওয়া মরিয়ম তনয় ঈসার মত। “
খলিফা উমরের রাজত্বকালে আবুযর সিরিয়া চলে গিয়েছিলেন এবং উসমানের সময়েও সেখানে ছিলেন। তিনি উপদেশ প্রদান,ধর্মপ্রচার,সৎপথ প্রদর্শন ও নবী পরিবারের(আঃ)(আহলুল বায়েত) মহত্ব সম্বন্দ্বে জগনকে অবহিত করে দিন অতিবাহিত করেছিলেন। ব্ররতমান সিরিয়া ও জাবাল আমিলে(উত্তর লেবানন)শিয়া সম্প্রদায়ের যে চিনহ পাওয়া যায় তা তার প্রচার ও কার্যক্রমের ফল।
সিরিয়ার শাসনকর্তা মুয়াবিয়া তাকে ভাল চোকাহে দেখতো না। উসমানের অন্যায় কর্মকান্ড ও তহবিল তসরুফের প্রকাশ্য সমালোচনা করতেন বলে মুয়াবিয়া তার উপর খুব বিরক্ত ছিল। কিন্তু সে তাকে কিছু করতে না পেরে উসমানের কাছে পত্র লিখলো যে,আবুযর যদি আরো কিছুদিন এখানে থাকে তবে সে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তুলবে। প্রত্ত্যুত্তরে উসমান লিখলো যে,আবুযরকে যেন জিনবিহীন উটের পিঠে চড়িয়ে মদিনায় প্রেরন করা হয়। উসমানের আদেশ পালিত হয়েছিল।
মদীনায় পৌছেই তিনি ন্যায় ও সত্যের প্রচার শুরু করলেন। তিনি মানুষকে রাসুলের(সাঃ) সময়ের কথা স্মরন করিয়ে দিতে লাগলেন এবং রাজকীয় আড়ম্বর প্রদর্শনের বিষয়ে সতর্ক করতে কাগলেন। এতে উসমান অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে তাঁর কথা বলা বন্দ্ব করতে চেষ্টা করলেন। একদিন উসমান তাকে ডেকে পাঠালেন এবং বললেন,আমি জানতে পেরেছি তুমি নাকি প্রচার করে বেড়াচ্ছ যে,রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ
“ যখন বনি উমাইয়া ৩০জন সংখ্যায় হবে তখন তারা আল্লাহর নগরীসমুহকে তাদের নিজের সম্পদ মনে করবে,তাঁর বান্দাগনকে তাদের গোলাম মনে করবে এবং তাঁর দ্বীনকে তাদের প্রতারনার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করবে”।
আবুযর বললেন,তিনি রাসুলকে(সাঃ) এরুপ বলতে শুনেছেন।
উসমান বললেন যে, আবুযর মিথ্যা কথা বলেছে এবং তিনি তার পার্শ্বে উপবিষ্ট সকলকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তারা এমন কথা শুনেছে কিনা। উপস্থিত সকলে না বোধক উত্তর দিয়েছিল। আবুযর তখন বললেন যে,এ বিষয়ে আলী ইবনে আবি তালিবকে জিজ্ঞাসা করা হোক। তখন আলীকে ডেকে আনা হল এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আবুযরের বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করেন । তখন উসমান আলীর কাছে জানতে চাইলেন কিসের ভিত্তিতে তিনি এ হাদিসের সত্যতা সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী(আঃ) বললেন তিনি রাসুল কে(সাঃ) বলতে শুনেছেনঃ
“আকাশের নীচে ও মাটির উপরে আবুযরের অপেক্ষা অধিক সত্যবাদী আর কেউ নেই”।
এতে উসমান আর কথা না বাড়িয়ে চুপ করে রইলেন। কারন আবুযরকে মিথ্যাবাদী বলা মানে হলো রাসুলকে(সাঃ) মিথ্যাবাদী বলা। কিন্তু ভেতরে ভেতর উসমান আবুযরের উপর ভীষন রাগান্বিত হয়ে রইলেন। কারন তিনি আবুযরকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করতে পারেননি।
অপরদিকে মুসলিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্নসাতের জন্য আবুযর প্রকাশ্যভাবে উসমানের সমালোচনা অব্যাহত রাখলেন। যেখানেই তিনি উসমানকে দেখতেন সেখানে নিম্নের আয়াত আবৃতি করতেনঃ
“........ আর যারা স্বর্ন ও রৌপ্য পুঞ্জীভুত করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না তাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও। সেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দিয়ে তাদের ললাট,পার্শ্বদেশ ও পৃষ্টদেশে দাগ দেয়া হবে। সেদিন বলা হবে,এটাই তা যা তোমরা নিজেদের জন্য পুঞ্জিভুত করতে “(কোরান-৯:৩৪-৩৫)।
উসমান অর্থ দিয়ে আবুযরের মুখ বন্দ্ব করতে চাইলেন কিন্তু এই স্বাধীঞ্চেতা লোকটিকে তার সোনার ফাঁদে আটকাতে পারেননি।
এ লোকটি কোন কিছুতেই ভীত বা প্রলুব্দ্বও হলেন না,আবার তার মুখও বন্দ্ব হলো না; অবশেষে মদীনা ত্যাগ করে রাবাযাহ চলে যাবার জন্য উসমান তাকে নির্দেশ দিলেন এবং মারওয়ান ইবনে হাকামকে( এই হাকামকে তার কুকর্মের জন্য রাসুল মদীনা থেকে বহিস্কার করেছিলেন;সে তার পুত্রসহ নির্বাসনে ছিল এবং উসমান তাকে ফেরত এনেছিল)নিয়োগ করেছিল আবুযরকে বের করে দেয়ার জন্য। একই সাথে উসমান একটি অমানবিক আদেশ জারী করেছিল যে,আবুযরকে যেন কেউ বিদায় সম্ব্বর্ধনায় না জানায়। কিন্তু আমিরুল মুমিন হযরত আলী,ইমাম হাসান,ইমাম হুসাইন,আকীল ইবনে আবি তালিব,আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর ও আম্মার ইবনে ইয়াসির খলিফার অমানবিক আদেশ অমান্য করে আবুযরকে বিদায় সম্ব্বর্ধনায় দিয়েছিলেন। সেই বিদায় সম্ব্বর্ধনায় আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী এই খোতবা দিয়েছিলেন।
রাবাযাহতে যাবার পর থেকে আবুযর অতি দুঃখ কষ্টে দিন কাটাচ্ছিলেন।
এ স্থানে তার পুত্র যর ও তার স্ত্রী মারা গিয়েছিল এবং তার জীবিকা নির্বাহের জন্য যে ভেড়া ও ছাগল পালন করতেন সেগুলোও মরে গিয়েছিল। তার সন্তানদের মধ্যে একটি কন্যা জীবিত ছিল,যে পিতার দুঃখ-কষ্ট ও উপোসের অংশীদার ছিল। যখন তাদের জীবিকার সকল পথ বন্দ্ব হয়ে গেলতখন দিনের পর দিন উপোস করে সে পিতাকে বললো, “বাবা, আর তো ক্ষুধার জ্বালা সইতে পারি না। আর কতদিন এভাবে কাটাবো। জীবিকার সন্দ্বানে চলো অন্য কোথাও যাই”।
আবুযর কন্যাকে সাথে নিয়ে এক নির্জন স্থানের মধ্য দিয়ে যাত্রা করলেন। কোথাও বৃক্ষপত্র পরযন্ত তাঁর চোখে পড়লো না। অবশেষে এক স্থানে ক্লান্ত হয়ে তিনি বসে পড়লেন। তিনি কিছু বালি মাথার নীচে রেখে শুয়ে পড়লেন। অল্পক্ষনের মধ্যেই তার চোখে-মুখে ইন্তেকালের লক্ষন দেখা দিল।
পিতার এহেন অবস্থা দেখে কন্যা বিচলিত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো এবং বললো,”বাবা,এ নির্জন স্থানে তোমার ইন্তেকাল হলে আমি কিভাবে তোমার দাফন-কাফন করবো”। প্রত্যুত্তরে পিতা বললেন, “ বিচলিত হয়ো না। রাসুল(সাঃ) আমাকে বলেছেন অসহায় অবস্থায় আমার ইন্তেকাল হবে এবং কয়েকজন ইরাকী আমার দাফন-কাফন করবে। আমার ইন্তেকালের পর আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে রাস্তার পাশে বসে থেকো এবং কোন যাত্রীদল যেতে থাকলে তাদেরকে বলো রাসুলের(সাঃ) প্রিয় সাহাবা আবুযর মারা গেছে”। ফলে তার ইন্তেকালের পর তার কন্যা রাস্তার পাশে বসেছিল।
কিছুক্ষন পরে একটা যাত্রীদল সে পথ দিয়ে যাচ্ছিল। আবুযরের এহেন অসহায় অবস্থায় ইন্তেকালের কথা শুনে তারা অত্যন্ত শোকে বিহবল হল। তারা তাদের যাত্রা স্থগিত করে আবুযরের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করলেন। ৩২ হিজরী সনের জিলহজ মাসে এ ঘটনা ঘটেছিল।
৩য় খলিফা হযরত উসমানের(রাঃ)রাজত্বকাল সম্পর্কে আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী(আঃ)
৩য় খলিফা হযরত উসমানের(রাঃ)রাজত্বকাল সম্পর্কে আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী(আঃ)
৩য় খলিফা হযরত উসমানের(রাঃ)রাজত্বকাল সম্পর্কে আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী(আঃ)
বলেন যে, উসমান ক্ষমতায় আসার পর পরই উমাইয়া গোত্র সুবিধা পেয়ে গেল এবং বায়তুল মাল লুটপাট শুরু করে দিল।
খরায় শুকিয়ে যাওয়া অঞ্চলের গরুর পাল সবুজ ঘাস দেখলে যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ে
উমাইয়া গোত্রও সেভাবে আল্লাহর সম্পদের(বায়তুল মাল) ওপর পড়লো এবং গোগ্রাসে তা নিঃশেষ করতে থাকলো। অবশেষে উসমানের প্রশ্রয় ও স্বজনপ্রীতি এমন এক পরযায়ে গেল যখন মানুষ তার ঘর অবরোধ করে তরবারী দ্বারা আঘাত করলো এবং সে যা গলাধকরন করেছিল তা বমি করায়ে ছাড়লো।
উসমানের সময়ে কু-শাসন এমনভাবে বিরাজ করেছিল যে,উচ্চ মরযাদা সম্পন্ন সাহাবীগনের অকদর ও দারিদ্র দেখে কোন মুসলিম স্থির থাকতে
পারতো না। অথচ সমুদয় বায়তুল মাল উমাইয়া গোত্রের নিয়ন্ত্রনে ছিল;সরকারী পদসমুহ তাদের অনভিজ্ঞ যুবক শ্রেনীর দখলে ছিল,মুসলিমদের বিশেষ সম্পদ(রাষ্টায়ত্ব সম্পদ) তাদের মালিকানায় ছিল;চারনভুমি তাদের পশুপালের জন্য নির্ধারিত ছিল। গৃহ নির্মিত হয়েছিল শুধুমাত্র তাদের দ্বারা এবং ফলের বাগান ছিল তা শুধু তাদের জন্য।
যদি কোন সরিদয় ব্যক্তি এসব বাড়াবাড়ির কথা বলতো তবে তাদের পাঁজর ভেঙ্গে দেয়া হত। এহেন আত্নসাতের জন্য কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করলে তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হতো। দরিদ্র ও দুস্থদের যাকাত এবং সর্বসাধারনের বায়তুলমালের কি অবস্থা উসমান করেছিল তার নমুনা নিম্নের গুটি কয়েক উদাহরন থেকে অনুমান করা যাবেঃ
১/হাকাম ইবনে আবুল আ’সকে রাসুল(সাঃ) মদীনা থেকে বহিস্কার করেছিলেন। রাসুলের সুন্নাহ ও আগের খলিফাদ্বয়ের নীতি ভংগ করে উসমান তাকেই মদীনায় এনে বায়তুলমাল থেকে ৩ লক্ষ দিরহাম দিয়েছিলেন(বালাজুরী-১০০,পৃঃ২৭,২৮,১২৫)।
২/পবিত্র কোরানে মোনাফেক বলে ঘোষিত অলিদ ইবনে উকবাহকে বায়তুল মাল থেকে ১ লক্ষ দিরহাম দেয়া হয়েছে(রাব্বিহ-১১৮,৩য় খন্ড,পৃঃ৯৪)।
৩/উসমান তার কন্যা উম্মে আবানকে মারওয়ান ইবনে উকবাহকে বায়তুল মাল থেকে ১ লক্ষ দিরহাম দেয়া হয়েছিল(হাদীদ-১৫২,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৮-১৯৯)
৪/উসমান তার কন্যা আয়শাকে হারিছ ইবনে হাকামের কাছে বিয়ে দিয়ে তাকে বায়তুল মাল থেকে ১ লক্ষ দিরহাম দিয়েছিলেন(হাদীদ-১৫২,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৮-১৯৯)।
৫/তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে খালিদকে ৪ লক্ষ দিরহাম দিয়েছিলেন(কুতায়বাহ-৪৮,পৃঃ৮৪)।
৬/আফ্রিকা থেকে খুমস হিসাবে প্রাপ্ত অর্থ থেকে ৫ লক্ষ দিরহাম মারওয়ান ইবনে হাকামকে দিয়েছিলেন(কুতায়বাহ-৪৮,পৃঃ৮৪)।
৭/সাধারন বদান্যতার কারন দেখিয়ে রাসুলের প্রানপ্রিয় কন্যার রাষ্টায়ত্ব ‘ফদক’ মারওয়ান ইবনে হাকামকে দান করেছিলেন(কুতায়বাহ-৪৮,পৃঃ৮৪)।
৮/ মদীনার মাহযুব নামক বানিজ্যিক এলাকা জনগনের ট্রাষ্ট হিসাবে রাসুল(সাঃ) ঘোষনা করেছিলেন কিন্তু উসমান তা তার জামাতা হারিছ ইবনে হাকামকে দান করেছিলেন(কুতায়বাহ-৪৮,পৃঃ৮৪)।
৯/ মদীনার চারপাশের তৃনভুমিতে উমাইয়া গোত্র ছাড়া অন্য কারো উটকে চরতে দেয়া হতো না। (হাদীদ-১৫২,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৯)।
১০/উসমানের ইন্তেকালর পর তার ঘরে ৫০,০০০ দিনার(স্বর্ন মুদ্রা) ও ১০,০০,০০০ দিরহাম(রৌপ্য মুদ্রা) পাওয়া গিয়েছিল। তার নাখারাজ জমির কোন সীমা ছিল না। ওয়াদ-আল কুরা ও হুনায়নে তার মালিকানাধীন ভুসম্পত্তির মুল্য ছিল ১ লক্ষ দিনার।
তার উট ও ঘোড়ার কোন হিসাব ছিল না।
১১/প্রধান নগরীগুলো উসমানের আত্নীয়-স্বজনদের শাসনাধীন ছিল। কুফার শাসনকর্তা ছিল অলিদ ইবনে উকাবা। একবার মদ পান অবস্থায় সে ইমামতি করতে গিয়ে ফজরের সালাত ২ রাকাতের পরিবর্তে ৪ রাকাত পড়ায় জনগন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এতে খলিফা তাকে সরিয়ে অন্যতম চিনিহিত মোনাফেক সাঈদ ইবনে আসকে কুফার শাসনকর্তা নিয়োগ করেছিলেন।
এভাবে মিশরে আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ,সিরিয়ায় মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ও বসরায় আব্দুল্লাহ ইবনে আমিরকে শাসনকর্তা নিয়োগ করে স্বজনপ্রীতি্র মাধ্যমে প্রশাসনে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিলেন। (হাদীদ-১৫২,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৯)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।