দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
প্রেমের বিয়েতে বিচ্ছেদের হার অনেক বেশি। ভারতের মুম্বাই হাইকোর্টে একটি বিয়ে বিচ্ছেদের মামলার শুনানিকালে এ মন্তব্য করা হয়।
স্ত্রী নীলা এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত্ত এমন অভিযোগ তুলে পারিবারিক আদালতে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করেন পুনের প্রতাপ ভোঁসলে। তিনি অন্যায়ভাবে এ আবেদন করেছেন উল্লেখ করে তা খারিজ করে দেয় আদালত। সোমবার দেয়া রায়ে স্ত্রীকে ৩ লাখ রুপি দিতেও প্রতাপকে নির্দেশ দেয় আদালত।
প্রতাপ ওই আদেশের বিরুদ্ধে মুম্বাই হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি পিবি মজুমদার ও বিচারপতি অনুপ মেহতার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে এ মন্তব্য করেন।
আদালতে প্রতাপের আইনজীবী বলেন, নীলা আর্ট কলেজের প্রভাষক। তিনি ৪০ হাজার রুপি বেতন পান এবং তার সরকারি ভবনে থাকেন। আর প্রতাপ স্বাধীন শিল্পী।
তার আয়ের সুনির্দিষ্ট উত্স নেই।
প্রতাপের আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, ফাইন আর্টসে পড়ার সময় তাদের দু’জনের পরিচয় এবং ২০০৩ সালের ১৬ মার্চ তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর নীলা যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ২০০৪ সালের দিকে চিকিত্সকের পরামর্শে নীলা এইচআইভির পরীক্ষা করতে মুম্বাইয়ে তার মা-বাবার কাছে যান। নীলা প্রতাপের বাড়িতে ফিরে আসার পর তার মা তাকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি।
একজন স্বজনের পরামর্শে এ বিচ্ছেদের আবেদন করেন বলে প্রতাপের দাবি।
পারিবারিক আদালত জাতীয় এইডস গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক বিজ্ঞানী পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে, নীলা এইচআইভির সংক্রমণে আক্রান্ত নন।
প্রতাপের আইনজীবী বলেন, প্রতাপ এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে এবং তাকে ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত ছিলেন। তবে নীলার আইনজীবী বলেন, নীলা আর প্রতাপের সঙ্গে থাকতে চান না। তিনি বলেন, নীলা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
নীলা আদালতে বলেন, দু’জনের সমস্যাগুলো মিটিয়ে ফেলার জন্য প্রতাপ কখনও চেষ্টা করেননি। তার এই আবেগ আসল নয়। আমি অনেক ভুগেছি। এখন মিটমাট করলে প্রতাপ আবার একই রূপ ধরবেন।
হাইকোর্ট বেঞ্চ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য নীলা ও প্রতাপকে সময় দেন।
তবে আদেশে উল্লেখ করেন, আমরা নীলাকে সঙ্গে থাকতে বাধ্য করতে পারি না। বিচ্ছেদই একমাত্র সমাধান। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।