৮০ দশক বা তার আগের প্রেম-
ছেলে- চক্ষু লজ্জায় দাদা বা দাদীর কাছে গিয়ে বিনীত সুরে, ঐ মেয়েটি বেশ ভাল হাসিটাও দারুন, বংশও ভালয়। ওর বাবা বেশ ভাল মানুষ, মাকে কখনও ঝগড়াঝাটি করতে দেখা যায় না, নাকি বল দাদু? ওর চলা ফেরা বেশ ভাল লাগে আমার।
মেয়ে- চক্ষু লজ্জায় দাদা বা দাদীর কাছে গিয়ে বিনীত সুরে, জানো দাদু, ঐ ছেলেটি না বেশ ভাল, বেশ কাজ কর্ম করে, কোনরূপ বদনামনাই, মারামারিও করে না, আমার দেখলে হাসে, কত সুন্দর লম্বা চওড়া দেখেছো।
৯০ দশকের প্রেম
ছেলে- অনেক কষ্টে পাশের বাড়ীর ছোট্ট ছেলে বা মেয়ের মাধ্যেমে হাতে চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে- শোন লাইলী তোমাকে আমার ভাল লাগে, বিয়ে করতে চাই তোমাকে, যদি তুমি পচ্ছদন কর আমাকে জানিয়ে চিঠি লিখে।
মেয়ে- মজুন, তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও ভাল তবে প্রস্তাব দিতে হবে তোমাকে, আমি বাবা মরে গেলেও বলতে পারব না নিজের বিয়ের কথা আমার বাড়ীর কাউকে।
লাগলে ভাল পাঠিও প্রস্তাব বাবার কাছে তোমার কাউকে দিয়ে।
বিংশ শতাব্দীয়র প্রেম-
ছেলে রাস্তার মাঝে ছেলেকে দাঁড় করিয়ে বাইসাইকেল রেখে, লাইলি তোমাকে আমি ভালবাসি, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না, তুমি আমার জান, তুমি যদি আমার বুকে তীর মারো তবুও তোমাকে ভালবেসে যাব । করব তোমায় বিয়ে লেখা পড়া শেষ দিয়ে চাকরীর প্রথম মাসে।
মেয়ে লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে কেও দেখে ফেলে কিনা সেদিকে খেয়াল রেখে, মজনু আমি তোমাকে ভালবাসি, তুমি আমার জান, বাঁচব না আমি যদি না পাই তোমাকে। থাকব আমি তোমার জন্য পথ প্রাণে চেয়ে, যেদিন তুমি নেবে আমায় তোমার আপন করে।
প্রয়োজনে বিদ্রোহ করে বাবা মায়ের সাথে।
লাইলীর মুখে এই কথা শোনার পর মজনু- আমিও তোমাকে ছাড়া করব না কাউকে বিয়ে বলেছি মায়ের কাছে। মরতে পারি তবুও ছাড়তে পারি না তোমাকে। থাকব আমি দাঁড়িয়ে তোমার স্কুলের পাশে কলেজ ফাঁকি দিয়ে।
একাবিংশ শতাব্দীর প্রথম প্রহরের প্রেম
ছেলে- জানু কোথায় আছ তুমি, যেতে চেয়েছিলাম তোমাকে নিয়ে পার্কে, গিয়ে সেখানে তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমোতে চেয়েছিলাম হাত ধরে।
সুযোগ পেলে জরিয়ে ধরে বুকে।
মেয়ে- তুমি না সেই সেকেলে, সাহরুক যেভাবে মাধুরীকে ধরে জরিয়ে পারোনা তুমি ধরতে আমায় সেভাবে, লজ্জা কিসের পার্কে যে মোরা দেখবে না কেও এখানে।
বর্তমান যুগের প্রেম
ছেলে- তুমি না যে কি, তোমাকে বললাম যাব উত্তায়র ডেটিং এ। ম্যানেজ করেছিলাম বন্ধুকে, থাকবে না কেও তার বাসাতে। কাটেতে পারতাম তাদের বাসায় আনন্দ ফুর্তিতে মেতে।
মেয়ে- জানু, আমি চেষ্টা করেছি যে অনেক, কি করব বল এসেছিল ডাইনী কাকী বাসাতে, যেতে পারিনি তাই হবে দেখা কাল যে।
ছেলে- ওহ জানু কালকে এলে খরচা হবে অনেক যে, গেষ্ট হাউজের ভাড়া ঘন্টায় ১হাজার যে, তবুও যদি পাই তোমাকে, কিসের টাকা সব যে পারি ছাড়তে।
মেয়ে- ওহ তুমি না ভাবতে আমার লজ্জা হলেও আবেগে শিহরিত যে, যেভাবেই হউক ব্যবস্থা কর আসছি আমি কাল যে। আজকে রাখি ভোর যে হল, ব্যালেন্স তোমার শেষে যে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।