আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেলিমেডিসিন সার্ভিস ও চিকিৎসকদের কথা....

টেলিমেডিসিন সার্ভিস ও চিকিৎসকদের কথা.... শুধুমাত্র বিদেশেই নয় টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে বাংলাদেশের প্রত্যনত্ম এলাকার চিকিৎসক সরাসরি দেশের দূরবর্তী যে কোন স্থানের বিশেষজ্ঞের কাছে রোগবৃত্তানত্ম, ল্যাব রিপোর্ট যেমন ইসিজি, এক্সরে, হিস্টোপ্যাথোলজি, আলট্র্‌া সনোগ্রাম এমনকি রোগীর হার্ট ও ফুসফুসের শব্দও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠিয়ে পরামর্শ নিতে পারবেন। এর ফলে রোগীদের বিদেশে যাবার প্রয়োজন যেমন কমে যাবে, তেমনি বাঁচবে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সত্যি তারা এ সেবা পাবেন কি? পেলেও কতখানি কম খরচে? টেলিমেডিসিন সার্ভিসের মান নিশ্চিত ও নিয়ন্ত্রণ করবে কে? বরাবরের মত এ সার্ভিসও সরকারের মনিটরিং এর আওতায় নেই। ফলে আগামী কিছু দিনের মধ্যেই গড়ে উঠবে বিভিন্ন টেলিমেডিসিন সার্ভিস সেন্টার। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, স্বাস্থ্য সেবার নামে যে ভাবে ক্লিনিক ব্যবসা জমে উঠেছে ঠিক সেভাবেই হয়তোবা টেলিমেডিসিন ব্যবসাও গড়ে উঠবে।

কিন্তু অধিকাংশ ক্লিনিকের মান নিয়ন্ত্রণে যেমন কোন সরকারি মনিটরিং সেল নেই, তেমনি টেলিমেডিসিন সার্ভিস সঠিকভাবে দেয়া হচ্ছে কিনা সে নিশ্চয়তা কে দেবে? গরীব এ দেশের মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে কে রক্ষা করবে? সংশিস্নষ্টরা মনে করছেন টেলিমেডিসিন এমন একটি পদ্ধতি যা ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসেবা তথা ‘দ্বিতীয় মতামত’ গ্রহণ করা সম্ভব। ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন ও পদ্ধতি বাছাইয়ের ওপর নির্ভর করে টেলিমেডিসিন সূচনা করতে পারে ই-মেইলের ব্যবহার, স্টিল ও ভিডিও ফটোগ্রাফির ব্যবহার এবং একই সময় পৃথিবীর যেকোন প্রানেত্ম টেলিকনফারেন্সিং এর সুবিধা। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের দ্রম্নত উন্নতি ঘটছে। নিত্য নতুন প্রযুক্তি এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীর পেশাগত উন্নয়নে, বিশেষত বাংলাদেশের মত দেশের ক্ষেত্রে, যেখানে সুযোগ- সুবিধার প্রবেশ কম এবং বিশেষ উপকরণও সীমিত সেখানে টেলিমেডিসিন পদ্ধতি ব্যবহার হতে পারে।

তবে এক্ষেত্রে কাজের গুণগতমান অবশ্যই রক্ষা করে চলতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যনত্ম এলাকার চিকিৎসকগণ দরকারে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দাবি করতে পারেন। এক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন মেডিক্যাল বোর্ডের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। এমনকি শিক্ষামূলক গবেষণায় দূর শিক্ষণের ক্ষেত্রেও টেলিমেডিসিনের সহায়তা নেয়া সম্ভব। সংশিস্নষ্টদের এ ব্যাপারেও গুরম্নত্ব দিতে হবে।

শুধুমাত্র ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যকে পুঁজি করে যদি কেউ এই টেলিমেডিসিন সার্ভিস চালু করে থাকেন তবে সে মনোভাব তাকে অবিলম্বে ত্যাগ করতে হবে। কারণ স্বাস্থ্য সার্ভিস একটি সেবামূলকখাত। এখাতে অর্থের আদান-প্রদান জড়িত থাকলেও নৈতিকতাকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া উচিত। সেবার মনোভাব এবং নৈতিকতার ব্যাপারটি মাথায় থাকলে টেলিমেডিসিন পদ্ধতি বাংলাদেশের মানুষকে সত্যিকার অর্থেই একটি ‘দ্বিতীয় মতামত’ দিতে সক্ষম হবে। মনে রাখতে হবে যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর এ সার্ভিস সর্বোত্তম ভাবে ব্যবহার করতে হলে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামোর উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

দেশের ও দড়্গিণ গোলার্ধের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে ব্র্যাক তার স্বাস্থ্য কার্যক্রমের সাথে টেলিমেডিসিন অনত্মর্ভুক্ত করতে পাওে এবং এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে এ সেবা স্বল্পমূল্যে পৌঁছে দিতে পারে। সংগ্রহ : ব্র্যাক ইন্ট্রানেট। (পাশা) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।