আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফটোগ্রাফীর হাতে খড়ি! এক্সপার্টদের জন্য নহে! পর্ব-২(সাটারস্পীড)

Photography Lesson for beginner সাটারস্পীড Shutter Speed আগেই বলেছি ডিজিটাল ক্যামারার/ফটোগ্রাফীর সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন তিনটি টার্মের নাম হচ্ছে অ্যাপারচার, সাটারস্পীড এবং আই.এস.ও। অপরদিকে এই তিনটির কম্বিনেশন হচ্ছে এক্সপোজার অর্থাৎ, এক্সপোজার=(অ্যাপারচার+সাটারস্পীড+আই.এস.ও)। অর্থাৎ এই তিনটি জিনিস দিয়ে এক্সপোজারকে কন্ট্রোল করা যায়! আমার আগের পর্বটি যারা পড়েছেন তাদের আশা করি এক্সপোজার এবং অ্যাপারচার সম্পর্ক হালকা ধারনা হয়ে গেছে! যারা আমার আগের পর্বটি মিস করেছেন তারা আগের পোস্টটি এইখানে ক্লিক করে একটু কষ্ট করে পড়ে নিবেন! টাইটেল দেখেই নিশ্চই বুজে গেছেন আমার আজকের লেখার বিষয় কি! জ্বি হা ঠিক ধরেছেন, আমার আজকের লেখার বিষয় হচ্ছে সাটারস্পীড। সাটারস্পীড কি? আমরা যখন ক্যামারার বাটনে চাপ দেই তখন ক্লিক করে একটা শব্দ হয়! এই শব্দটি হয় ক্যামারার সাটারের খোলা এবং বন্ধ হওয়ার! এই খোলা এবং বন্ধ হওয়ার সময়ের ব্যবধানে যেটুকু আলো ক্যামারার ভিতর প্রবেশ করে সেই সময়টাকেই বলা হয় সাটারস্পিড! আচ্ছা একটা উদাহরন দিয়ে বুজাচ্ছি! ধরুন আপনার রুমে একটি জানালা আছে! এখন এই জানালা খুলে দিলে রুমে আলো ঢুকবে আবার বন্ধ করে দিলে আলো আসা বন্ধ হয়ে যাবে! এখন জানালা যদি বেশি সময় ধরে খোলা থাকে তবে বেশি সময় আলো ঢুকবে আবার কম সময় খোলা থাকলে কম সময় ধরে আলো ঢুকবে! আপনার ক্যামারার সাটারস্পিডের ব্যাপারটাও ঠিক সেই রকম! ক্যামারার বাটনে ক্লিক করবার পর অ্যাপারচার দিয়ে(ছোট ছিদ্র বা বড় ছিদ্র) আলো ঢুকবে! সেই আলোটা কতক্ষন সময় ধরে ক্যামারার ভিতর অবস্থান করবে সেটাকে বলা হয় সাটারস্পিড! সাটারস্পিড যদি ফাস্ট হয় অর্থাৎ সাটার খুলার সাথে সাথে যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে ক্যামারার ভিতরের ফিল্মের উপর কম সময় আলো পড়বে আর সাটারস্পিড যদি স্লো হয় অর্থাৎ অনেকক্ষন সময় লাগে সাটার বন্ধ হতে তবে ফিল্মের উপর বেশি সময় আলো পড়বে! যেহেতু সাটারস্পিড দিয়ে সময়কে রেফার করা হচ্ছে সেহেতু বুজাই যাচ্ছে যে সাটারস্পিড এর একক হচ্ছে সেকেন্ড! এখন সাটারস্পিড এর মান যদি ১/২সেকেন্ড হয় তার মানে হচ্ছে এক সেকেন্ডের অর্ধেক সময় অর্থাৎ আধা সেকেন্ড ধরে সাটার খোলা থাকবে! সাটারস্পিড যদি আর বাড়ান তবে এটা ডাবল হবে ১/৪ অর্থাৎ এক সেকেন্ডের চার ভাগের একভাগ সময়(০.২৫ সেকেন্ড) ধরে খুলে আবার বন্ধ হয়ে যাবে! এভাবে স্পিড বাড়াতে পারবেন! আবার বিপরীত ভাবে আপনি সাটারস্পিড স্লো করে দিতে পারেন! সাটারস্পীড স্লো করে দিলে দীর্ঘ সময় সাটার ওপেন থাকবে! সাটার স্পীডের মান ১০" মানে হচ্ছে সাটার ১০সেকেন্ড পর বন্ধ হবে! অর্থাৎ ১০ সেকেন্ড ধরে ক্যামেরার ফিল্মে আলো পড়বে! এখন দেখুন সাটারস্পিডের মান গুলো কেমন হতে পারে, Fast shutter speed: 1/15s, 1/30s, 1/100s, 1/1000s. Slower Shutter speed: 1"s, 2"s, 15"s, 30"s. আরেকটি অপশন আছে যেটির নাম হচ্ছে বাল্ব! এর মানে হচ্ছে আপনি বাটনে যতক্ষন সময় ধরে চাপ দিয়ে রাখবেন সাটার ততক্ষন ওপেন থাকবে এবং লেন্সের ভিতর দিয়ে আলো ঢুকবে বাটন ছেড়ে দিলে সাটার বন্ধ হয়ে যাবে! এবার বলছি সাটারস্পীড এর সাথে এক্সপোজারের কি সম্পর্ক। সাটারস্পিড স্লো হলে ফিল্মে আলো বেশি পরবে ফলে ছবি উজ্জল হবে! অপরদিকে সাটারস্পীড যদি ফাস্ট হয় তবে কম সময় সাটার খোলা থাকবে ফলে ফিল্মে আলো কম পরবে ফলে ছবি অন্ধকার আসবে! সাটারস্পিড ব্যবহার করে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং যে জিনিসটি সেটা হচ্ছে মোশন ফ্রিজিং অর্থাৎ গতিকে আটকে রাখা যায়! আপনি যদি রাতের কোনো ব্যাস্ত হাইওয়ের ছবি স্লো সাটারস্পিডে তুলেন তবে দেখবেন ছবিতে আলোর একটা স্ট্রেইট লাইন তৈরি হচ্ছে! সাধারনত রাতের ছবিতে বিভিন্ন এফেক্ট আনার জন্য স্লো সাটার স্পিড ব্যবহার করা হয়। রাতে যেহেতু আলোর পরিমান কম থাকে একারনে রাতে সাধারনত স্লো সাটারস্পীডে ছবি তুলা হয়!নিচের ছবিটি দেখুত তাহলে আপনাদের সাটারস্পিডের কনসেপ্টটা আরো ক্লিয়ার হয়ে যাবে! তাহলে আমরা উপরের আলোচনা থেকে কি বুজতে পারলাম? ১। সাটারস্পিডের কাজ হচ্ছে এক্সপোজার নিয়ন্ত্রন করা! ২। মোশন(গতি) ক্যাপচার করা! আশাকরি আপনারা সাটারস্পিড কি সেটা মোটামুটি বুজতে পেরেছেন! সাটারস্পিড নিয়ে যদি আপনাদের কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তবে অবশ্যই জিজ্ঞেস করতে ভুলবেন না! আজ তাহলে এ পর্যন্তই থাক! পরবর্তী পোস্টে আমি আই.এস.ও নিয়ে আলোচনা করব! ধন্যবাদ! (ছবিগুলো অন্তঃজাল থেকে সংগৃহীত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.