Photography Lesson(for beginner) অ্যাপারচার (Aperture) ডিজিটাল ফটোগ্রাফীর প্রথম শর্ত হচ্ছে ডিজিটাল ক্যামেরা! আর ডিজিটাল ক্যামেরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন তিনটি টার্মের নাম হচ্ছে অ্যাপারচার, আই.এস.ও এবং সাটারস্পিড! ডিজিটাল ফটোগ্রাফী শুরুর আগে এই তিনটি জিনিস সম্পর্কে ধারনা নেওয়া খুবই জরুরী!কারন আপনার এই তিনটি জিনিসের উপর যত ভালো নিয়ন্ত্রন থাকবে আপনি তত ভালো ফটোগ্রাফার হতে পারবেন! একটি ছবির এক্সপোজার নিয়ন্ত্রন করা যায় এই তিনটি জিনিসের মাধ্যমে! এখন প্রশ্ন আসতে পারে এক্সপোজার কি? খুব সিম্পলি ভাবে বলতে গেলে এক্সপোজার হচ্ছে কোনো একটি বস্তু থেকে যতটুকু আলো এসে আপনার ক্যামারার ল্যান্সে ধরা দিচ্ছে তার নাম এক্সপোজার! আপনি ছবি তুলার পর যদি দেখেন ছবি বেশি সাদা হয়ে গেছে তার মানে আলোর পরিমান বেশি! একে বলা হয় ওভার এক্সপোজড আবার যদি ছবি খুব বেশি অন্ধকার হয় তবে বুজতে হবে, যে বস্তুটির ছবি তুলছেন তার আশে পাশে পর্যাপ্ত আলো নেই! একে বলা হয় আনডার এক্সপোজড! অ্যাপারচার, আইএসও এবং সাটারস্পিড এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজে ওভার এক্সপোজড বা আন্ডারএক্সপোজড হওয়ার হাত থেকে ছবিকে বাচাতে পারি! আজকে এই নোটে আমি শুধুমাত্র অ্যাপারচার সম্পর্কে কিছু জিনিস সংক্ষেপে বর্ননা করব যাতে আপনাদের বুজতে সুবিধে হয় অ্যাপারচার জিনিসটা কি? অ্যাপারচার এর বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র! আর ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে ক্যামারার ল্যান্সের ছিদ্রকেই অ্যাপারচার বলে! ক্যামেরার ল্যান্সের ভিতর কতগুলো পাত বসানো থাকে আর এই পাত গুলো সংকচিত বা প্রসারিত হয়ে ল্যান্সের ছিদ্রকে ছোট বা বড় করে থাকে! ল্যান্সের ভিতর দিয়ে কতটুকু আলো ঢুকবে তা নির্ধারিত হয় এই ছিদ্র দিয়ে!খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে ল্যান্সের ছিদ্র দিয়ে আলো ঢুকার এই ব্যাপারটাকেই অ্যাপারচার বলে। অ্যাপারচার পরিমাপ করা হয় এফ-স্টপ বা ফোকাল স্টপ এর মাধ্যমে! এই এফ স্টপ এর মান ১,২,৩,৪........২২,২৫,৩০,৪৫ বা আরো বেশি হতে পারে! এই এফ স্টপ এর মান যত ছোট হবে ক্যামেরার ল্যান্সের ছিদ্র তত বড় হবে আর ছিদ্র যত বড় হবে ল্যান্সের ভিতর দিয়ে আলো তত বেশি প্রবেশ করবে! অপরদিকে এফস্টপ এর মান যত বড় হবে ল্যান্সের ছিদ্র তত ছোট হবে আর ছিদ্র ছোট হওয়া মানে আলো কম ঢুকা! মনে রাখতে হবে এফ স্টপ ছোট মানে ছিদ্র বড় আর এফ-স্টপ এর মান যত বড় হবে ছিদ্র তত ছোট হবে অর্থাৎ একটি অপরটির অপজিট! এখন দিনের বেলায় যখন বাইরে আলোর পরিমান অনেক বেশি থাকে তখন আমরা এই fএফস্টপ বাড়িয়ে দিয়ে অর্থাৎ এফ স্টপ এর মান ১২ কিংবা আরো বাড়িয়ে দিলে ছবিটি ওভার এক্সপোজড হবে না! অপর দিকে রাতের বেলা যখন প্রাকৃতিক আলোর কোনো সোর্স থাকে নাহ এবং আলোর পরিমান অনেক কম থাকে তখন এফ স্টপ এর মান(1১.৮,২,৩,৪.৫) কমিয়ে দিয়ে আমরা ছবিটি আন্ডার এক্সপোজড হওয়ার হাত থেকে বাচাতে পারি! অ্যাপারচার এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ন কাজ হচ্ছে ডেপট অফ ফিল্ড নিয়ন্ত্রন করা! অর্থাৎ ছবি তোলার সময় মূল অবজেক্টের পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ডকে ব্লার বা ঘোলা করা হবে নাকি ব্যাকগ্রাউন্ড নরমাল থাকবে সেটাও অ্যাপারচারের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রন করা হয়! নিচের ছবিটির মাধ্যমে এই ধারনাটি আরো ক্লিয়ার করা যায়। এক এবং দুই দুটি ছবিতেই সাটারস্পিড(৩০) এবং আইএসও(১০০) এক রাখা হয়েছে কেবল মাত্র অ্যাপারচার পরিবর্তন করা হয়েছে! এক নম্বর ছবিটিতে এফ-স্টপ এর মান ৪.৫ এবং দুই নম্বর ছবিটিতে এফ-স্টপ এর মান ২৫! এক নম্বর ছবিটিতে ব্যাকগ্রাউন্ডের অবজেক্টগুলো অনেকটাই ব্লার(ঘোলা) হয়ে গেছে অপরদিকে দুই নম্বর ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে ব্যাকগ্রাউন্ডের অবজেক্ট গুলোর ডিটেইলস অনেক ভালো ভাবে বুজা যাচ্ছে! সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে অ্যাপারচার এর কাজ মূলত দুটি- ১। ল্যান্সের ভিতর আলোর প্রবেশকে নিয়ন্ত্রন করা! ২। ডেপট অফ ফিল্ড নিয়ন্ত্রন করা! আরেকটা জিনিস মনে রাখতে হবে এফ স্টপ এর মান যত ছোট লেন্সের ছিদ্র তত বড়! অর্থাৎ fএফ-স্টপ:- ১.৮,২,৩,৪.৫ ছিদ্র বড়(আলো বেশি প্রবেশ) আবার এফ স্টপ এর মান যত বড় লেন্সের ছিদ্র তত ছোটf এফ-স্টপp:- ১৪,১৫,১৬,২৫,৩০ ছিদ্র ছোট(আলো কম প্রবেশ) এই এফ-স্টপ এর মান ছোট বড় হওয়ার ব্যাপারটা নিচের ছবিটি দেখলে আর ভালো ভাবে ক্লিয়ার হতে পারবেন! আজ তাহলে এ পর্যন্তই থাক! যদি কোথাও বুজতে সমস্যা হয় তবে অবশ্যই প্রশ্ন করতে ভুলবেন না যেনো! নেক্সট পর্বে সাটার স্পিড এবং আই এস ও নিয়ে বিশদ ভাবে আলোচনা করবো! সেই পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।