আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । নামাজ এর চল্লিশ হাদিস - পর্ব ২ ।
২১. নামাজ হৃদয়ের আলো । যার ইচ্ছা সে যেন নামাজ দ্বারা হৃদয়কে আলোকিত করে ।
২২. ঠিক ভাবে অজু করিয়া নম্রতার সহিত যে দুই রাকাত ফরজ বা নফল পাঠান্তে গোনাহের মাগফেরাত চায় তাহার গোনাহ মাফ হইয়া যায় ।
২৩. জমীনের যে অংশে নামাজ পড়া হয় সে অংশ অন্য অংশের উপর গর্ব করিয়া থাকে ।
২৪. দুই রাকাত নামাজ পড়িয়া দোয়া করিলে উহা নিশ্চয়ই কবুল হয় । তবে সঙ্গে সঙ্গে কবুল হইতে পারে বা নামাজীর মঙ্গলের জন্য কিছু বিলম্বও হইতে পারে ।
২৫. যে নির্জনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে যাহা আল্লাহ ও ফেরেশ্তা ব্যতীত আর কেহ জানেনা সে জাহান্নাম হইতে মুক্তির পরওয়ানা পাইল ।
২৬. যে একটি ফরজ আদায় করিল, আল্লাহর দরবারে তাহার একটি দোয়া কবুল হইল ।
২৭. যে পাচ ওয়াক্ত নামাজ গুরুত্ব সহকারে রুকু সেজদা অজু ইত্যাদি সঠিকভাবে আদায় করে তাহার জন্য জান্নাত ওয়াজেব , দোযখ হারাম ।
২৮. মুসলমান যখন এহতেমামের সহিত পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়িতে থাকে শয়তান তাহাকে ভয় করে আর সে যখন নামাজে গাফিলতি করে তখন শয়তানের সাহস বাড়িয়া যায় এবং তাহাকে কুপথে নিয়া যাবার সুযোগ পায় ।
২৯. ওয়াক্ত মত নামাজ পড়া সর্বশ্রেষ্ঠ আমল ।
৩০. নামাজ প্রত্যেক পরহেজগার ব্যক্তির কুরবানী স্বরূপ ।
৩১. আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল আউয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়া ।
৩২. প্রাতঃকালে যে নামাজ পড়িতে যায় , তাহার হাতে ঈমানে ঝান্ডা থাকে ।
৩৩. জোহরের পূর্বে চারি রাকাত তাহাজ্জুদের চারি রাকাতের সমতূল্য ।
৩৪. জোহরের নামাজের পূর্বে চার রাকাত সুন্নত নামাজ চার রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজের সম পরিমাণ ।
৩৫. মানুষ যখন নামাজে দন্ডায়মান হয়, তখন আল্লাহর রহমত তাহার দিকে রজু হয় ।
৩৬. মধ্য রাত্রির নামাজ শ্রেষ্ঠতর নামাজ, তবে স্বল্প সংখ্যক লোকই উহা আদায় করিয়া থাকে ।
৩৭. আমার নিকট হজরত জিব্রাঈল (আঃ) আসিয়া বলিলেন, হে মোহাম্মদ (সাঃ) ! যতদিন আপনি বাচিয়া থাকুন না কেন অবশেষে একদিন আপনাকে মৃত্যু বরণ করিতেই হইবে , আর যাহাকেই ইচ্ছা ভালোবাসুন না কেন , একদিন তাহার নিকট হইতে পৃথক হইতেই হইবে । আর ভালো মন্দ যে আমলই করুন না কেন উহার প্রতিদান অবশ্যই পাইবেন । ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে, মোমেনের শারাফাত ও বুজুর্গী তাহাজ্জুদের মধ্যে ।
৩৮. রাত্রের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়ার সব কিছু হইতে উত্তম ।
কষ্টের আশংকা না থাকিলে আমি উহা উম্মতের উপর ফরজ করিয়া দিতাম ।
৩৯. তাহাজ্জুদের নামাজ অবশ্যই পড়িবে । কারণ তাহাজ্জুদ পড়া নেক বান্দাদের তরীকা আর আল্লাহর নৈকট্য লাভের কারণ । তাহাজ্জুদ গোনাহ হইতে বিরত রাখে । ইহা কৃত অন্যায় হইতে ক্ষমা লাভের উপায় ।
ইহা দ্বারা দেহের সুস্হতা লাভ করা যায় ।
৪০. আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, হে আদম সন্তান ! তুমি দিনের অগ্রভাগে চারি রাকাত নামাজ আদায়ে শৈথিল্য করিওনা । আমি সারাদিন তোমার যাবতীয় কর্ম সম্পাদনের ব্যবস্হা করিব ।
উৎসঃ ফাজায়েলে নামাজ । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।