কে বলে আমাদের সোনার বাংলাদেশ গরীব! হ্যা, সোনার বংলাদেশ গরীবদের জন্য খুবই গরীব আর ধনীদের জন্য অত্যান্ত ধনী। আর প্রতারক, দূর্নীতিবাজ ও অসাধু প্রশাসন ও আসৎ সরকারের জন্য একেবারে বেহেস্ত! যা চায়, যখন চায়, তাই তখন পায় তারা সবাই।
আওয়ামী সরকারের আমলে সরকারী মালিকানাধীন স্রেফ একটা টেলিফোন কম্পানী থেকে অবৈধ ভাবে প্রতিবছর রাষ্ট্রের অন্তত ৭০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে খবর আসছে। পদ্মা সেতু, হলমার্ক, সোনালী ব্যাংক .... সব লিখার ধর্য্য নেই আর...।
গত তিন বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
বিটিসিএলের মহাখালী ও মগবাজার এঙ্চেঞ্জ দুটিতে গত এক বছরেই আত্মসাৎ করা হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। আত্মসাতের সঙ্গে বিটিসিএলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, সরকারী আমলারা, দলীয় মাসতান ও প্রশাসনের কর্ম-কর্তারা সরাসরি ভাবে জড়িত রয়েছেন বলে প্রমান পাওয়া গেছে।
গত দুই মাস আগে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করার পরও মামলা করার অনুমতি দিচ্ছেনা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কেন না? উর্ধতন সরকারী নির্দেশ - এই সব দূর্নীতি প্রকাশ পাওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে! হায়, সরকারের ভাবমূর্তি মেনটেন করার জন্য আরো কত দূর্নীতির আশ্রয় নেয়া হবে?
আমাদের আওয়ামী সরকার কেন এই মাতলামী খেলা খেলছে? দেশের জনগনকে উপোষ রেখে লক্ষ-কোটি টাকা অপচয় করছে আর এর চাইতেও বশী দিয়ে দলীয় দূর্নীতিবাজদেরকে খুশী রাখছে?
কেন তা বিবেকের কাছে বোধগম্য নয়। সরকারী প্রশাসনের খেয়াল অন্য দিকে।
দূর্নীতি দমন বা দেশের উন্নতি তেমন একটা গুরুত্বের ব্যাপার নয় - যেমন গুরুত্বপূর্ন দলীয় স্বাথে প্রশাসন ও বিচার ব্যাবস্হাকে ব্যাবহার করার মাতাল নেশা! বিরোধী দল ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য আমাদের আওয়ামী সরকার যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।