ভালো মানুষ হতে চাই
সমাজতান্ত্রিক দেশে নাকি সবাই সবার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবার নিশ্চয়তা থাকে।
আমার আপনার এ বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দেশও না, আর তাই যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবার নিশ্চয়তাও এখানে নেই।
তবে কথাটা সম্পূর্ণ সত্য নয়। এখানেও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে আমাদের দেশে কাজের জন্য অদ্ভুত একটা জিনিসকে যোগ্যতা মনে করা হয়।
যাই হোক, এবার ভিন্ন আরেকটা অদ্ভুত যোগ্যতার প্রসঙ্গে আসি।
হো ! এটাও যোগ্যতা। দূর্নীতি করার যোগ্যতা। আমাদের দেশে অনেকেরই দূর্নীতি করার ইচ্ছা আছে। কিন্তু সবাই তা করতে পারে না বা করার যোগ্যতা নেই।
আর পারে না বলেই সে হয়ত ভালো মানুষ।
যেমন বিগত সরকারের (২০০১-২০০৬) আমলে এক রাজপূত্র ছিলেন। উনি কত দূর্নীতি করেছেন এটা হয়ত আমরা অনেকেই জানতাম না। আবার সে সময়ের অর্থমন্ত্রী উনি কাজটা করেছেন। একসময় আমি ভাবতাম এমন একটা লোক যদি দেশে না থাকত তবে দেশের অর্থনীতির কি যে দশা হত।
কিন্তু বিগত তত্ত্বাবধায়কের কল্যানে আমরা যেমন সেই রাজপূত্রের দূর্নীতির কথা জানতে পেরেছি। তেমনি আরো অনেকের মত ঐ অর্থমন্ত্রীর দূর্নীতিও। বিগত তত্ত্বাবধায়কের কল্যানে আমার মনে আরেকটা নতুন ধারনার জন্ম নেয়। থাক সেটা না হয় অন্য দিনের জন্য থাকল।
তবে অনাদের মত অসম যোগ্যতা সম্পন্ন দূর্নীতিবাজদের খরব মিডিয়ায় আসলেও আড়ালে থেকে গেছে অনেক ছোট খাটো দূর্নীতিবাজ।
এরাও এদের যোগ্যতার শেষ বিন্দু পর্যন্ত দূর্নীতি করেছেন।
কেউ বড় আর কেউ ছোট। তবে সবাই সবার যোগ্যতার শেষ বিন্তু পর্যন্ত দূর্নীতি করেছে। তাই সেক্ষেত্রে সবাই সমান অপরাধী। এরা দেশের ক্যান্সার স্বরূপ।
আসুন আমরা এখনই এ ক্যান্সার রোধে এ ধরনের সব অপরাধীকেই বর্জন করি।
তবে যারা এ ধরনের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দূর্নীতি মুক্ত থাকতে পেরেছেন তারাই আসল ভালো মানুষ। আসুন তাদেরও সাধুবাদ জানাই। শ্রদ্ধা জানাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।