এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনল যারা আমরা তোমাদের ভুলবা না ২০০৯ এর সেপ্টেম্বরে ভারতের দেরাদুনে যায় ১০০ সদস্যের আওয়ামী বিশেষ ক্যাডার বাহিনী এবং ২০১০ এর জুন পর্যন্ত ৬ মাস এদেরকে ‘বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের ট্রেনিং’ এর নামে গুম, গুপ্তহত্যার স্পেশাল ট্রেনিং দেয় ‘র’ এবং ভারতীয় আর্মির কমান্ডোরা। এর পুরো অপারেশন সরাসরি তত্বাবধান করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব) তারিক আহমেদ সিদ্দিকি। ক্যাডার বাছাই প্রক্রিয়াও অত্যন্ত গোপনে সম্পন্ন করেন মেজর সিদ্দিকি ও কিছু অবসর প্রাপ্ত সামরিক কমকর্তা।
এই বাহিনীকে বর্তমানে গুলশান বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে রাখা হয়েছে। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, অত্যাধুনিক অস্ত্র, গ্যাস বোমা, স্যাটালাইট ফোন সুসজ্জিত এই বাহিনীর সদস্যদের সাধারণ পরিবেশে চলাফেরা নিষিদ্ধ।
গোপনীয়তা রক্ষায় তাদেরকে অভাবনীয় বেতন এবং পরিবারকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। রোটেশন পদ্ধতিতে অপরেশন বন্টনের মাধ্যমে সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে এদেরকে বিনোদন ভ্রমনে ভারতে পাঠানো হয়।
প্রশিক্ষন শেষে এই বাহিনীকে একটি হিট লিস্টি দেয়া হয়েছে যাদেরকে ডিসেম্বর ২০১৩ এর মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হিটলিস্টের মধ্যে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বিরোধী দলের উচ্চ ও মধ্যম সারির জনপ্রিয় নেতা যারা ভবিষ্যত নির্বাচনে গুরুপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, ডোনার এবং প্রভাবশালী সমর্থকরা। চৌধুরী আলম (বিএনপি), সৌদি কূটনৈতিক খালাফ বিন মোহাম্মদ সালেম আলি ( জামায়াত সহানুভূতিশীল) সহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন অমিমাংসিত গুম, হত্যা এই বাহিনীরই দ্বারা সংঘটিত হয়েছে ।
এম ইলিয়াস আলী এই বাহিনী দ্বারাই অপহুত হন। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় এই হিট লিস্টে আরও রয়েছে,আমানুল্লাহ আমান, মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, গরেশ্বর চন্দ্র রায়, হাবিবুর নবী সোহেল, ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল আলম প্রধান, আসম আব্দুর রব, মুফতি ফজলুল হক আমিনী, মাওলানা ফজলুল করিম।
তথ্যসূত্র :
মাসুদুল হক : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ‘র’ এবং সিআইএ
যখন সময় এলো : সৈয়দ আল আহসান
সুজন সিং উবান : ফ্যান্টমস অব চিটাগং : দ্য ফিফথ আর্মি ইন বাংলাদেশ
নজরুল ইসলাম : একাত্তরের রণাঙ্গন অকথিত কিছু কথা
মাইদুল হাসান : মূলধারা ৭১
আবদুল মালেক : ফ্রম ইষ্ট পাকিস্তান টু বাংলাদেশ
weeklyblitz.net/2223/saudi-diplomat-murder-mystery-exposed
m.free-press-release.com/news-raw-trained-crusader-100-in-action-in-bangladesh-1335098104.html
ফলাফল:
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব আনুযায়ী ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত যেখানে ১৩ ব্যক্তি গুমের শিকার হন, সেখানে ২০১০ সালে ৩০ জন, ২০১১ সালে ৭০ জন এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত গুম হয়েছে ২২ জন। অর্থাত মহাজোট সরকারের গত সোয়া দু’বছরে গুম হয়েছে ১২২ ব্যক্তি। এই ভীতিকর পরিসংখ্যানই বলে দেয় সরকারি সংস্থাগুলো ছাড়াও কোন বিশেষ বাহিনীর তৎপরতা।
আওয়ামলীগের যত বিশেষ বাহিনী
রক্ষীবাহিনী
১৯৭২ সালে 'আর্মড পুলিশ এ্যাক্ট' সংশোধন করে মূলত মুজিব বাহিনীর একটি অংশ থেকে তৈরি এই সেনাবাহিনী প্যারালাল ওই মিলিশিয়া বাহিনী। স্বাধীন বাংলাদেশেও এই বাহিনীর প্রশিক্ষণ ভারতীয় অফিসাররা দিতেন বলে প্রমান পাওয়া যায়। এসএলআর হাতে সবুজ জলপাই রঙের ড্রেসের এই বাহিনী সবার নিকট ছিল এক মূর্তিমান আতঙ্ক। এদের হাতে নির্যাতনে ২৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বলে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে। এছাড়াও ই সময় রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় ১৯ হাজার মানুষ।
গুম ও খুন হয় এক লাখ। পিটিয়ে মারা হয় ৭ হাজার মানুষকে।
মুজিব বাহিনী
ভারতীয় গোয়েন্দাসংস্থা র এর তত্তাবধানে ভারতের দেরাদুনে মেজর জেনারেল সুজন সিং উবানের ট্রেনিংয়ে প্রায় ১০ হাজার সদস্যের এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন তত্কালীন তিন ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, সিরাজুল আলম খান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মণি। । মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানী কিংবা পূর্বাঞ্চলে ভারতীয় বাহিনীর অধিনায়ক জেনারেল অরোরা এর কমান্ডের বাইরে এই বাহিনী গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল মুসলমান ডানপন্থী ও চীনপন্থী বামদের হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব কৌশলে ছিনিয়ে নেয়া।
সেই লক্ষেই তারা মাঠে নামে। পরিস্থিতি এমন চরম হয় এক পর্যায়ে মণির নেতৃত্বে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদকে হত্যা করতে উদ্যত হয় এই বাহিনী । তাজউদ্দিনকে হত্যা করতে প্রেরিত ঘাতক আত্নসমর্পন করলেও যুদ্ধকালীন সময়েই বহু মুকতিযোদ্ধাকে হত্যা ও গুম করে এই বাহিনী ।
English version:April 23, 2012, Dhaka, Sri Lanka Guardian) Strictly scrutinized 100 armed cadres of the ruling Awami League in Bangladesh, who received 6-month long extensive commando training at Dehradun in India under the direct supervision of Indian espionage agency the Research and Analysis Wing are continuing various types of activities, including secret killing, abduction etcetera since June of 2010 with the mission of “clearing” a large number of politicians, media personnel and members of the civil society in Bangladesh. The team codenamed “Crusader-100” went to India during end September 2009 and stayed there till mid June 2010, where brilliant commando trainers of Indian Army gave extensive training to these people under the disguise of “training few young commandos of Bangladesh Army”. The entire project of “Crusader-100” was originally conceived by Indian Research and Analysis Wing (RAW) and the project was coordinated directly by the Bangladeshi Prime Minister and her defense advisor Maj. Gen. (Rtd) Tarique Ahmed Siddiqui.Maj. Gen. (Rtd) Tarique Ahmed Siddiqui maintains special connection with Indian RAW and British MI6 for decades, since he was in army service. Such relations of RAW and MI6 with him was because of his family relations with Sheikh Hasina. When Bangladesh Awami League formed government in January 2009, Maj. Gen. (Rtd) Tarique Ahmed Siddiqui became extremely important in the government due to his official position as the defense advisor to the Bangladeshi Prime Minister as well as his personal identity of being the brother-in-law of Prime Minister’s younger sister Sheikh Rehana. The selection of the entire batch of ruling party cadres, who were sent to India for commando training were directly done by Maj. Gen. (Rtd) Tarique Ahmed Siddiqui and a few of his loyal colleagues and retired army officers, while on return of the members of the “Crusader-100” team from India, they were provided a hit list comprising names of opposition politicians, members of Bangladeshi media and some members of the civil society. According to information, the list contains names of more than 83 people, who are planned to be “cleared” by the members of the “Crusader-100” gang. The members of these specially trained hitters are housed inside several buildings at Dhaka’s Gulshan and Baridhara areas. The Baridhara “bases” of the hitters is maintained directly by Maj. Gen. (Rtd) Tarique Ahmed Siddiqui and each of such places are equipped with sophisticated surveillance equipments as well as entry of civilians are restricted within these premises. Leader of Bangladesh Nationalist Party, M Ilias Ali, who became victim of enforced disappearance recently, was also named in the list of Crusader-100 force. My New Delhi contacts disclosed few of the names of the hit list, which include, political leaders Amanullah Aman, Mirza Abbas, Sadeque Hossain Khoka, Goyeshwar Chandra Roy, M Ilias Ali, Habibun Nabi Sohel, Abdullah Al Noman, Barrister Abdur Razzaque, Shafiul Alam Pradhan, ASM Abdur Rob, Mufti Fazlul Haque Amini and Moulana Fazlul Karim. Awami League and RAW have decided “clearing” the listed names latest by December 2013, which they consider to be “vital” for the ruling party in Bangladesh in returning into power.
The gang of Crusader-100 is equipped with sophisticated small and medium range weapons, mostly with silencers as well as bullet-proof jackets, gas bombs and vehicles for their operations. Some of the members of this gang use satellite phones to skip interception of any of the Bangladeshi intelligence agencies. Each of the members of this gang received healthy financial package alongside various types of extra benefits, including apartments in Dhaka city for the members of their families and small businesses. They are not allowed to show faces during the day-time and mostly required to stay inside their bases in Dhaka city. In case of emergency, when the members of the team are required to go on street during the day time, they are compulsorily required to wear black-tinted helmets, to hide their faces from the public. By rotation, members of the team are secretly taken to India for a break of 7-10 days for “amusement” purposes. In such cases, they are allowed to cross Bangladesh-India borders without any travel documents.
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।