পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ ছোট্ট জীবনে আট বছর হতে চলছে বিদেশ জীবন। মিলিত হয়েছি বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করা হাজারো বাংলাদেশি ভাইদের সাথে।
ভালমন্দ মিশিয়েই আমার অভিজ্ঞতা। আজ লিখব মানুষের কিছু স্বভাবজাত কথাবার্তা নিয়ে যা থেকে শজেই মানুষটিকে চেনা যায়।
মজার বিষয় হলো, এই ধরনের অহংকারি মানুষদের সকলের কথাবার্তার ধরণ প্রায় একই।
ভুলত্রুটি প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
১) এইতো কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু ৮ দিন দেশে থেকে ১১০,০০০ টাকা খরচ করে এসে বলল, দেশে জিনস পত্রের যে দাম! কিছুতেই হাত দেয়া যায় না। টেনে মেনে, চাপিয়ে চুপিয়ে একলাখ দশহাজার টাকায় কোনরকমে কাজ সেরে আসলাম।
>> আমি বললাম, আমাকে ১১০০০০ টাকা দিয়ে একমাস সময় দিলেও আমি ঐটাকা শেষ করতে পারমু না।
কসম
>
>
>> সে হাসতে হাসতে শ্যাষ।
২) অহংকারী: দেশের মানুষজন দেখে মনে হয় সবার ডাইরিয়া হৈছে। সবাই চিকন চিকন। দেখেই বুঝা যায় ঠিক মত খাইতে পায়না।
পজিটিভ থিনকার: দেশের মানুষের চেহারায় একরকম মায়া আছে।
এতদিন পর দেশে গেলাম তবুও সবাইকে কেমন আপন আপন লাগে। চেনা চেনা লাগে।
৩) অ: দেশে এত ঘুরে বেড়ালাম, একটাও সুন্দর মাইয়া পাইলাম না। তাই এইবারও বিয়া করবার পারলাম না। মেয়ে যাও দু'একটা একটু পছন্দ হয় সেটার আবার ফ্যামিলি ভাল না।
আর মেক্সিমাম মেয়েই খাট্টু, মনে হয় আর ঘোরাঘুরি করে লাভ নাই, বিদেশেই বিয়া করতে হবে
> পথি: গ্রামে গন্জে এত সুন্দর সুন্দর মেয়ে থাকে যে দেখলে দেখতেই মন্চায়। কোন মেকাপ নাই তবুও কত সুন্দর। একটু সাজুকাজু করে থাকলে তারা শহড়ের মেয়েদের থেকে অনেক সুন্দরী। বিয়ে আমি গ্রামের মেয়েই করুম।
৪) অ: ঢাকা শহড়তো একটা জাহান্নাম।
এখানে মানুষ কিভাবে বেঁচে আছে সেটা ভাবতে বেশ অবাক লাগে।
> পথি; ঢাকা শহড়টা বেশ উন্নত হয়েছে, অনেক বড় বড় দালান, শুধু জ্যাম কমিয়ে একটু পয় পরিস্কার রাখতে পারলে আর বিদেশেই আসতাম না।
৫) দেশের মানুষগুলো যার দিকে তাকাই তাকেই ভয় লাগ। লোভি লোভি লুক নিয়ে তাকিয়ে থাকে। মেজাজ চড়ম বিল্লা হয়ে যায়..
> পথি: গ্রামের মানুষগুলো সহজ সরল বিদেশি জানলে কৌতুহলি হয়ে কথা বলতে চায়, আর ঢাকার মানুষগুলোরতো কারো দিকে তাকানোর টাইমই নাই।
সবাই ব্যাস্ত।
৬) সে কি বৃষ্টি। বাহিরেই যাওয়া যায় না। এতদিন দেশে থাকলাম কোথাও বেড়াতেই যেতে পারি নি। বাহিরে বেরোলেই পোশাক নষ্ট।
> ইস্, অনেকদিন পর বৃষ্টিতে ভিজলাম। সে কি মজা। একেবারে ছোটবেলার কথা মনে পরে গেল।
৭) দেশে হায় হায়রে গরম। থাকাই যায় না।
পিঠের চামড়া পুড়ে যওয়ার অবস্থা। ধুর, এই দেশে কি মানুষ যায়????
> আমাদের এখানে আর দেশে প্রায় একই রকম গরম। কিন্তু দেশে গরমের দিনে আম কাঠাল, ইস কত্ত মজার। এইসব রেখে বিদেশে পরে মরি। তবে দেশের গরমে গা ঘেমে যায়, এই জিনিসটা খারাপ লাগে।
৮) দেশের কিডসরা বেশ মডার্ন হৈছে। শহড়ের কিডসরা সুন্দর সুন্দর হিন্দি বলে, ইংরেজিও পারে অনেকেই।
> হিন্দি চ্যানেল গুলা দ্রুত দেশ থেকে উঠিয়ে দেয়া দরকার। তা না হলে আমাদের সন্তানরা নিজেদের কালচার হারিয়ে ফেলবে।
৯) দশবছর পর দেশে গেলাম আবার দশ বছর পর যামু....
> ইস, দেশ ছেড়ে আসার সময় সবার কান্না দেখে আমারো কান্না পচ্ছিল।
সুযোগ থাকলে প্রতিবছরই দেশে যেতাম।
১০) চাইছিলাম দুইকোটি টাকা ইনভেস্ট করে দেশে ব্যাবসা শুরু করব। কিন্তু চোর বাটপারে দেশ ভরে গেছে, তাই এবার বিদেশে গিয়ে একটা ব্যাবসা শুরু করমু। (কচু)
> আর কিছুদিন বিদেশে থেকে লাখ বিশেক টাকা জমাইতে পারলে দেশে এসে একটা ঔষধের কিংবা একটা
কাপরের দোকান দিমু। শালার বিদেশ মানুষ করে.........
---
একটা এক্সট্রা ফান...
>> ফেবুতে পরিচয় হওয়া মেয়েটারে দেখতে গিয়া টাকা গুলাই নষ্ট।
>>>> ইস, সমুর কয়েকজন বন্ধুর সাথে দেখা করলাম, তাদের সাথে দেখা না হলে আমার সফরটাই বৃথা যেত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।