মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ ব্যাংকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “আমি আশা করি, এই ব্যাংক দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্র পান না। এই ব্যাংক তাদের বিনিয়োগের একটা ক্ষেত্র হলো। ”
জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কূটনীতিক ও বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরাও অংশ নেন অনুষ্ঠানে।
প্রবাসী উদ্যোক্তাদের দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে গত বছর সরকারের অনুমোদন পায় এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ফরাছত আলীকে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের অনুমোন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ৪০৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর গুলশানে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, “আমি মনে করি, প্রবাসী উদ্যোক্তাদের স্থাপিত এই ব্যাংক রেমিটেন্স প্রবাহ আরও গতিশীল করবে এবং সুবিধা বাড়বে। এসব ব্যাংক আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্প্রসারণেও ভূমিকা রাখতে পারে। ”
এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেন, “প্রবাসীদের অর্থ সাধারণত দেশের উন্নয়নমূলক কাজে আসে না। এই ব্যাংক হওয়ায় প্রবাসী আয় প্রকৃত উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ হবে বলেই আমার বিশ্বাস। ”
প্রবাসী উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে স্থাপিত এই ব্যাংকের কাজের পদ্ধতি যাতে অন্য ব্যাংকের তুলনায় আলাদা হয় সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের(বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের তুলনায় বিদেশে আমানত অনেক সস্তা। প্রবাসী উদ্যোক্তাদের স্থাপিত ব্যাংকগুলো যদি তাদের মোট আমানতের একটি অংশ বিদেশ থেকে সংগ্রহ করে দেশে বিনিয়োগ করেন, তাহলে অর্থনীতি উপকৃত হবে। একইসঙ্গে দেশের ব্যাংকগুলোর প্রতিযোগিতাও কমবে। ”
ব্যাংকের চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইকবাল আহমেদ ওবিই বলেন, “বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর সাথে যুক্ত হতে চাই।
আমাদের ব্যাংক রেমিটেন্স, আমদানি-রপ্তানিসহ বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ করবে। ”
ঢাকায় যুক্তরাজ্য দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার নিকোলাস লো ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনাও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড নামে আরও একটি ব্যাংক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এসব ব্যাংকের উদ্যোক্তারা প্রবাস থেকে পরিশোধিত মুল্যের অর্থ নিয়ে এসেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।