আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'ট্রামকার্ড' এর প্রতারনা, ভন্ডামি..........

'ট্রামকার্ড' বিষয়টা বাঙালী খুব ভাল বোঝে। জীবনে কখনো তাস খেলেন নি বা খেলা দেখেন নি এমন মানুষ বোধকরি কম পাওয়া যাবে। সেই যে জলিল ভাই রাজনীতিতে 'ট্রামকার্ড' দিয়ে গেলেন তার ফল প্রতিপক্ষের রাজনীতিবিদরা ভালই পাচ্ছেন। আকাম, কুকাম করেও যাতে ক্ষমতার স্বাদ অব্যাহতভাবে ভোগ করা যায় তার একটা পুর্ব পরিকল্পনা দেশের বড় দুই দলের সবসময়ই থাকে। নির্বাচনের সময় চটকদার ইশতেহারে গালভরা বুলি দিয়ে কোনমতে নির্বাচিত হয়ে জনগন যাতে আর ঐসব ওয়াদা মনে রাখতে না পারে তার জন্য থ্রো করা হয় একেক সময়ে একেক 'ট্রামকার্ড'।

গত পাচবছরের প্রথম ট্রামকার্ড ছিল ত্বত্তাবধায়ক সরকার বাতিল। এরপর সংবিধান থেকে মহান আল্লাহর নাম বাদ দিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করা, তারপর শাহবাগ, হেফাজত ইত্যাদি ইত্যাদি। রেজাল্ট কিন্তু মন্দ না। প্রথম দিন থেকেই বিরোধী দলের সংসদ বর্জন, ত্বত্তাবধায়ক নিয়ে একের পর এক হরতাল, মানুষ হত্যা, দেশের সম্পদ বিনষ্ট, তারপরের ইস্যুগুলোর কি পরিনতি তা সকলেই জানি। এই সব ট্রামকার্ড চালাচালির মধ্যে কিন্তু আসল কাম সারার যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছে তা হলো জনগনকে ভিন্ন দিকে ব্যাস্ত রেখে যতখানি সম্ভব দেশের সম্পদ লুটপাট করা।

শেয়ার বাজার, হলমার্ক, ডেসটিনি, পদ্মা সেতু, রেল, সড়ক, বিদ্যুত এমন কোন খাত নেই যেখান থেকে লুটপাট করা হয় নাই। এতসব ট্রামকার্ড ডামাডোলের মধ্যেও যেগুলো শুধু প্রকাশ পেয়েছে সেগুলোই আমরা জানতে পেরেছি। কথা হচ্ছে দেশের এত সমস্যা থাকতে কেন ক্ষমতায় এসেই ত্বত্তাবধায়কটা বাতিল করে একটা সেটেলড নন ইস্যুকে ইস্যু বানানো হলো? পাচ পাচটি বছর বিরোধি দলকে ব্যস্ত রাখা হলো জনগনের হাজারো সমস্যা বাদ দিয়ে ঐ একটা ইস্যু নিয়ে বছরের পর বছর পরে থাকতে। এখন আবার নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে এসে এর একটা গ্রহনযোগ্য সমাধান তারা মিউচুয়াল আন্ডারষ্ট্যানডিং এর মাধ্যমে করে নিবেন এতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু তারপর? আবার পরবর্তী সরকার যেই গঠন করবেন তিনি আবার ঠিক এরকমই এমন একটা বিষয় মাঠে ছুড়ে দিবেন যাতে সকলে সেটা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে আর সরকার নির্বিঘ্নে লুটপাট চালিয়ে যেতে পারে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের বিএনপি সরকারও ঠিক একই কাজ করেছিল তাদের লুটপাট অব্যাহত রাখার জন্য।

প্রশ্ন হলো, দেশ ও দেশের জনগনের সাথে এই প্রতারনা, ভন্ডামি আর কতকাল চলবে? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।