আমার সম্পর্কে বলার মত কিছু নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে ক্ষমতায় যায় মহাজোট: জলিল|
আওয়ামী লীগ সাংসদ আবদুল জলিল বলেছেন, মহাজোট সরকারের বিপুল বিজয় ও ক্ষমতায় যাওয়ার পিছনে ছিল বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে সমঝোতা। লন্ডনে স্থানীয় বাংলা টিভির সঙ্গে সাক্ষাত্কারে তিনি আরও বলেন, বর্তমান মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার(ডিজিএফআই)সদস্যদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন। এই সাক্ষাত্কারে তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী ট্রাম্পকার্ডের খেলোয়ার ও হাসিনার পোষা বড় বিড়াল এখন হ্যামিলনের বাশিওয়ালার মত বাশিতে ফুক দিচ্ছন, আর হাসিনার আঁচলের নিচে থাকা কালো বিড়ালগুলি হুড়মুড় করে বের হচ্ছে।
জলিল সাহেব বলেছেন, ৯৯% কেবিনেট মেমবারদের DGFI-এর সাথে কানেকশন আছে। জলিল সাহেব আরো বলেছেন, "মহাজোট has come to the power through an understanding. So I think there is an understanding between coming to power and the sweeping victory."
তিনি বর্তমান জেনারেন সেক্রেটারী সৈয়দ আশরাফুল সম্পর্কে বলেছেন, "আশরাফুল had fled the country after the promulgation of the state of emergency. শেখ রেহানা, the younger sister of the in**bent prime minister, later arranged his return to Dhaka after consulting with DGFI."
এই নেতা এখন ব্যক্তিগতভাবে শেখ পরিবারের ক্ষমতা অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ আহরনের তথ্যাদি প্রকাশ করছেন|শেখ হাসিনা সহ শেখ পরিবারের বাকি সবাই রাষ্ট্র ক্ষমতা অপব্যবহার করে গনলুটপাটের মাধ্যমে নিজদের ভাগ্য অতীতে যেমন গড়েছেন এখনও গড়ে চলছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির পূরোটাই লুটপাট মূখী, 'জেনারেল' জলিল এমন একটা সিন্ডিকেটেড চুরি সংগঠনেরই ইন্টিগ্রেটেড সদস্য। তত্ত্ব্বাবধায়ক সরকারের সময় এই নেতা নেত্রীর অপকর্মের তথ্যাদি প্রকাশ করেছিলেন। জলিল হাসিনা-রেহানার মিলিয়ন ডলার চুরি ফাঁস করেছে আর্মিদের কাছে ঠিক ডলা খেয়ে শেখ সেলিমও ফাস করেছে সব চুরির ঘটনা|আশ্রাফ তার ছোট ভাই যে অব: ব্রিগেডিয়ার, তার মাধ্যমে ডিজিএফআই এর সাথে ৯৭% ভোট ও ২৭০ আসনের ডিল ফাইনাল করাতে এক লাফে সাধারন সম্পাদক....!!!
জলিল সাহেব এবার আওয়ামীলীগের ধুতি-পেটিকোট খুলে ফেলেছে| ১০৩% ভোট আর ২৭০ আসন পাওয়ার মাজেজা হলো হাসিনা-রেহানার সাথে কারো কারো আন্ডা ষ্ট্যন্ডি; হয়েছে.........!!!
আব্দুল জলিল এখন যা বলছেন তা নতুন কিছু নয়, এটা সবাই জানতো যে আওয়ামী লীগ ইতিহাসের জগন্যতম শান্তিপুর্ণ মহাকারচুপির মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।
আব্দুল জলিল যা করেছেন সেটা হল যে কেউ একজন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বীকার করে নিলেন যে তারা ভোট চুরি করে, বিদেশিদের কাছে দেশের স্বার্থ তুলে দেয়ার ওয়াদা করে, দেশকে ভারতের কলোনি বানানোর ওয়াদা করে, দেশের ব্যবসা বানিজ্য কে ধংশ করে এদেশকে ভারতের বাজারে পরিনত করার ওয়াদা করে, দেশের স্বার্বভৌমত্বকে বিলিয়ে দিয়ে দেশকে টুকরা করার ওয়াদা করে ক্ষমতায় এসেছে।
আমি তো গত নির্বাচনের পর পরই এই ডাকু হাসিনাকে বলেছিলাম ভারতের মুখ্যমন্ত্রী হাসিনা কারজাই। এই নামকরন যে সঠিক ছিল তা প্রমানের জন্যে আর কি কিছুর প্রয়োজন আছে?
আওয়ামী লীগ যে মহাকারচুপির মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তা হাসিনার থেকে শুরু করে দলের উচ্চপর্যায়ের অসংলগ্ন কথাবার্তা থেকেই বেরিয়ে আসছিল।
এই দালাল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা অতিদ্রুততার সাথেই এসিয়ান হাইওয়ের নামে ভারতকে ট্রানজিট দিতে উঠে পরে লেগেছেন। হাসিনা বার বার বলে যাচ্ছেন যে ভারত নাকি নিশ্চয়তা দিয়েছে যে তারা বাংলাদেশ বিরোধি কোন কিছু করবে না।
অথচ পরিকল্পিত ভাবেই বাংলাদেশ কে এসিয়ান হাইওয়ে থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার জন্যে যেই দুটি আন্তর্জাতিক রোড বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে আসবে সেই দুইটিকেই ভারত থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে মধ্যে দিয়ে নিয়ে গিয়ে তারা তাদের ট্রানজিট বের করে নিচ্ছে। ভারত তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছে যে যদি ভারতের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ এই ইন্ডিয়ান হাইওয়েতে যোগ না দেয় তা হলে বাংলাদেশকে এশিয়ান হাইওয়েতে যোগ দিতে দেয়া হবে না। তাদের এই মনোভাবের পরেও কোন পাগলে বিশ্বাস করবে যে ভারত আমদের দেশের স্বার্থ বিরোধী কিছু করবেনা।
যে কেউ যদি এই রোডের প্লান টা দেখে তাহলে প্রশ্ন করবে যে দুইটি রোড ভারতের দুই দিক থেকে বাংলাদেশের ভিতর ঢুকার পর বাংলাদেশের মধ্যবর্তী জায়গায় এসে একই সাথে দুইটি রোড পাশাপাশি ভাবে পুনরায় ভারতের একই জায়গায় ঢোকার কারনটা কি। কেন দুইটি রোড মধ্যবর্তী স্থানে সঙ্গযুক্ত হয়ে একটি ভারতে অন্যটি মায়ান্মারের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে না? মধ্যবর্তী স্থানে যুক্ত হলে ভারতের দুই দিক থেকে আসা যানবাহন গুলো তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভারতের অন্য অংশে অথবা মায়ান্মারের দিকে যেতে পারতো।
এ থেকেই এটা পরিস্কার হয়ে যায় যে ভারত তাদের স্বার্থ হাসিল করে নিচ্ছে কিন্ত তার পরিবর্তে বাংলাদেশকে কিছু দেয়া তো দুরের কথা বাংলাদেশকে সম্পুর্নভাবে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। হয়ত বিধাতার ভুলে বাংলাদেশের ভুখন্ডে জন্ম নেয়া ভারতে দালালরা বলবেন যে আমি এখানে ভারত বিরোধী প্রচারনা চালাচ্ছি, আমি সেই ভারতীয় দালালদের বলতে চাই যে ভারতকে কিছু সুবিধা দিতে আমাদের আপত্তি না কিন্ত তার পরিবর্তে আমদেরও কিছু সুবিধা পেতে হবে। কিন্ত ভারত তার নিজের সুবিধা নিয়ে যাচ্ছে আর তার পরিবর্তে আমাদের কিছু দেয়া তো দুরের কথা আমাদের অধিকার টুকু কেড়ে নিতে চাইছে। এটা কোন দেশপ্রেমিই মেনে নিবে না শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ নামধারী ভারতীও দালাল ছাড়া।
এই ভয়ংকর দেশদ্রোহী আওয়ামী লীগের একজন যখন মুখ খুলে তখনই যে ভয়াবহ খবর বের হয়ে আসে এই জলিল হচ্ছেন তার উদাহরণ।
যদি আরও দুই একজন মতিউর রহমান রেন্টু বা আব্দুল জলিল বের হয়ে এসে তাদের মুখ খুলেন তাহলে দেখা যাবে এই আওয়ামী লীগ পুরটাই বিদেশি এজেন্ট ও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুসংগঠিত সন্ত্রাসী সঙ্গঠন।
সূত্র: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।