আমার জানা বলতে আমি কি বুঝি তাই জানি না। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ মাতৃকা ধর্মঘটের আঘাতে জর্জরিত ক্ষত বিক্ষত৷ আগামী মে মাসের মধ্যে মানবতাবিরোধী হিসেবে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায় কার্যকরের দাবীটি তীব্রতর হবার বাস্তবতা রয়েছে৷ অনেকেরই বিষয়টার উপরে সজাগ ও সচেতন পর্যবেক্ষণ-প্রয়াস রয়েছে৷ এই রায় বাস্তবায়নের পথ রুদ্ধ হবে যদি-
১) উচ্চ আদালত সাঈদীর রায় পরিবর্তন করে।
২) রাষ্ট্রপতি ক্ষমা প্রদর্শন করে।
৩) সরকার রায় কার্যকরণ প্রক্রিয়াটি স্থগিত রেখে সংলাপের নাটক সাজিয়ে কোনোমতে ৩/৪ মাস প্রলম্বিত করতে পারে যা আইন পরিপন্থি কিন্তু বাস্তবতাবিবর্জিত নয়। একটু বিশ্লেষণ করা যাক।
বর্তমানে চলমান ধর্মঘটের বন্যা জনজীবনে এবং সরকারযন্ত্রে এমন স্থবিরতা আনতে পারে যে দু’মাস পর ওই বিচার বা রায় বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা প্রধান বিবেচ্য বিষয় হবে না
-না জনগণের কাছে (কারণ তারাও স্বস্তি চায়)
-না সরকারের কাছে (কারণ তার মূল লক্ষ্যের সাথে এ রায় বাস্তবায়ন অবশ্যপ্রয়োজনীয় হবে না)
-না আন্তর্জাতিক মহলের কাছে।
সার্বিকভাবে মানুষের কাছে এক দফা দাবী সামনে আসবে ‘শান্তি চাই/ স্বস্তি চাই’। আর ওই পরিস্থিতি আনয়নের জন্য হেফাজতে ইসলাম’র মতো ভূমিকা আমরা সামনে আরও দেখতে পাবো।
আসলে কী হবে তা আমরা সময়মত জানবো যেহেতু অনেক সহিংসতার পরও অনেকেই বেঁচে থাকবো হয়ত। খুশি হবো যখন কোন ঘটনায় কিছু মূল্যবোধের চেতনায় মানুষকে একত্রিত শ্লোগানমুখর দেখবো আবার দুঃখিত হবো যখন দেখবো সেইসব মূল্যবোধের নানারঙ্গিন পোশাকে অগণতান্ত্রিক চেতনার নায়ক নায়িকারা স্বার্থরক্ষায় ব্যস্ত হবে- একটি নির্বাচন হবে আমরা তাকিয়ে দেখবো- সময় এগিয়ে যাবে।
সর্বোপরি জনতার জয় সুনিশ্চিত হোক- দিনশেষে প্রত্যাশা এতাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।