এ শহর ছেড়ে আমি পালাব কোথায়
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ থেকে মৌমাছি ক্রমে ক্রমে হারিয়ে যাওয়ায় সতর্ক সঙ্কেত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা এ নিয়ে নিজেদের চিন্তিত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন। মৌমাছি হারিয়ে যাওয়ার পেছনে বিশ্বব্যাপী কীটনাশক ব্যবহার বেড়ে যাওয়াকে সন্দেহ করছেন তারা। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জার্নাল সায়েন্সে বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। এতে দুই ধাপে গবেষণা শেষে গবেষকরা মৌমাছি হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বলেছেন, নিম্নস্তরে কিছু সাধারণ মানের কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মৌমাছির ওপর তাত্পর্যপূর্ণ প্রভাব পড়েছে।
প্রথম ধাপে গবেষণা কর্মটি চালান ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা। তারা এক্ষেত্রে রাসায়নিক পদার্থ ছিটানোর ফলে মৌমাছির মাথায় কী ধরনের প্রভাব ফেলছে তা পর্যবেক্ষণ করেন। এ পর্যবেক্ষণে তারা দেখেন রাসায়নিকের প্রভাবে ওইসব মৌমাছির দিক-নির্ধারণী ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। তারা ঠিকমত ঘরে ফিরতে পারছে না। দ্বিতীয় ধাপে ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালান।
গবেষণা শেষে তারা বলেন, তাদের পর্যবেক্ষণে থাকা মৌমাছিগুলো রানি উত্পাদনের জন্য মৌচাকে সরবরাহ করা খাদ্যগুলো নিজেদের কাছে জমা রাখে। জার্নালের লেখক ওই ধাপে গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে বলেন, দুই গবেষণার ফলাফলই নিউনিকোটিনয়েড নামের কীটনাশকের ব্যাপার নিয়ে তাদের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এ ব্যাপারে গবেষক দলের এক সদস্য স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব স্টিরলিংয়ের শিক্ষক ডেভিড গুইলসন বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা গবেষণার পুরোপুরি ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিত না হই, ততক্ষণ খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত থাকা মৌমাছির ওপর কীটনাশক ব্যবহার উচিত হবে না।
বিশ্বের শতাধিক দেশে কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত নিউনিকোটিনয়েডের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের ওই বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, এর প্রভাবে যুক্তরাজ্যে রানি মৌমাছির সন্তান উত্পাদনের হার প্রায় ৮৫ শতাংশ কমে গেছে। এ কারণে পরাগায়নে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
ফসল উত্পাদন কমে গিয়ে কেবল যুক্তরাজ্যেই বছরে ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৪৩০ মিলিয়ন ডলার।
একই ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশেও। মৌচাকগুলোতে মৌমাছির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসার এ প্রবণতাকে মার্কিন গবেষকরা বলছেন, ‘কলোনি কলাপস ডিজঅর্ডার’।
বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য গবেষকরা কিছু মৌমাছিকে খুবই মৃদু মাত্রার কীটনাশক মেশানো পরাগ ও চিনিযুক্ত পানি খাদ্য দেয়া হয়। আরেক দল মৌমাছিকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য দেয়া হয়।
ছয় সপ্তাহের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাসে থাকা মৌচাকে রানি মৌমাছি রয়েছে ১৪টি। আর কীটনাশক মেশানো খাবার দেয়া হয়েছে যে মৌচাকে—সেখানে রানি মৌমাছি মাত্র দুটি। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব স্টারলিংয়ের গবেষক ডেভিড গুইলসন বলেন, ‘বহুল ব্যবহৃত এসব কীটনাশক যে কোনো খামারের আশপাশে থাকা মৌচাকের ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে মৌমাছির সংখ্যা বিস্ময়করভাবে কমে আসে। ’ কীটনাশকের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ, অণুজীব এবং ফুলের সংখ্যা কমে যাওয়াও মৌমাছি কমার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা।
সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমসযুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ থেকে মৌমাছি ক্রমে ক্রমে হারিয়ে যাওয়ায় সতর্ক সঙ্কেত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা এ নিয়ে নিজেদের চিন্তিত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন। মৌমাছি হারিয়ে যাওয়ার পেছনে বিশ্বব্যাপী কীটনাশক ব্যবহার বেড়ে যাওয়াকে সন্দেহ করছেন তারা। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জার্নাল সায়েন্সে বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। এতে দুই ধাপে গবেষণা শেষে গবেষকরা মৌমাছি হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বলেছেন, নিম্নস্তরে কিছু সাধারণ মানের কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মৌমাছির ওপর তাত্পর্যপূর্ণ প্রভাব পড়েছে।
প্রথম ধাপে গবেষণা কর্মটি চালান ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা। তারা এক্ষেত্রে রাসায়নিক পদার্থ ছিটানোর ফলে মৌমাছির মাথায় কী ধরনের প্রভাব ফেলছে তা পর্যবেক্ষণ করেন। এ পর্যবেক্ষণে তারা দেখেন রাসায়নিকের প্রভাবে ওইসব মৌমাছির দিক-নির্ধারণী ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। তারা ঠিকমত ঘরে ফিরতে পারছে না। দ্বিতীয় ধাপে ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালান।
গবেষণা শেষে তারা বলেন, তাদের পর্যবেক্ষণে থাকা মৌমাছিগুলো রানি উত্পাদনের জন্য মৌচাকে সরবরাহ করা খাদ্যগুলো নিজেদের কাছে জমা রাখে। জার্নালের লেখক ওই ধাপে গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে বলেন, দুই গবেষণার ফলাফলই নিউনিকোটিনয়েড নামের কীটনাশকের ব্যাপার নিয়ে তাদের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এ ব্যাপারে গবেষক দলের এক সদস্য স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব স্টিরলিংয়ের শিক্ষক ডেভিড গুইলসন বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা গবেষণার পুরোপুরি ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিত না হই, ততক্ষণ খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত থাকা মৌমাছির ওপর কীটনাশক ব্যবহার উচিত হবে না।
বিশ্বের শতাধিক দেশে কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত নিউনিকোটিনয়েডের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের ওই বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, এর প্রভাবে যুক্তরাজ্যে রানি মৌমাছির সন্তান উত্পাদনের হার প্রায় ৮৫ শতাংশ কমে গেছে। এ কারণে পরাগায়নে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
ফসল উত্পাদন কমে গিয়ে কেবল যুক্তরাজ্যেই বছরে ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৪৩০ মিলিয়ন ডলার।
একই ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশেও। মৌচাকগুলোতে মৌমাছির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসার এ প্রবণতাকে মার্কিন গবেষকরা বলছেন, ‘কলোনি কলাপস ডিজঅর্ডার’।
বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য গবেষকরা কিছু মৌমাছিকে খুবই মৃদু মাত্রার কীটনাশক মেশানো পরাগ ও চিনিযুক্ত পানি খাদ্য দেয়া হয়। আরেক দল মৌমাছিকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য দেয়া হয়।
ছয় সপ্তাহের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাসে থাকা মৌচাকে রানি মৌমাছি রয়েছে ১৪টি। আর কীটনাশক মেশানো খাবার দেয়া হয়েছে যে মৌচাকে—সেখানে রানি মৌমাছি মাত্র দুটি। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব স্টারলিংয়ের গবেষক ডেভিড গুইলসন বলেন, ‘বহুল ব্যবহৃত এসব কীটনাশক যে কোনো খামারের আশপাশে থাকা মৌচাকের ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে মৌমাছির সংখ্যা বিস্ময়করভাবে কমে আসে। ’ কীটনাশকের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ, অণুজীব এবং ফুলের সংখ্যা কমে যাওয়াও মৌমাছি কমার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা।
সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।