সততাই সর্ব উৎকৃষ্ট পন্থা। আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কাজে আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে নিষেধ করে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করবেন।
নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী। [সুরা আত তওবাঃ ৭১]
আমরা নিজেকে ঈমানদার বলে পরিচয় দিই। কেননা আমরা আল্লাহ্র উপর ঈমান এনেছি। ঈমানদার পুরুষ অথবা ঈমানদার নারী হতে গেলে আমাদেরকে অবশ্যই ভাল কাজে আদেশ এবং মন্দ কাজে নিষেধ করতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই ভাল কাজের আদেশ দিয়ে থাকেন কিন্তু মন্দ কাজে নিষেধ কেউই করেন না।
সেক্ষেত্রে তারা ভয় পান। কিন্তু আল্লাহ্ ব্যাতিত অন্য কাউকে ভয় করলেই তো শিরক হয়ে গেল। এই আয়াতটি নিয়ে একটু ভালকরে চিন্তা করুন। আল্লাহ্ তায়ালা কেন আগে সালাতের কথা না বলে ভাল কাজে আদেশ এবং মন্দ কাজে নিষেধ এর কথা বললেন? সালাতের কথা কেন পরে বললেন?
এ প্রসঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আ'লাইহিওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! তোমরা অবশ্যই ভালো কাজের আদেশ দিবে এবং খারাপ কাজ থেকে নিষেধ করবে। নতুবা অনতিবিলম্বে আল্লাহ তা‘আলা নিজের পক্ষ থেকে তোমাদের উপর আযাব প্রেরণ করবেন।
অতঃপর তোমরা তাঁর নিকট দো‘আ করবে কিন্তু তোমাদের দো‘আ কবুল করা হবে না’ । (তিরমিযী হাদিসনং-৫১৪০)।
তাই আসুন আমরা সকলে সৎ কাজে আদেশ এবং মন্দ কাজে নিষেধ করি। অনেকেই ভাল কাজের আদেশ দিয়ে থাকেন কিন্তু মন্দ কাজের নিষেধ করেন না। আল্লাহ্ তায়ালার সকল আদেশ-ই পরিপূর্ণ ভাবে আমাদেরকে মানতে হবে।
কিছুটা মানবো কিছুটা মানবোনা এই করলে আমরা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্থ হব। তাই আল্লাহ্কে ভয় করুন।
''নিশ্চয় যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখে ভয় করে, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। ''
[সূরা মূলক : ১২] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।