বিবিসি জানিয়েছে, ‘সাতোসি নাকামোতা’ ছদ্মনামটি ব্যবহার করে সাইবারজগতে কাজ করতেন বিটকয়েনের স্রষ্টা একদল কোডার, এমনটাই ধারণা করা হয়েছে এতদিন। কিন্তু নিউজউইকের দাবি ভার্চুয়াল কারেন্সিটির স্রষ্টা আদতে একাধিক কোডার নয়; বরং লস অ্যাঞ্জেলেসবাসী ৬৪ বছর বয়সী ডোরিয়ান এস নাকামোতো।
অন্যদিকে নিউজউইকের ওই প্রতিবেদনের বিরোধিতা করেছেন খোদ নাকামোতো। মডেল ট্রেইনের সংগ্রাহক নাকামোতোর দাবি বিটকয়েনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই তার। একজন সাংবাদিক তার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তার ছেলের কাছ থেকেই ভার্চুয়াল কারেন্সিটির ব্যাপারে প্রথমবারের মতো জানতে পারেন তিনি।
নিউজউইকের ওই প্রতিবেদনটি অনুযায়ী, সাপ্তাহিক পত্রিকাটির লিয়া গুডম্যান বিটকয়েনের স্রষ্টার খোঁজ শুরু করেন পাবলিক রেকর্ড থেকে। সাতোসি নাকামোতো নামের সব মার্কিন নাগরিককে খুঁজে বের করেন গুডম্যান। এরপর তাদের সবার অতীত জীবন, পড়াশোনা এবং কাজের ইতিহাস খুঁজে বের করেন তিনি। সবকিছু মিলিয়ে ডোরিয়ান এস নাকামোতোকেই বিটকয়েনের স্রষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করেন গুডম্যান।
এদিকে ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেশ বেকায়দায় পড়েছে নিউজউইক।
বিটকয়েনের লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন গুডম্যান যে তথ্য প্রমাণ দিয়েছেন তা ডোরিয়ান এস নাকামোতোই যে বিটকয়েন স্রষ্টা তা সন্দেহাতীত প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট নয়। বিটকয়েন টক ফোরামের প্রতিবেদনটিকে সরাসরি ‘ভুয়া’ বলেছেন অনেকেই।
আবার প্রতিবেদনে ডোরিয়ার নাকামোতোর ব্যক্তিগত ছবি এবং পারিবারিক তথ্য প্রকাশ করার কারণেও নিউজইউককে দুয়ো দিয়েছেন অনেকেই। তবে গুডম্যানের দাবি সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য এমন তথ্যগুলোই প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।