ডাকেন বাবা আপিস ফিরে-
"ফকলা খোকা কেমন আছিস, আছিস ব্যাটা ?
এ কেমন পুচকি সোনা মেয়েলি-কথা,
তোর মা জানালো-তুই দাত হারিয়ে
চক্ষু ব্যরাম সঙ্গে নিয়ে
কেঁদেই বেরাস ওই পরশু থেকে । "
" বাবা, মা সব
না বুঝে কিছু উলটো বুঝে ।
ফকলা আমি সত্যি কথা
সত্যি এটা পরশু থেকে ।
ফকলা হতে, দাঁত টে রাখি বালিশ তলে,
ভোর হতে আর নেই যে ওরা ,
খাটাশ দুটা
চোর জোরা দুই ইদুর দোষে । "
টাই খুলতে খুলে খুলেন বাবা, চিন্তা মুখে-
" এই রে ব্যাটা
এটা কি জানালি ?
খাটাশ দুটোর এতই সাহস !
নোটিশ বিনা পালিয়ে গেলো,
তুই রে ব্যাটা আমার ছেলে
ইদুর বুকে এতই পাটা ।
না কি , শর্ষে ঘোসে নাকের ডগায়
ঘুমিয়ে ছিলি দিব্বি সোজা ? "
" ওটাও বরং মানছি তবে ,
তাই তো এখন আমি ঘুম হারিয়ে
র্যামবো সেজে মশাল জেলে
খুজছি ওদের দফায় দফায়
গুদাম ঘরে আজ থেকে নয়
সেই পরশু থেকে। "
কায়ক্লেশে গা , বাবার টা আর কতই ভারি ।
তবু বাবা সে দির্ঘ শ্বাসে-
" নাহ , না রে ব্যাটা ।
তোকে দিয়ে আর হবেন্না রে ।
খোক্কোশ পুত অলিউল্লাহ প্রেত
পেতনি আমার ঘরে আসার
ঘণ্টা চার চৌদ্দ আগে
ফু দিতে বুকে
বিসমিল্লাহ শুধু পড়তে থাকে, আর
তুই, পারিস নে দুই ইদুর সাথে পানজা লড়ে ।
আজ এই তবে তো কাল ফের শোনাবি,
যে টিকলাটিকি , তেল চেটে পাঁচ খয়রি পোকা,
কেশাবৃত আঠ মুন্ডু টেঁকো মাকড়ি বোঁচা,
আর হুক্কাহুয়া শৃগাল চুঁচো সর্প বেজি,
তোর কারনে পরে থাকবে ওরা ফ্লোর মেঝে তে
কেজি তে কেজি ।
আজ সব গুলো চোর চুরির দায়ে
এরাই হবে পরশু থেকে জোর খাটিয়ে
দোস্বু দোষী ।
নাহ, না রে ব্যাটা ঠিক বুজেছি
তোকে দিয়ে আর হবেন্না রে ।
হাফ প্যান্ট পরে ফুল প্যান্ট দের কুশতি লড়াই
পারবি না রে । বাপের ব্যাটা সাদ্দাম
একাই কাফি, তোকে দিয়ে আর সেটা
হবেন্না রে ।
"
"ধুরো বাবা !
মা না বুঝে কিছু উলটো বুঝে
ওটাই ভালো ।
আর তুমি না বুঝে সব পাল্টে বুঝো ।
ফকলা হতে দেখায় কেমন তাই বাঁচি নে,
দাঁত গুলো তো পেতেই হবে,
জোরা তালির শক্ত আঠায় অ-ফকলা
আবার হতেই হবে ।
বালিশ তলে রেখেছিলাম ওদের কেনো
কেনো বলোতো, কোন মনে তে ?
আরে আনবো যবে খাটাশ পাজি ইদুর ধরে
তোমার কাছেই ছুটবো আমি সর্ব আগে ।
দাতের জাগায় দাঁত থাকিবে আপনা মনে,
তুমি যবে বাবা
বিসমিল্লাহ ফু মন্ত্র যাদু
ফকলা খানায়
পড়ে দিবে ।
"
ঘড়ির কাটা সেকেন্ড চোদ্দো, তারও
আরো একটু পরে বাবা জানালো-
"আচ্ছা যা ভাগ ভাগ রে তবে
গোসল সারি আগে ভাগে,
মন্ত্র ওটা পড়তে মানা,
পড়িলে মন্দ ঘটে গৃহস্থানে,
তবে কি আর
আর তবে ?
ফকলা হাশি দেখার চেয়ে তোর
বরং ভালো
মন্দ আরো অঢেল বেশি ।
আচ্ছা তবে, যা ভাগ রে এখন,
আমি মন্ত্র পড়ার কাজেই লাগি । "
বাবা আমার মাথায় কদম ছাটে হাত বুলাতেই
আমি খুশি ভিশনভাবে , স্কুল নেই মা শুক্র শণি
তেমন খুশি ।
বাবার কোলে সাঁত বছরের ফকলা মানিক ।
গুদাম ঘরের র্যামবো মিশন
অর্ধ পথে এসেই ছেড়ে
এখন উনি পেটুক হবেন
কাল টিফিনে
চিকেন হট নোন্তা পেটিস
আর মুর্গি ঠ্যাঙ্গের মাংশ ভাজি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।