আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আনু মুহাম্মদ

বুদ্ধিবৃত্তিক জগৎ যদি বাণিজ্যে বসত গাড়ে তখন পুরো সমাজেরই বিপদের কাল হাজির হয়, আর এই জগৎ যদি মেরুদন্ড হারিয়ে দাস হিসেবে প্রভু তোষণে সকল শক্তি নিবেদন করে তখন আর কোনো পথই অবশিষ্ট থাকে না। বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের অন্যতম কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি এই প্রতিষ্ঠানটিকে সেই জায়গায় নিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন? যে WTO সারা বিশ্বে শিক্ষা চিকিৎসাসহ সর্বজনের সম্পদ ব্যক্তির ব্যবসায় দিয়ে দিতে সক্রিয়, যে সংস্থার নীতিমালার কারণে ভারতসহ বহুদেশে লক্ষ কৃষক আত্নহত্যা করেছেন, যে সংস্থার বিরুদ্ধে ১৯৯৯ এর সিয়াটল থেকে শুরু করে প্রতিবছরই বিশ্বের বহু দেশে রক্তাক্ত বিক্ষোভ হয়েছে, যে সংস্থার কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে দক্ষিণ কোরীয় কৃষক WTO সম্মেলনে সবার সামনে আত্নহত্যা করেছিলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে উঠছে যে সংস্থার বিধিমালা, বিশ্বের শত শত কোটি মানুষের জীবন যে সংস্থা বিপন্ন করে তুলছে তার প্রধান পাসকেল ল্যামীকে সম্মানজনক ডিগ্রী দিয়ে সমাবর্তনের প্রধান বক্তা বানানো হয়েছে। এর যুক্তি কী? মনে হয় ঢাবি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে ’জ্ঞান’ এখন মানুষ ও প্রকৃতি বিনাশী বাণিজ্য আগ্রাসনের চিন্তা ও সক্রিয়তা ছাড়া আর কিছু নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কৃতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অপমান করেছেন একজন দুর্বৃত্ত খলনায়ককে তাদের সামনে মহানায়ক হিসেবে হাজির করে। যারা প্রতিবাদ করেছেন তারা মানুষের অস্তিত্বেরই জানান দিয়েছেন। তাদের অভিনন্দন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।