মিথ্যার চেয়ে সত্য বলা কঠিন। এই কঠিন কাজটিই করে যাচ্ছি এবং যাবো গত ২ বছর আগেও চাঁদপুরকে পুরো বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে শান্ত একটি শহর হিসেবে বর্ননা করা যেত। কিন্তু ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের কল্যানে এখন শংকায় দিন কাটায় পুরো শহরের ব্যবসায়ীরা সহ সাধারন শহরবাসীরা।
ঘটনা -১: গতকাল রাতে ছাত্রলীগের কর্মীরা অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে একটি নিরীহ ছেলের পায়ের রগ কেটে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। পুলিশের সামনে ১৫০ এর মতো ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালায়, সবার হাতে ছিলো দেশীয় অস্ত্র।
পুলিশ নির্বাক কারন সোনার ছেলেদের মুখে স্লোগান ছিলো "জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু"। ৩ মাস আগে ছাত্রলীগ নেতা খোকন মজুমদার শহরের নাজিরপাড়া এলাকার আরেক ছাত্রলীগ নেতা মুরগী রাজুকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। সেই ঘটনার জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় মুরগী রাজু ও তার সঙ্গীরা খোকন মজুমদারকে কুপিয়ে আহত করে। বর্তমানে খোকন মজুমদার ঢাকায় চিকিতসারত আছে। তাকে কুপানোর খবর প্রকাশ হবার পর তার প্রায় দেড়শ কর্মী প্রায় ৩ ঘন্টা শহরের বিভিন্ন জায়গা হামলা-ভাংচুর করে।
রাত ৯.৩০ এ খোকনের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শহরের নাজিরপাড়ায় হামলা চালায়। ওরা মুরগী রাজুকে না পেয়ে সামনে যাকে পায় তাকেই যখম করে। ওদের হামলায় ৬০ বছরের বৃদ্ধ থেকে ২৮ বছরের তরুন সবাই আহত হয়। এর মধ্যে বিল্লাল দেওয়ানকে পায়ের রগ কেটে, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ঘটনাস্থলে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। যদিও বিল্লাল দেওয়ান একজন নিরীহ যুবক ছিলো, মূল ঘটনার সাথে তার কোন ধরনের সম্পৃক্ততা ছিলো না।
ঘটনা -২ : কয়েকমাস আগের ঘটনা। ছাত্রলীগ কমিটিতে স্থান পাওয়ায় শহরের ৭০টি প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর চালায় ছাত্রলীগ নেতা মোক্তার। ক্ষতির পরিমান ৫০ লাখ টাকা। সে ঘটনায় পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করেনি যেখানে পুলিশের সামনেই গরিব ব্যবসায়ীদের সবকিছু ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছিলে সন্ত্রাসীরা।
ঘটনা - ৩: মাদক বিক্রির অপরাধে গ্রেফতার হয় ছাত্রলীগ নেতা রবীন।
তার বেডরুমের ওয়ারড্রবের থেকে পুলিশ উদ্ধার করে ৫৬০ বোতল ফেনসিডিল। কিন্তু পরদিন তাকে পুলিশ ছেড়ে দেয় এই মর্মে যে, উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলগুলো যে ছাত্রলীগ নেতা রবীনের তার কোন প্রমান পুলিশ পায়নি। হোয়াট আ ফাকিং জোক। ওর বাসা থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার হওয়ার পরেও প্রমান লাগবে যে সে মাদক ব্যবসায়ী????
অনেক হতাশা থেকে আজকের এই পোস্ট। কারন গতকালকের হত্যাকান্ড খুবই দু:কজনক ও পীড়াদায়ক আমাদের জন্য।
যেই ছেলেটি মারা গিয়েছে খুবই নিরীহ একটি ছেলে ছিল। বাবা মৃত, গরিব মা অনেক কষ্ট করে বড় করেছিলেন এদের। আজকে আছরের নামাযের পরে হবে বিল্লাল ভাইয়ের জানাযা। তার রূহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং খুনী পশুদের শাস্তি দাবী করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।