অপেক্ষায় আছি সেই পলিনেশিয়ান তরুণীর যার বাম কানে সাঁজানো লাল জবা... ডিজনি র সাথে পরিচয় নেই এমন লোক নেটে খুঁজে পাওয়া ভার। ছোটদের তো অবশ্যই বড়দের সবার প্রিয় ডিজনির কার্টুন, এনেমেশন ফিল্ম। এই এনিমেশনগুলোর কিছু চরিত্র রিতিমত বিখ্যাত, অনেকের স্বপ্নের চরিত্র। সেই চরিত্রগুলো যদি বাস্তব জীবনে থাকতো তবে তারা দেখতে কেমন হত! Jirka Vinse Jonatan Väätäinen নামক একজন ফিনিশ গ্রাফিক ডিজাইনার ফটো কমপোজিটিং এবং ডিজিটাল পেইন্টিং এর মাধ্যমে ডিজনির কিছু জনপ্রিয় নারী চরিত্রকে এঁকেছেন নিজের মত করে। আসুন দেখা যাকঃ
স্নো হোয়াইট কে মনে আছে; স্নো হোয়াইট নামের সেই মেয়েটি যার সাথে ছিল সাতটি বামুন, অথবা সেই কথা বলা ম্যাজিক মিররের কথা?!
"Magic mirror on the wall / Who is the fairest of them all?"
"Queen, you are full fair, 'tis true, but Snow White is fairer than you."
স্নো হোয়ইট ইয়ার্কার চোখে যেমনঃ
রাপুনজেল কে ভুলে গেলে কি চলে! স্বর্নকেশী সেই সুন্দরী যার চুল বেয়ে ডাইনী বুড়ি বাসায় উঠে আসতো, যে বাসা ছিল বনের ভেতর উচু একটা জায়গায়।
এই গল্প নিয়ে একটা চমৎকার এনিমেশন ফিল্ম দেখেছিলাম ট্যাংগেলড ।
আসুন দেখি স্বর্নকেশীকেঃ
চার্লস ডজসনের ওয়ান্ডারল্যান্ডে অ্যালিসের অভিযানের (Alice's Adventures in Wonderland ) গল্প আমাদের সবার জানা। সেখানে সে সাদা খরগোশ, ফ্লেমিংগো পাখি সহ অদ্ভুতুরে অনেক জীব-জন্তুর সাথে সময় কাটায়। কেমন ছিল অ্যালিস? আসুন দেখিঃ
ডিজনির ফেয়েরি টেলসের চরিত্রগুলোর মাঝে এরিয়েল আমার খুব পছন্দের। মৎসকন্যা এরিয়েলের যাদুকরী কন্ঠ কি ভোলা যায়? এরিয়েলকে নিয়ে The Little Mermaid ম্যুভিটি নিশ্চই অনেকের দেখা।
এরিয়েল দেখতে কেমন? আসুন দেখিঃ
এবার বেলাকে দেখবো আমরা, বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট এর বেলা। বেলাকে ভালোবেসে বা বেলার ভালোবাসায় মানুষ হয়েছিল ভয়ঙকর জানোয়ারটা, দ্য বিস্ট! বাস্তব জীবনে কি বেলা হারিয়ে যায়, জানোয়ার দ্য বিস্ট হয়ে পরে থাকে অভিশপ্ত!!
এবার প্রিন্সেস জেসমিন ! আলাদিনকে সবাই চেনেন, সবাই তার যাদুর চেরাগ আর চেরাগের দৈত্যকে চেনেন নিশ্চই। আসুন দেখি আলাদিনের প্রিন্সেস জেসমিনকে!
টারজান নিঃসন্দেহে বনের রাজা। টারজান বাঘ-সিংহ কাউকে ভয় পেতনা। কিন্তু আমার ধারণা একজনকে সে ঠিকই ভয় পেত।
কে সে? অবশ্যই জেনি পর্টার !! তা দেখতে কেমন জেনি?
টিয়ানা কে মনে পরে? টিয়ানা, রাজকন্যা আর সেই ব্যাং? ব্রাদার্স গ্রিমদের লেখা দ্য ফ্রগ প্রিন্স ফেয়েরি টেলস দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে ই ডি বাকের দ্য ফ্রগ প্রিন্সেস উপন্যাস লেখেন। পরবর্তিতে ডিজনি মোটামুটি এই কাহিনীর উপর (পুরোপুরি নয়) ভিত্তি করে ম্যুভি নির্মান করে দ্য প্রিন্সেস এন্ড দ্য ফ্রগ । আসুন সেই রাজকন্যা টিয়ানাকে দেখি তার একটা প্রেমময় চুমু মানুষ করেছিল অভিশপ্ত রাজপুত্রকে!
এবার আমরা সিন্ডেরেলা কে দেখবো। অসম্ভব সুন্দরী, বুদ্ধিমতি এই মেয়েটি তার সৎমা আর বোনদের অত্যাচারে ছিল অতিষ্ঠ তার জীবন ছিল ভয়ঙকর। পরবর্তিতে এক রাজপুত্র আসে তার জীবনে!
মুলান বা মিউলান ডিজনির ৩৬ তম এনিমেটেড ম্যুভির কেন্দ্রিয় চরিত্র এবং প্রথম ইস্ট এশিয়ান রাজকন্যা।
আসুন চৈনিক এই সুন্দরী রাজকন্যার সাথে পরিচিত হই!
এবার আমরা পরিচিত হবো পোকোহন্তাসের (উচ্চারণ কি ঠিক আছে?) সাথে। ডিজনির ৩৩ তম ফিচার ফিল্ম Pocahontas যা একই নামের একজন ন্যাটিভ অ্যামেরিকান মহিলা র চরিত্রের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।
আমার চোখে পৃথিবীর সর্বসেরা উপন্যাসগুলোর একটি ভিক্টর হুগোর নটরডেমের কুঁজো । মনে আছে এসমারেলদার কথা, সেই জিপসী মেয়েটা অথবা কোয়াসিমোদো নামের সেই কুঁজো যে এসমারেলদার প্রেমে পরেছিল, জীবন দিয়েছিল? ডিজনি The Hunchback of Notre-Dame ম্যুভিটি রিলিজ করে ১৯৯৬ সালে। আসুন একনজরে এসমারেলদাকে দেখি!
ডিসক্লেইমারঃ
এই পোস্ট টি লেখায় আমার কোন কৃতিত্ব নেই।
আগ্রাহী যে কেউ ইয়ার্কার ব্লগটি দেখতে পারেন। পোস্ট টি আমি আমার একজন বন্ধুকে উৎসর্গ করছি যে আমাকে প্রথম ফেয়েরি টেলসের জগৎ চিনিয়েছিল; এরিয়েল, বিউটি এন্ড দ্য বিস্টের গল্প শুনিয়েছিল।
সংযুক্তিঃ
১ , ২ কার্টেসিঃ পীরসাহেব ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।