দায়িত্ববান নাগরিক
বাংলাদেশ এর ই ত মানুষ এই রাজাকার গুলা । পারল কেম্নে নিজ দেশ এর সাথে এরকম বেঈমানি করতে ? কেমনে পারল নিজ দেশ এর স্বাধীনতার বিরোধিতা করতে ? মুক্তিযোদ্ধারা যখন নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশ এর মুক্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করছিলেন , দেশ এর আপামর জনতা যখন নিজেদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে , তখন এই রাজাকার , আল- বদর , এরা কিভাবে পেরেছিল এসব স্বাধীনতাকামী তরুন মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ? কিভাবে পেরেছিল মানুষ কে খুন করতে , নিজ মা- বোনের কথা কি এদের একবার ও মনে পরে নি ধর্ষণ করার সময় ? বেয়নেট দিয়ে নিরীহ মানুষ কে কিভাবে মারতে পেরেছিল এরা ? কিভাবে পেরেছিল মানুষ কে জীবিত কবর দিতে ? কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প এ নিয়ে নিজ দেশ এর তরুন মুক্তিযোদ্ধা দের উপর অত্যাচার করতে পেরেছিল কিভাবে? এদের মানুষ বলতে লজ্জা হয় , পশু বললে পশু কে অপমান করা হয়। আজ ২০১৩ তে বসে সেসব দৃশ্য কল্পনা করতে , সেসব মৃত্যু কল্পনা করতেই আমার রক্ত হিম হয়ে আসে। আর যারা ১৯৭১ এ এসব কিছুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমাদের কে স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন , তাদের অবদান টা আসলে পুরোপুরি আমরা কখনোই অনুভব করতে পারব না । তাঁদের ঋণ কোনোদিন ই শোধ হবার নয় ।
কোনোদিন ই না।
৩০ লাখ শহীদ আর ২লাখ মা বোনের রক্তে স্নান করে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ এ সেই যুদ্ধাপরাধী রা যখন বিজয় চিহ্ন দেখায় , গাড়িতে আমাদের বাংলাদেশ এর পতাকা উড়িয়ে ঘুরে বেড়ায় , তখন বিবেকের দহন কে আমরা আর অস্বীকার করতে পারি না। আমাদের বিবেক আমাদের ঘরে বসে থাকতে বাধা দেয় , আমরা রাজপথে নেমে আসি - একবার এবং বারবার । শহীদ জননীর হাত ধরে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল যুদ্ধাপরাধী দের ফাসির দাবিতে , আজ ও তা অব্যাহত রয়েছে । বাংলার মাটি কে রাজাকার মুক্ত করতে না পারলে নিজেদের বিবেক এর সামনে কখনোই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না ।
২৮ জুন আমরা এই দাবি তে আর একবার এক হচ্ছি শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে । আমরা জানিয়ে দিতে চাই আমরা বাঙালি রা বাংলা মা এর অপমান সহ্য করতে পারছি না । আমরা আমাদের বিবেকের দহন কে আর অস্বীকার করতে পারছি না । শহীদ জননী চেয়ে দেখ , আমরা ঘুমাই নি , আমরা জেগে আছি , জেগে থাকব । প্রয়োজনে জেগে উঠবো বার বার।
মা,তোমার স্বপ্ন পূর্ণ হবার আগে তোমার সন্তানেরা থামবে না । ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা - বোন , আমরা তোমাদের খুনি দের ছাড়ব না । তোমরা দেখছ ত আমাদের ? আমাদের কে আশীর্বাদ করছ তো ? পারব ত তোমাদের রক্তের বদলা নিতে ? পারব ত ওই কুলাঙ্গার গুলার ফাঁসির দাবি তে সফল হতে ? বাংলার বুক থেকে রাজাকারের আস্ফালন প্রতিহত করতে পারব ত?
ভাই - বোনেরা , ২৮ তারিখ আমরা বাংলাদেশ এর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষেরা শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানব বন্ধন করছি যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির দাবিতে । আমাদের এই আন্দোলনে আমরা বাম- ডান বুঝদান , হেফাজত - জামাত, আওয়ামী লীগ - বি- এন পি , আস্তিক - নাস্তিক , ব্লগার- নন ব্লগার কিচ্ছু বুঝি না , কিচ্ছু জানতে চাই না। আপনি যদি বুকে হাত রেখে বলতে পারেন আপনি বাঙালি , আপনি যুদ্ধাপরাধী দের ফাঁসি চান , তাহলেই আপনি আমন্ত্রিত ।
আর কোন পরিচয় আমরা জানি না।
তাহলে আসুন আমরা সবাই ২৮ তারিখ এ বিকাল ৪ টা থেকে মানব বন্ধনে যোগ দেই। মানব বন্ধন শেষে আমরা একটা মিছিল করব শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর থেকে টি এস সি পর্যন্ত । সব রাজাকার কে জানিয়ে দেই যে তাদের দিন শেষ হয়ে এসেছে । আসুন জানিয়ে দেই , "আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালোবাসি ।
"
by জান্নাতুল ফেরদৌস পূণ্যা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।