আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওয়েক আপ্ কিডো... জীবন বড়ো সুন্দর, বাম আর ধর্ম গিলে তাকে নষ্ট করা অর্থহীন

অ আ জনৈক বিপ্লবী বাসনায় আক্রান্ত মনের দুঃখ নিয়া কইলো... //বুর্জোয়া পরিচালিত রাষ্ট্রে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর বলদ হয়ে থাকার বাসনা তীব্র থাকে, তারা স্বপ্নেও বলদ দেখে। এই শ্রেণী ধরেই নিয়েছে মানুষকে বলদ হয়েই জীবন কাটাতে হবে তাই সহজেই প্রভুদের কাজে বিক্রি হয়ে যায়। শ্রেণীসংগ্রাম বা শ্রেণীবিহীন সমাজের ধারনাগুলোকে অবাস্তব হাস্যকর বলে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে মানুষকে স্বপ্নহীন করতে এই শ্রেণীর জুড়ি নেই, যদিও তারা ইচ্ছাপোষন করে বা স্বপ্ন দেখে তারা একদিন বলদ থেকে মহাবলদ, মহাবলদ থেকে বুর্জোয়া বা পেটিবুর্জোয়া হয়ে উঠবে। // মার্কসবাদে আসক্ত ক্ষুদ্র অংশ পোলাপানের মাঝে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে তীব্র ঘৃনা দৃশ্যমান, তার একটা ছোট নমুনা উপরের উক্তিটি। নিজের চারপাশে মানুষ দেখে এরা, কিন্তু সর্বক্ষন এধরনের হিস্টরিয়া এবং ঘৃনা নিয়ে জীবন বহন করে বেড়ায় এই মার্কসবাদে আক্রান্ত তরুনেরা।

ঠিক যেমন মাদ্রাসার বেড়া থেকে বাকি জগতের দিকে বিদ্বেষের দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে নূরাণী বালক, তেমনি এক অদৃশ্য ও অস্পৃশ্য কল্পজগতে বাস করে মার্কসবাদের বটিকা সেবনকারীগন। এই বটিকার প্রভাব যখন প্রবল হয়, তখন ধর্মবাদীদের মতোই অপরাধের পথ বেছে নিতে দেরি করে না তারা। কারন তাদের শেখানো হয়েছে, বঁযোঁয়াদের এই কাঁচের পৃথিবীতে 'আঘাত' করতে হবে, সশস্ত্র 'সংগ্রাম' তাদের করতে হবে, যেমনটা করেছে নকশালপন্থী, অথবা হালের মাওবাদীরা। বেদনার্ত আমি তারে তাই কইলাম: হপন্‌ দেখেন, কে মানা করসে? পুরান চিন্তা ভর্তি কতগুলা কেতাব পড়েন আর হপন দেখেন। কিন্তু নিজের জীবন থামাইয়া দিয়েন না।

হপন দেখা যদি আপনার হবি হয়, অথবা হপনধর্মী চটি পড়লে যদি আপনার বিপ্লবের উত্তেজনা প্রবল হয়, তাতে আমাগের কি? কন্? তবে, এইসব কইরে কিন্তু আপনি নিজেদের আইসুলেটেড করে ফেলতেসেন, বোঝেন? দুনিয়াতে কর্মজীবী, সফল অসফল পেশাজীবি অথবা যারা সভ্যতায় ক্রমাগত সংযোজন করে যাচ্ছে, তাদের আপনি নানাবিধ বলদ, অতিবলদ, সুপারবলদ, তারপরে মহাবলদ জাতীয় ঘৃনাত্মক শব্দ বলতে বলতে তীব্র উত্তেজনায় পাগল হইতে পারেন, কিন্তু তাতে ‌রিয়েলিটির কিছুই হবে না। মার্কসীয় বালছাল পড়ে আপনাদের এই যে মাথা নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলশ্রুতিতে আপনারা সাম্রাজ্যবাদ নামের একটা প্রাচীন কনসেপ্টের পিছে ডন কিহোটী‌র মতো লাইগা থাকেন, এবং পতিত হইতে হইতে একসময় মৌলবাদের সাথেও আঁতাত শুরু করেন, এইগুলা কি দুনিয়া দেখে না মনে করসেন? দুনিয়া ঠিকই দেখে, আর ভাবে.. আহারে..শিবির যেমতে চোখা পোলাপানরে টার্গেট করে, তেমনি মাক্সবাদীরাও বিশ্ব বিদ্যালয়ের আবেগী পোলাগুলারেও টার্গেট করে, তাগোরে মুরগী বানায়া নিজেরা পরে মিনিস্টার হয়, মাঝখান দিয়ে পোলাগুলির যৌবন পার হয়ে যায়, সম্বিত যখন ফিরে, জীবনের তীব্র স্রোতে যখন তারা পাথরে ধাক্কা খেতে শুরু করে স্বপ্ন তখন ফিকে হয়ে যায়। আমি শুধু বলি, বিশেষ করে তরুণদের, যাদের এখনো হাতে সময় আছে, বুইড়া বাম ভামগুলিরে দেখো, তাদের পাঁচটা বাড়ি চোখ খুলে দেখো, বেনামী ট্রাকের বহর দেখো, তারপরে ভাবো আসল বলদ কেডাই, আসলে কে কারে বলদ বানাইতেসে মার্কসীয় গুল খাওয়াইয়া। একই কথা শিবির/হিজবুতের পোলাপানের উদ্দেশ্যেও... পরকাল, ইসলামিজম আর কুমিরের বাচ্চা প্যালেস্টাইনের মুলা দেখাইয়া যেইসব পলিটিশিয়ান তোমাগোরে দিয়া আত্মহননের, গলা কাটার জিঘাংসা তৈরি করে, তাগোর দিকে তাকাও। সেইসব বুইড়াদের নিজ সন্তান কিন্তু বিদেশে বঁযোয়া হিসেবেই তৈরি হইতেসে, পড়ালেখা করতেসে।

আর তোমরা বলদের মতো ইজম ভিত্তিক পলিটিক্সে গুটি হিসেবেই ব্যবহৃত হইতেসো। ওয়েক আপ্ বামধর্মী আর ধর্মধর্মী পোলাপান... লাইফ ইজ বিউটিফুল, লেটস্ মেক মৌর আউট অব ইট্‌। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।