সদা নিরুপায় তবুও অকুতোভয় গতকাল সব গণমাধ্যমেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ বা প্রচার হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন সংক্রান্র একটা খবর। অনেক মিডিয়া এটাকে লুটে নেয়া বলেছে। কেউবা চুরি বলেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা এটাকে নেহাত বিশৃঙ্ক্ষলা বলে চালিয়ে দিয়েছে।
আসলে কি এটাকে বিশৃঙ্ক্ষলা বলে! বিশৃঙ্ক্ষলার সংগায় কি এটা পড়ে??
এটাকে বিশৃঙ্ক্ষলা বলে না! এটাকে লুটে নেয়া বলে।
বৃহত্তর অর্থে এটাকে ডাকাতিও বলা যেতে পারে।
এটা করতে পারে, রাস্তার পাশে বসবাস করা টোকাই ছেলেমেয়েরা। যাদের হাতে তো দুরের কথা কানেও শিক্ষার আলো পৌছায়নি। তবে এটা ওরা করতো কিনা আমার সন্দেহ আছে।
এটা এইসব(যারা এই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত) তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত জন্তুদের মানায় না।
হুড়াহুড়ি লাগতেই পারে, একজনের সঙ্গে আরেকজনের ধাক্কা লাগতেই পারে তাই বলে গাউন, ক্যাপ একাধিক চুরি করবে, হাতিয়ে নেবে?
ভিসি স্যারই ঠিক, "তোমাদের কি এই শিক্ষা দিয়েছি?"
স্যার, আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এই হচ্ছে আপনার শিক্ষিত গ্রাজুয়েট!!! যারা জানেই না, ঐ গাউন, ক্যাপ সমাবর্তন ছাড়া আর কোথায় ব্যবহার করা যায় না। এমনকি বোরকা হিসেবেও না ! তাদেরকে চেনাতেই পারেননি গাউন কি জিনিষ। ওটা খায় নাকি মাথায় দেয়। কিন্তু সার্টিফিকেট দিচ্ছেন !!! দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের মেধাবী মানুষ হিসেবে লাইসেন্স দিয়ে দিচ্ছেন।
হয়তো এরাই তো নেতৃত্ব দিবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে, তাই না স্যার? যারা সাধারণ কাজে ব্যবহারে অযোগ্য সেই গাউন, ক্যাপ, টাই ডাকাতি ক্রতে পারে দিবালোকে, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় কাজে নিয়োগ করলে কি হবে, তারা কি করতে পারবে তা সহজেই অনুমেয়।
স্যার, ভাবতে পারবেন এটা কখনো?
স্যার, ভাবতে কি কষ্ট হচ্ছে আপনার?
স্যার, লজ্জা হচ্ছে কি কিছু নিকৃষ্ট কীটকে সার্টিফিকেট দিচ্ছেন বলে?
তারপরও স্বাগত হে গ্রাজুয়েটব্রৃন্দ, এই দেশটাকে চুষে খাবার। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।