প্রবাসী
গত ২২শে মার্চ পালিত হল বিশ্ব পানি দিবস । ১৯৯২ সালে জাতিসঙ্ঘের সাধারন পরিষদ ২২ শে মার্চকে অনুমোদন দেয় বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে আর ১৯৯৩ সালের ২২শে মার্চ পালিত হয় প্রথম বিশ্ব পানি দিবস। ২০তম বিশ্ব পানি দিবসে, ২২শে মার্চ,২০১২ তে যুক্তরাস্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টরের অফিস থেকে বলা হয় আগামীতে দক্ষিন এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকাতে পানি সঙ্কটের ফলে খাদ্য এবং শক্তি উৎপাদন ব্যাহত হবে। আগামী ১০ বছর পরই সারা পৃথিবীর পানির চাহিদা প্রাপ্যতাকে ছাড়িয়ে যাবে, আর আগামী ২০৩০ সালের পানির চাহিদা হবে পানির প্রাপ্যতার চেয়ে ৪০% বেশী-১।
২০১২ সালের ২০তম বিশ্বপানি দিবসে আশঙ্কা হচ্ছে , পানি সঙ্কট অদুর ভবিষ্যতে সশস্ত্র যুদ্ধের রুপ নেবে।
পৃথিবীর জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ১৯৩০ সালের ২০০ কোটি জনসংখ্যা ২০১১ তে এসে দাড়িয়েছে ৭০০ কোটিতে। আগামী ৫০ বছরে পৃথিবীতে জনসংখ্যা বাড়বে আরো ২০০ কোটি (৩)। ফলে পৃথিবীতে পানির চাহিদা বাড়ছে কিন্তু পানির প্রাপ্যতা যা ছিল তাই আছে বা অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী পানির পরিমান কমে যাচ্ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে পানির সঙ্কট যা ভবিষ্যতে আরো তীব্রতর হবে তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
কৃষি, শিল্প, গৃহস্থালী, এবং ব্যাক্তিগত প্রয়োজন সবখানেই বাড়ছে পানির চাহিদা। অন্য বস্ত্র , শিক্ষা চিকিৎসা, বাসস্থান মৌলিক চাহিদা গুলোর চেয়েও মৌলিক প্রয়োজন হল পানি। তাই পানির অপর নাম হল জীবন। উদাহরন্স্বরুপ বলা যায় খাদ্য ছাড়া একজন মানুষে দুই মাসের বেশী বাচলেও পানির অভাবে কিন্তু মৃত্যু ঘটবে এক সপ্তাহের মধ্যেই। একজন সুস্থ্য পূর্ন বয়স্ক মানুষ রোজ ২ থেকে ৪ লিটার পর্যন্ত পানি খেয়ে থাকেন।
পৃথিবীর পানি-
পৃথিবীর মোট পানির ৯৭.৫ ভাগ নোনা পানি। ২ .৫ ভাগ মিস্টি পানির ৭০% মেরুপ্রদেশে বরফ হিসেবে, বাকি ৩০% অধিকাংশ মাটির আর্দ্রতা এবং ভু গর্ভস্থ পানি। ব্যবহার উপযোগী পানির ১% বা মোট পানির ০০৭% হল সহজলভ্য পানি। এই পানির উৎস হল নদী, হ্রদ, পুকুর, খাল বিল এবং সহজলভ্য ভুগর্ভস্থ পানি। বাস্পীভুত হয়ে বায়ুমন্ডলে গিয়ে তা আবার বৃস্টি হিসেবে ফিরে আসে, আর এভাবেই হয় পানি চক্র ।
পৃথিবীতে বছরে বৃস্টিপাতের পরিমান ১লক্ষ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে বেশীর ভাগ বাস্পীভুত হয়ে যায় বায়ুমন্ডলে বা মাটি এবং গাছপালা শুষে নেয়। বছরে ৪২, ৭০০ বর্গকিলোমিটার পরিমান পানি নদনদী দিয়ে প্রবাহিত হয়। বর্ধিত জনসংখ্যার কারনে নদনদীতে বহমান মাথাপিছু পানির পরিমান ১৯৭০ সালের তুলনায় ১৯৯৫ তে কমেছে ৩৭% ।
পৃথিবীর ব্যবহার উপযোগী পানির বন্টন আবার সুষম নয়।
কোথাও বৃস্টিপাত নেই বললেই চলে আবার কোথাও কোথাও অত্যধিক বৃস্টিপাত হয়ে থাকে। দক্ষিন আমেরিকার আমাজান নদীদিয়ে পৃথিবীর ১৬% পানি বহমান, আফ্রিকার কঙ্গো জায়ারে নদী দিয়ে আফ্রিকার এক তৃতীয়াংশ পানি বহমান। মরু এবং আধামরু এলাকা পৃথিবীর মোট স্থলভাগের ৪০% হলেও এই এলাকায় প্রাপ্য পানির পরিমান মাত্র ২% আবার বছরের বিভিন্ন সময়ে পানির প্রাপ্যতার পরিমান ও ভিন্ন, বর্ষা মৌসুমে পানি থাকেলেও শুস্ক মৌসুমে পানি পাওয়া যায় না।
মাথাপিছু পানির প্রাপ্যতা সবচে’ কম হল এশিয়া মহাদেশে যদিও এখানে সবচে বেশী পরিমান পানি নদ নদী দিয়ে বহমান। পক্ষান্তরে অস্ট্রেলিয়া ওসেনিয়া এলাকায় পাথাপিছু বহমান পানির পরিমান সর্বোচ্চ, যদিও ওই এলাকার অধিকাংশ এলাকা শুস্ক।
কারন হল এশিয়ার অত্যধিক জনসংখ্যা।
বিশেষজ্ঞরা হিসেব করে দেখিয়েছেন যে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার জন্য প্রাপ্য সমস্ত নদ নদী এবং জলাধার গুলোর সহজলভ্য পানির বাৎসরিক পরিমান হল ১২,৫০০ বর্গকিলোমিটার। এর অর্ধেক পরিমান পানি আমরা এখন ব্যবহার করে থাকি। এ থেকে মনে হতে পারে যে যথেস্ট পানি আছে, কিন্তু যদি নৌযোগাযোগ, পানি বিদ্যুৎ, পরিবেশ, গাছপালা এবং জলজ প্রানীর চাহিদা বিবেচনা করা হয় তা মোটেও যথেস্ট নয়-৩।
পানি সংকট- জনপ্রতি বাৎসরিক পানির প্রাপ্যতা দিয়ে হিসেব করা হয় কোন এলাকার পানি পরিস্থিতি।
পানি বিশেষজ্ঞদের মতে কোন এলাকায় যদি পানির প্রাপ্যতা জনপ্রতি বাৎসরিক ১৭০০ কিউবিক মীটারের নীচে হয় তাহলে ধরা হয় পানি সমস্যা, যদি ১০০০ কিউবিক মিটারের নীচে হয় তাহলে ধরা হয় “পানি সংকট” আর যদি ৫০০ কিউবিক মিটারের নীচে হয় তাহলে ধরা হয় “ অত্যন্ত পানি সঙ্কট। পানি সংকট বলতে শুধুমাত্র পানির দুস্প্রাপ্যতাকে বোঝায় না ব্যবহার উপযোগী পানির পরিমানকেও বোঝায়। অর্থাৎ পানি সঙ্কট নির্ধারনে পরিমানের পাশাপাশি পানির গুনগতমানকেও বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
যথেস্ট পানি না পাওয়া গেলে তা হল ভৌতিক পানি স্বল্পতা (Physical Scarcity) আবার পানি হয়ত আছে কিন্তু তার জন্য অত্যধিক দাম দিতে হচ্ছে তাকে বলে অর্থনৈতিক পানি সঙ্কট (Economic Scarcity)-৪ জাতিসংঘের এক হিসেব অনুসারে ২০২৫ সাল নাগাদ ৩০ টি দেশে পানি দুর্লভ হয়ে পড়বে, যা ১৯৯০ সালে ছিল ২০ টি দেশ। এর মধ্যে মিশর, ইজরায়েল, লিবিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেন প্রভৃতি দেশগুলো সহ মোট ১৮টি দেশ হল মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকাতে-৬।
.
পরিসংখ্যান-
১) পৃথিবীর ৭৮ কোটী মানুষ বা ১১% মানুষ নিরাপদ পানি পায় না। (WHO/UNICEF-২০০৬ )। ২০০৮ সালের হিসাবে ৮৮ কোটী(-৭) এবং ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী ১০০ কোটি মানুষ পানি সঙ্কটে ভুগছে।
২) স্বাস্থ্য সম্মত পয় নিস্কাসনের ব্যাবস্থা নেই ২৫০ কোটী বা ৩৫% মানুষের। (WHO/UNICEF)
৩) শুদ্ধ পানি এবং পয় নিস্কাশনের অভাবে বছরে মোট ৩৫ লক্ষ লোক পানি বাহিত রোগের কারনে মারা যায়(৮) ১৪ লক্ষ শিশু মারা যায়।
সে হিসেবে প্রতিদিন মারা যায় ৪,০০০ এবং প্রতি ২০ সেকেন্ডে একজন করে শিশু।
৪) সাব সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে পানির অভাবে জি,ডি,পি বৃদ্ধির হার ৫% কম হচ্ছে (UNDP)।
৫) বিশুদ্ধ পানি, পয়নিস্কাশন এবং স্বাস্থ্যবিধিমালা মেনে চলে ডাউরিয়া জনিত রোগ ৬৫% কমানো সম্ভব (WHO)
৬) পানি এবং স্যানিটেশানের পেছনে ১ ডলার খরচ ৮ ডলারের সম পরিমান উৎপাদনের নিশ্চয়তা দেয়। (UNDP).
৭) দুষিত পানির কারনে মৃত্যূর পরিমান যে কোন সময়ে যুদ্ধে মারা যাওয়া লোকসংখ্যার চেয়ে বেশী। বস্তি এলাকায় বসবাসরত লোকেরা একই শহরে ধনী ব্যাক্তিদের তুলনায় ৫-১০ গুন বেশী খরচ করেন।
একজন আমেরিকান ৫ মিনিট স্নান করতে যে পরিমান পানি ব্যবহার করেন তা উন্নয়নশীল দেশে এক জনের সারাদিনের পানি ব্যবহারের সমান। -৯
পানির ব্যবহার।
উন্নয়নশীল বিশ্বে খাদ্য চাহিদা মেটাতে সিংহভাগ পানি ব্যবহার হয় কৃষিতে। এই দেশগুলোতে ৭০% পানি ব্যবহার হয় কৃষিতে আর ৩০% ব্যবহার হয় শিল্প, গৃহস্থালী , ও অনান্য কাজে। উন্নত বিশ্বে পানির ব্যবহার ঠিক উলটো, ৭০% শিল্প এবং গৃহকর্মে আর ৩০ % ব্যবহার হয় কৃষিকাজে।
উত্তর আমেরিকায় প্রতিজন প্রতিদিন ব্যাবহার করে ৪০০ লিটার, সেখানে উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতিদিন প্রতিজন ব্যবহার করে মাত্র ১০ লিটার। (Water Supply and Sanitation Collaborative Council (WSSCC))।
১ কিলোগ্রাম আলু উৎপাদনে খরচ হয়- ১০০০ লিটার, গম-১৪৫০ লিটার, আর ধান উৎ পাদনে ৩৪৫০ লিটার। (Gleick 2001)।
পানি বিরোধ দেশে দেশে-
দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলো ভারত, বাঙ্গলাদেশ,পাকিস্তান এবং চীন এলাকায় পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর বাস।
এখানকার নদী গুলো কয়েকটি দেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত। উজানের দেশগুলো পানি প্রত্যহারের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ভাটি অঞ্চলের দেশ গুলো। ভারতের সিন্ধু, গঙ্গা, এবং ব্রহ্মপুত্র এই তিনটি নদী হল পৃথিবীর বড় ১০ টি পানি বিরোধের এলাকা। গঙ্গা নদীর পানি প্রত্যাহার করা শুরু থেকেই বাংলাদেশে শুরু হয়েছে মরুকরন, এখন অনান্য নদীর পানি ও প্রত্যহারের পথে। ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহার শুরু করেছে চীন, ভারত বাদ বাকি টুকু প্রত্যাহার করে নিলে বাংলাদেশের জন্য পানি থাকবে না।
ফলে আগামী দিনগুলোতে আরো ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দেবে তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। একইভাবে পাকিস্তানের নদীগুলো’ যেমন, সিন্ধু, ঝিলাম, চেনাব, রাভী, বিয়াস, সাটলেজ প্রভৃতি র উৎস স্থল ভারতে , সেখানেও ভারত শুরু করেছে পানি প্রত্যাহার। খাদ্যশস্য উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা, এমনকি পানের জন্য ও পানির অভাব দেখা দিচ্ছে ভাটির দেশগুলোতে। ভুউপরিস্থিত পানির অভাবের কারনে ভু গর্ভস্থ পানি আহরন বাড়ছে দিনকে দিন। সেখানেও সমস্যা- পানির স্তর নেমে যাচ্ছে, দেখা দিচ্ছে আর্সেনিক দুষন, বাড়ছে নদ নদীর পানির লবনাক্ততা, প্রানী এবং গাছপালার বৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে , ঘটছে পরিবেশ বিপর্য্যয়।
মধ্যপ্রাচ্যে – ইউফ্রেটিস- টাইগ্রীস বা দজলা ফোরাত নদীর পানি নিয়ে সিরিয়া, ইরাক এবং তুরস্কের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে অনেক বছর ধরে। সিরিয়া এবং তুরস্কে অগুনতি বাধ দিয়ে পানি প্রত্যাহারের ফলে ইরাক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পানি নিয়ে সিরিয়া এবং ইরাকের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ ও হয়েছে। উত্তর এবং দক্ষিন ইয়েমেনের পানির অভাব প্রকট । ইয়েমেনের রাজধানী সানা তে ২০২৫ সাল নাগাদ আর পানি পাওয়া যাবে না।
ইজ্রায়েল, জর্ডান এবং প্যালেস্টাইনের মধ্যে জর্ডান নদী এবং গ্যালিলি সাগর( Sea of galilee) নিয়ে টানাপোড়েন লেগেই আছে। জর্ডান নদী লেবাননে উতপন্ন হয়ে ডেড সী বা মৃত সাগরে এসে মিশেছে। এ এলাকা মরুভুমি এবং বাৎসরিক বৃস্টিপাতের পরিমান নগন্য। ফলে এক্মাত্র ভরসা এই নদী। কৃষি এবং গৃহস্থালী প্রয়োজনে ইজরায়েল পানি নিয়ে নিচ্ছে ফলে অনান্যেরা ভুগছে পানি স্বল্পতায়।
একজন ইজরায়েলী যেখানে প্রতিদিন ৩০০ লিটারের ও বেশী পানি ব্যবহার করে থাকে সেখানে একজন প্যালেস্টানী পায় মাত্র ৩০ লিটার।
আফ্রিকা- আফ্রিকাতে নীলনদ, ভোল্টা, জাম্বেজী, নাইজার নদীগুলো বয়ে গেছে বিভিন্ন দেশের মধ্য দিয়ে । আফ্রিকার নীলনদের পানির উপর নির্ভরশীল উগান্ডা, মিশর, সুদান ইথিওপিয়া, দক্ষিন সুদান প্রভৃতি দেশগুলো । মরুভুমির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নীল এই এলাকার অধিবাসীদের বিশুদ্ধ পানির একমাত্র ভরসা। একই ভাবে জাম্বেজী নদী, ভোল্টা এবং নাইজার নদী অববাহিকার দেশগুলোও বিবদমান।
পানি নিয়ে যুদ্ধ- জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নগরায়ানের ফলে পানি সঙ্কটা দেখা দিচ্ছে । বিভিন্ন দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ নদীর পানি নিয়ে বিরোধ এক সময় সশস্ত্র যুদ্ধের রুপ নিতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন অনেকেই। মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসনী মোবারক ইথিওপিয়ার নীল নদের উপর বাধ এক সময় যুদ্ধ করে ভেঙ্গে ফেলতে চেয়েছিলেন।
১)http://www.chicagotribune.com/business/sns-rt-us-climate-waterbre82l0pr-20120322,0,7172217.story
২) Click This Link
৩)http://www.worldwatercouncil.org/index.php?id=25
৪)http://www.who.int/docstore/water_sanitation_health/vector/water_resources.htm।
৫)http://thewaterproject.org/water_scarcity.asp?gclid=CJfwl-DUgq8CFVQBQAod-zwr3g
৬) Click This Link
৭)UNICEF/WHO. 2008. Progress on Drinking Water and Sanitation: Special Focus on Sanitation.
8) World Health Organization. 2008. Safer Water, Better Health: Costs, benefits, and sustainability of interventions to protect and promote health.
৯)2006 United Nations Human Development Report.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।