আমি বিধাতার রঙ্গে আঁকা এক অস্পষ্ট ছবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম সমাবর্তনের উপহার সামগ্রী নিতে এসে আজ বুধবার চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন স্নাতক ডিগ্রিধারীরা। এ সময় তাঁরা লাইন ভেঙে উপহার-সামগ্রী দেওয়ার স্থানে ঢুকে একটি ব্যাগের বদলে অনেকগুলো ব্যাগ নিয়ে চলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও উপাচার্য সেখানে ছুটে যান। বেলা দুইটার দিকে স্নাতক ক্যাপ ও উপহার-সামগ্রী দেওয়া আজকের মতো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজকে থেকে সমাবর্তনের গাউন, ক্যাপ ও উপহার-সামগ্রী দেওয়ার কাজ শুরু হয়। এ জন্য সকাল থেকেই টিএসসিতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হন।
সমাবর্তনের জন্য ব্যাংকে জমা দেওয়া টাকার রসিদ শিক্ষার্থীদের কাছে থাকে। সেই রসিদ দেখিয়ে বিষয় ও বিভাগ অনুসারে ব্যবস্থা করা ডেস্কে ফরম পূরণ করতে হয়। সেই ফরমের তিনটি ভাগ থাকে, যা দেখিয়ে গাউন, ক্যাপ ও উপহার-সামগ্রী নিতে হয়।
টিএসসির ইনডোর গেমস রুম থেকে স্নাতকদের ক্যাপ ও উপহার-সামগ্রী দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু দুপুর ১২টার দিকে লাইন ভেঙে যে যার মতো ওই কক্ষে ঢুকে উপহার-সামগ্রী নিয়ে বেরিয়ে যান। একজনের জন্য উপহার-সামগ্রীর একটি ব্যাগ নির্ধারিত থাকলেও তাঁরা অনেকগুলো করে ব্যাগ নিয়ে যান। বাইরে বেরিয়ে তাঁরা কয়েকটি ব্যাগের সামগ্রী একটি ব্যাগে ভরে বাকি ব্যাগগুলো খালি অবস্থায় বাইরে ফেলে দিয়ে চলে যান। পুরো এলাকায় চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। দেড়টার দিকে সেখানে যান উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি একাধিক উপহার-সামগ্রীর ব্যাগসহ কয়েকজনকে হাতে-নাতে ধরেন। শিক্ষার্থীদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, ‘তোমাদের আমরা এ-ই শিখিয়েছি, এই শিক্ষা দিয়েছি?’ বেলা দুইটার দিকে তিনি আজকের মতো এ কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
যেখান থেকে গাউন দেওয়া হচ্ছে, সেখান থেকেই ক্যাপ ও উপহার-সামগ্রী দিলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এ কাজ করেছেন বলে অনেকেই দাবি করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।