আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গরমকালে ভ্রমণের সময় ৮-১০ ঘন্টা ধরে বরফ শীতল ঠান্ডা পানি খাওয়ার উপায়

খুব সহজ উপায়, অনেকেই হয়ত জানেন, আমি নিজে এই উপায়ে ঠান্ডা পানি বহন করি। ভাবলাম আজকে সবার সাথে শেয়ার করি। এখন গরম কাল শুরু হচ্ছে, ভ্রমনে ঠান্ডা পানিটাই সবচেয়ে বড় সঙী মনে হয়। রাস্তাঘাটের পানির উপর ভরসা করা যায় না। সবসময় যদি হাতের কাছে ঠান্ডা পানি পাওয়া না যায়, তবে বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ই ঠান্ডা পানি নিয়ে বের হোন।

একটু পর পর পানি পান করুন, গরমে সতেজ থাকুন। ঠান্ডা পানি বহন করার একটা খুবই সাধারণ উপায় হলো ইনসুলেটেড ফ্ল্যাক্স ব্যবহার করা। কিন্তু এটা দামী, এবং ওজনেও ভারী। তাই আমি অন্য উপায় ফলো করি। আমি যা করেছি, সেটা নিচে ছবি সহ দেখালাম।

আমি বাসা থেকে বের হলাম সকাল ৬.৩০ মিনিটে। আগের রাতেই ২টা প্লাস্টিকের পানির বোতল ফ্রীজের ডিপে রেখে দিয়েছিলাম। বোতলগুলো সকালে বরফ হয়ে যায়। এরপর বাসার পুরোনো পত্রিকা (২৪ পৃষ্ঠা একসাথে) দিয়ে এই বরফের বোতলকে ভালোভাবে মুড়িয়ে দিলাম। পত্রিকা দিয়ে মুড়ানোর সুবিধা হলো, বরফ গলে পানি পড়লে সেটা মোটা পত্রিকা শুষে নিবে।

তারপরও অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে একটা পলিথিন দিয়ে পত্রিকা সহ বোতলকে মুড়িয়ে নিলাম। বোতলগুলো এবার ট্রাভেল ব্যাগে নিয়ে নিলাম। আস্তে আস্তে বরফ গলবে, আমিও আস্তে আস্তে ঠান্ডা পানি খাবো। নিচের ছবিতে ফ্রীজ থেকে বের করার ৯ ঘন্টা পরে বোতলের মধ্যে বরফ দেখা যাচ্ছে, ততক্ষণে আমি আমার গন্তব্যস্হলে পৌছে গেছি। একইভাবে চাইলে রান্না করা যে কোনো তরকারীও আপনি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে বহন করতে পারেন, কোনো ঝামেলা ছাড়াই।

ব্যাখ্যা: পারিপার্শ্বিক অবস্হা থেকে তাপ গ্রহণ করে বরফ আস্তে আস্তে গলে যায়। কাগজ মোটামোটি ভাবে সাধারণ মানের তাপকুপরিবাহক। একসাথে যখন অনেকগুলো কাগজ দিয়ে মোড়ানো হয়, তখন সেটা ভালো ইনসুলেটর হিসাবে কাজ করে। এরপর সম্পূর্ণ প্যাকেটখানাকে আবার অন্য একটা ব্যাগে রাখা হয়েছে। যেহেতু চারপাশ থেকে বোতলের মাঝে তাপের আদানপ্রদান কমে এসেছে, তাই বরফও ধীরে ধীরে গলেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।