ভোর ৬টা
ভোর হয়ে গেল, ঘুম ভেঙ্গে গেল। সাধারনত ভোরে আমার ঘুম ভাঙ্গে না। কিন্তু আজ ভেঙ্গে গেল। আজকের ভোর টা একেবারেই অন্ন রকম লাগছিল। সকাল তাও অন্যরকম ছিল।
চারিদিকে যেন একটা উৎসব উৎসব ভাব। সকাল ১১ টায় গেলাম বাজারে। গিয়ে দেখি সবাই যেন খুব বেস্ত! সবার মদ্ধেই একটা তাড়া কাজ করছে। সবাই চায় দুপুর ২ টার মদ্ধে কাজ শেষ করতে, কিন্তু কেন?? সেই এক ই বেপার, ২ টায় যে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম ফাইনাল খেলবে পাকিস্তানের সঙ্গে। সেতা ত জানি, কিন্তু পুর জাতি যে তাতে আজ উল্লসিত!!!
সবাই দুয়া করছে জেন বাংলাদেশ আজ জেতে।
কোন ভেদাভেদ নেই আজ। পুর জাতি আজ এক উদ্দেশে দোয়া করছে। আর সেটা হল বাংলাদশের জয়।
বিকাল ৬টা
আমার কাজিন মিরপুর ১০ নম্বর গিয়েছিল এসে বলল পুরা মার্কেটের প্রায় বেসির ভাগ দকান ই বন্ধ হয়ে গেছে!!! জেগুল খলা আছে সেগুলোতেও সবাই টিভি তে খেলা দেখছে। যেন তাদের মুল কাজ এটাই!!
আমার বাবা অফিস থেকে এসে বলল রাস্তায় কোন লোক ই নাই।
অন্ন দিন বাস পেতে কস্ত হয় আর আজকে বাস আসলাম মাত্র ৮/১০ জন লোক!!!
সবাই নাকি খেলা দেখছে।
সন্ধ্যা ৭টা
রিকসায় বাসায় ফিরছি কানে হেডফোন দিয়ে রেদিও তে খেলার খবর শুনছিলাম, রিকশাওালা আমাকে জিজ্ঞেস
করল ভাই খেলার খবর কি? কত রান হইসে? এখন ই গিয়া খেলা দেখুম।
রাত ১০ টা
পারল না বাংলাদেশ, হেরে গেল মাত্র ২ রানের বেবধানে। এই প্রথম খেলা দেখে খুব কষ্টে নিজের চোখের পানি আটকালাম!!
কিন্তু আতকাতে পারলনা অনেকেই। টিভি তে খেলোয়াড়দের কাদতে দেখে আর নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিলাম না।
তবুও ধরে রাখালাম। কারন আমরা তো হারিনি। কিছু কিছু সময় আসে যখন পরাজয়টাও জয়কে ছাপিয়ে যায়। এই কয়দিন বাংলাদেশ যা খেলেছে সেগুল মনে করে আর মন খারাপ করার কোন অবকাশ থাকে না।
এগিয়ে যাও টাইগার সমগ্র জাতি আছে তমাদের সাথে।
এখান থেকেই নতুন ভাবে শুরু হোক নতুন দিনের নতুনভাবে পথ চলা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।