কিছু সময়
ছেলে বেলার সেই আধ খাওয়া নারকেল গাছটি এখন আর নেই। মাঠের যে কোনায় গাছটি প্রায় ৩৬ বর্গ ফুট জায়গা দখোল কোরে প্রায় ৩০ বছর দাড়িয়ে ছিল সেখানে এখোন সবই সোন্ধে বেলা পেশাব করে। রাত ৯টার শো শেষ হলেই দেখা যায় শারি শারি রেলগাড়ি।
অনেক দিন পর বাড়িতে এশে ছেলে বেলার স্মৃতি খুজতে এসে পলাশের চোখে প্রথমে যা পড়লো তা হোল এই রেল গাড়ি।
প্রায় কুড়ি বছর আগে লাগানো গাছ গুলি কোন বিরতি ছাড়াই বেড়ে উঠেছে।
মাঠের চার পাশে একটা সবুজ বেষ্টনির মত তৈরি করেছে। বর্ষার দিনে এই খেলার মাঠ ডুবে যওয়া বিলের মোত মোনে হত। সেই পানিতেই চলতো পলাশ আর ওর বন্ধুদের মাছ ধরা। দুপুর বেলা স্কুল থেকে ফিরে শুরু হত তাদের বল খেলা আর মাছ ধরা। বর্ষার এই পানি কোন বছর সাত দিন কোন বছর আরও বেশি দিন জমে থাকতো।
এক সময় এই পানি গায়ে লাগলে গা চুলকাতো। বল খেলা ততদিন থামত না যত দিন না গায়ে চুলকানি ওঠে। মায়ের ধোলই ও থামিয়ে দিত ওদের এই সব কাজ কর্ম।
মাঠে এলে সন্ধে বেলা অদভুত একটা গন্ধ পাওয়া যেত। চোখ বন্ধ কোরে সেই গন্ধ পেতে চেষ্টা করলো পলাশ।
শীতের সকালে বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করতো না।
- স্কুলের সময় হয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি ওঠ।
মা চিৎকার করতেন। চোখ খুলে কোন মতে ঘুম তাড়াতে পারলেই মনে পড়ে যেত স্কুলের বন্ধুদের কথা। তখোন আর কে ঠেকায়।
স্কুলে না যাওয়া পর্যন্ত আর সান্তি পেত না। কি যেন একটা টান ছিলো স্কুলে। কিশের টান! তা প্রথোম পলাশ বুঝে ছিল অষ্টম শ্রেনীতে উঠে। যেদিন প্রথোম পলাশের হাত ধরে নিজের পাশের ছিটে বসিয়ে ছিল সাহিদা। নিজের অজান্তেই কেঁপে উঠেছিল পলাশ।
এই কাঁপুনি থেমে ছিল অনেক পরে। সে অন্য এক কাহিনী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।