আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহাদতের ও নিজস্ব জীবন আছে...... (সবাই একবার পড়ুন প্লিজ)

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ এরা দেশের জন্য খেলে তার পরও তারা মানুষ। তাদের অনুভূতি আমাদের চেয়ে কম নয়। তাদের আছে পরিবার, সমাজ, আত্নীয় স্বজন আরো আছে আমাদের চেয়ে অনেক বড় বন্ধু সার্কেল। আছে ফেসবুক আইডি, টুইটার হয়ত বা কোন এক ব্লগে একাউন্টও।

আজকের ম্যাচে হেরে যাওয়ার অর্ধেক দায় তাকে দেয়া হচ্ছে, তার সমন্ধে ব্যবহার হচ্ছে অশ্রাব্য ভাষা। আপলোড করা হচ্ছে নোংড়া ছবি। একবার চিন্তা করুন, আপনার মত তার বন্ধু বান্ধব ও পরিবারও যদি এমন অমানবিক কাজ করে তবে তার মানসিক অবস্থা কেমন হবে। সে যদি তাকে গালি দিয়ে আপলোড করা কোন ছবি দেখে তবে কী জাতীয় দলে খেলাটা তার নিকট গৌরবের মনে হবে, নাকি অপমানের? অনেকের মত ১৬ কোটি মানুষকে কাদাঁনোর দায়ভার যদি তাকে দিয়ে সাস্তি দেয়া হয়, তবে কি সেই ভার সহ্য করার ক্ষমতা কোন মানুষের আছে? > > >> ১৬কোটি মানুষকে অঝোরে কাঁদানোর সাস্তি যে মৃত্যু দন্ডের মাধ্যমেও শেষ হবার নয়। তবে কি অনেকে এই পরাজয়ের জন্য যারা যারা দায়ী তাদের মৃত্যু দন্ড চান? অবশ্যি চান না।

তবে কিছু মানুষের ফেসবুক কমেন্ট ও ব্লগের পোষ্ট শাহাদাতের নজরে আসলে হয়ত সে আত্নহত্যাকেই বেছে নিবে। > > >> কাজেই তারও একটি নিজস্ব জীবন আছে ভেবে তাকে গালি দেয়া বন্ধ করুন। এবার আসুন বিশ্লেষনে। আমরা সবাই ক্রিকেট খেলা বুঝি। সহজ ক্যাচ মিচ করলে সবাই তা যেমন বুঝতে পারি তেমনি বুঝতে পারি এক ওভারে ১৯ দেয়াও অন্যায়।

কিন্তু ক্রিকেটিয় ভাষায় প্রথম ইনিংসে বলিং করে ২৩০ এর ভিতর বেধেঁ রাখতে গিয়ে যদি কোন বলার এক ওভারে ১৯ রান দেয় এবং সেই ম্যাচ তারা হেরে যায় তবে সেই দায় ঐ বোলার এর উপর পরে না। কারণ, সে এবং তার মত কয়েকজন বোলার মিলেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেছে। একজনে একটু বেশী রান দিবে বলেই আরেকজন বিশ্ব সেরা। > > >> প্রশ্ন: পাকিরা যদি ২৮০ রান করত তবে কি আমরা জিতার জন্য ব্যাটিং করতাম না?? তাহলে বাংলাদেশ কোথায় হারল? সেন্চুরী করার পর ম্যাচ হারায় যদি শচিনকে স্লোব্যাটিং এর দায়ে দায়ি করা হয় তবে নাজিমুদ্দিন ও নাসির হোসেনের স্লো-ব্যাটিংই ম্যাচের একমাত্র নেগেটিভ পয়েন্ট। - ২৩৬ রান করতে গিয়ে তামিম ৬৮ বলে ৬০, সাকিব ৭২ বলে ৬৮ রান করার পরও যদি ইনিংসের শেষের দিকে রানরেট বেরে যাওয়ায় ব্যাট্সম্যানদের হিট করে খেলার প্রয়োজন পরে তবে সেটা হয়েছে ঐ নাজিমুদ্দিন ও নাসির হোসেনের ধীর ব্যাটিং এর ফলে।

আবার মনে রাখবেন, এই ফাইনাল খেলার পেছনে অন্যতম ভুমিকা এই নাসির হোসেনেরই। কাজেই আপনি কাকে গালি দিবেন?? গালি দেয়া মোটেই ঠিক না। > > > >>বাকি রইল নাজিমুদ্দিন। > >> এইখানে আমার একটু কথা আছে। ঐতিহাসিক এই সিরিজে প্রথম তিন ম্যাচে নাজিমুদ্দিন কোন কিছুই করতে পারে নি।

তবে কি এটা তার জন্য মানসিক চাপ ছিল না?? অনেক বড় চাপ ছিল। সেই চাপ থেকে বের হয়ে কিছু রান করতেই সে প্রথমে শ্লো ব্যাট চালায়। কিন্তু সেটা বেশী স্লো হয়ে যাওয়াতে পরে শক্তি দিয়ে ব্যাট চালাতে থাকে। তাতেও কাজ না হওয়াতে নিজেই বিরক্ত হয়ে পরেন। সেটা তার চেহারা এবং বডি লেংগুয়েজ দেখে স্পষ্ঠ ধরা পরে।

কিন্তু সেটা যদি টিম সিলেক্টরা বুঝত, তার মানসিক অবস্থা নিয়ে একটুও গবেষনা করত তবে আজ ফাইনাল ম্যাচে তাকে খেলানো হতো না, খেলানো হতো ইমরুল কায়েসকে। ইমরুল কায়েস জাতীয়দলের ওপেনার হিসেবে তামিমের পাশে বেশ মানানশীল। >> সিলেক্টররা বলবেন উইনিং কম্বিনেশান ভাংবো না। এটা নিরেট মুর্খতা ছাড়া কিছুই নয়। উইনিং কম্বিনেশান যদি ছাটাই বাছাই করে পরিমার্জিত না করা হয় তবে কোথায় এক খেলা থেকে শিক্ষা নেয়া হলো? উইনিং কম্বিনেশানের মতবাদ ঝেরে ফেলে পারফেক্ট কম্বিনেশানে দল গঠন করতে হবে।

- শেষ কথা: এটা আমাদের প্রথম ফাইনাল ম্যাচ। সামনে ছিল ইতিহাসের হাতছানি। কাজেই চাওয়াছিল অনেক বড়। পাওয়াও ছিল হাতের কাছে। সেহেতু বিষাদও একটু বেশী।

কিন্তু তাতেই যদি জ্ঞান না হারিয়ে সজ্ঞানে অজ্ঞানের মত কাজকর্ম করি তবে সেটা ভাল দেখায় না। কাজেই ক্রিকেট টিমকে গালি না দিয়ে তাদের বরণ করে নিন। মনে রাখবেন, আজ এমন একটি মন্চ তৈরি হয়েছিল যেই মন্চে দাওয়াত ছাড়াই ছুটে এসেছিল হাসিনা, খালেদা, এরশাদ। যেটা দেশের রাজনৈতিক স্বার্থে কোন দিনই সম্ভব হত না। ধন্যবাদ বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম।

তোমাদের উপর আমার গর্ব হয়।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।