আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাহরাইনের বাংলাদেশ দূতাবাসের লাগামহীন দুর্নীতিতে ক্ষুব্ধ প্রবাসীদের দুতাবাসে আক্রমন

বিজয়ী সূর্য বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা করেছে কয়েকশ’ অভিবাসী। কাগজপত্র প্রক্রিয়াকরণ করাতে বিলম্ব হওয়ায় অভিবাসীরা বুধবার দূতাবাসে এই হামলা চালায়। এতে দূতাবাসের বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনের প্রধান গেট ভেঙে গেছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি গালফ নিউজ। এতে বলা হয়, পুলিশ বিক্ষুব্ধ অভিবাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।

বুধবার কয়েকশ’ বাংলাদেশী দূতাবাসের বাইরে আট ঘণ্টারও বেশি দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাদের অভিবাসন ও চাকরিবিষয়ক কাগজপত্র প্রক্রিয়াকরণ করাতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। বাহরাইনের রাজধানী মানামায় দূতাবাসের সামনে তারা চার দিন অপেক্ষা করেন। এ সময়ে তারা দূতাবাসে ঢোকার ও কাগজপত্র জমা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোন পথ না পেয়ে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।

এ বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটলো। বিক্ষোভকারীদের একজন বললেন, আমরা রাত ২টা থেকে এখানে চার দিন ধরে অপেক্ষায় আছি। কিন্তু একটি টোকেনও সংগ্রহ করতে পারি নি। দূতাবাসের কর্মকর্তারা যখন এত মানুষের ভিড় দেখে তখনও তারা মূল গেট খোলেনি। এর পরই লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

তিনি বলেন, এক হাজারেরও বেশি মানুষ দূতাবাসের সামনে অপেক্ষায়। তারা সবাই এসেছেন কাগজপত্র জমা দিতে। কারো পাসপোর্ট নবায়ন করাতে হবে। কেউ বা এসেছেন সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে। লোকজন যখন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তখন তাতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ।

তারা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ফলে কেউ আর ভিতরে প্রবেশ করতে পারে নি এবং তারা তাদের কাজ শেষ করতে পারে নি। আরেক বাংলাদেশী বলেছেন, তিনি এক সপ্তাহে বেশ কয়েকবার গিয়েছেন দূতাবাসে। কিন্তু বার বারই তিনি নিরাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, আমি প্রায় দিনই দূতাবাসে আসি।

কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি। তারপর কোন পথ না পেয়ে ফিরে যাই। কেউ আমাদেরকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসছে না। এ অবস্থায় আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমাদের সঙ্গে এমনটি এটাই প্রথমবার নয়।

অনেকবার এমন হয়েছে। আমি জানি না, কেন এ সমস্যা সমাধানে দূতাবাস কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলছে। ফলে আমরা এখানে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। বাহরাইনের এক ব্যবসায়ী নারীও এ অবস্থায় হতাশ।

তার প্রতিষ্ঠানে বেশকিছু বাংলাদেশী চাকরি করেন এবং রয়েছেন বাংলাদেশী ক্লায়েন্ট। তিনি দূতাবাসের কাজের ধারাকে ধীরগতির বলে আখ্যায়িত করেন। বলেন, এ জন্যই তিনি তার সব কাগজপত্র জমা দিতে তৃতীয় একটি পক্ষকে ভাড়া করেছেন। তিনি বলেন, এটা আমি কোনভাবে মেনে নিতে পারি না। তাই কাজটি অন্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।

এই গরমের মধ্যে বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। একটি কাগজও দূতাবাসে জমা দিতে না পেরে আমি ফিরি এসেছি। এখন পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এই ধারাই এখানকার রীতি। তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও রুক্ষ্ম আচরণের অভিযোগ করেন। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা এ পরিস্থিতির কথা স্বীকার করেছেন।

তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হন নি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।