মোবাইল ফোনের সুবিধা অসুবিধার কথা পরে বলি। প্রথমত : এটা প্রয়োজনের চেয়ে এত বেশি ফ্যাশনেবল এবং বিলাসী সামগ্রী হয়েগেছে আমাদের দেশে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কারণে অকারণে ফোন করি আমরা। কত টাকা কামাই করি- কত টাকার ফোন করি তার কোন হিসেব নেই। আর আত্মীয় স্বজন যদি তার চেয়ে একটু উপর স্থানীয় মনে করে তাহলে তো মিস কল দিতে দিতে অস্থির।
আমার কাছে মনে হয় মোবাইল ফোন নিঃসন্দেহে উন্নতমানের যোগাযোগের মাধ্যম। কিন্তু আমরা (যদিও সবাই না) প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রোজনে বেশি ব্যবহার করি। খুব বেশি ব্যবহারে কি হয় নিম্নে জেনে নিই :
সম্প্রতি মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোন ব্যবহারে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। মোবাইল চালু করে প্যান্টের পকেটে রাখলে পুরুষের শুক্রাণুতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে এবং তা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সংবাদ মাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায় এ বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সাতটি দেশে গবেষণা চালিয়েছেন গবেষকরা। আমেরিকা, চীন এবং অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, চালু থাকা মোবাইল ফোন প্যান্টের পকেটে হলে তা শুক্রাণু তৈরির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
নোবেল জয়ী মার্কিন গবেষক ডেভরা ডেভিস জানিয়েছেন, ‘বাবা হতে চাচ্ছেন এমন যুবকদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে চার ঘণ্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তার শুক্রাণু অর্ধেক হয়ে যায়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, শুক্রাণুর ওপর মোবাইল ফোনের বিকিরণ প্রয়োগ করলে শুক্রাণু দুর্বল, চিকন এবং সাঁতারে অক্ষম হয়ে পড়ে। আর মোবাইল ফোন হলো এক ধরনের স্বল্প কম্পাঙ্কের তরঙ্গ প্রেরক যন্ত্র।
এ তরঙ্গের অন্য নাম মাইক্রোওয়েভ।
জানা গেছে, ডেভিস তার ‘ডিসকানেক্ট : দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট সেল ফোন রেডিয়েশন, হোয়াট দ্য ইন্ডাস্ট্রি হ্যাজ ডান টু হাইড ইট অ্যান্ড হাউ টু প্রটেক্ট ইওর ফ্যামিলি’ নামের বইটিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ডেভিস মোবাইল ফোন ব্যবহার বিষয়ে সতর্ক করে জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের এ বিকিরণ অনেক দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি করবে। একটানা মোবাইল ফোন ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
অন্যদিকে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের ব্যবহার মারাত্মক টিউমারের সৃষ্টি করে।
সূত্র:http:
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।