আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্কুলঘর

তোমাদের পাগল বন্ধু নিন, সিলেট থেকে এনেছি এবারে চা পাতাগুলো। একদম ফ্রেস। শ্রী মঙ্গলের ফ্যাক্টরির দরজা পেড়িয়েই চায়ের কাপে লাফ দিয়েছে মিহি কালচে দানাগুলো। আলাদা একটা ভার্জিনিটির টেস্ট আছে। শুঁকে দেখলেই বুঝতে পারবেন।

কাপটা নিয়ে বরং চলুন একটা স্কুল ঘর থেকে ঘুরে আসি। খেতে খেতে হাঁটতে ভাল লাগবে আপনার। না-না! আমি একটু আগেই খেয়েছি। এত ঘন ঘন খেলে শেষে ডায়বেটিসই বেড়ে যাবে। এমনিতেই দৌড়ের উপর আছি।

সয়া প্রোটিন, ওমেগা থ্রী, গ্লুকো কেয়ার পাকস্থলিতে চালান দিয়ে লাভ হচ্ছে না, চা’টা থামানোর চেষ্টায় আছি। আবহাওয়াটা কেমন লাগছে? বৃষ্টির জন্য হাঁটা চলা করাই মুশকিল এই অঞ্চলে। কি ব্যাপার? স্কুলের নামের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে কি দেখছেন? বেগম রোকেয়া গার্লস স্কুল? পরিচিত লাগছে নাকি নামটা? পত্রিকায় দেখেছেন? হ্যাঁ-হ্যাঁ! ওটাই, ওটাই। কুমীরের সাত ছানার পাঠশালা। ক্লাস সিক্সের মেয়েটার কথাই বলছেন তো? হ্যাঁ, এই স্কুলেই পড়তো।

চলুন, কোথায় বসতো সেটাও দেখাই। গাম এলাকা, নিচু অঞ্চল বুঝলেন? একটু বৃষ্টি হলেই পথঘাট পানির নিচে চলে যায়। নৌকা ছাড়া গতি নেই বর্ষাকালে। ঐ যে ছড়ার পাশে ডিঙ্গিটা তোলা দেখছেন- ওটা সেই মেয়েটা চালিয়ে আসতো। মাঝি ঘরের মেয়ে।

হাঁটা শেখার আগেই সাঁতার আর নৌকা বাওয়া শিখেছে। নামটা মনে আছে? ও! ভুলেও গেছেন? শাহেদা। গ্রামে গঞ্জে ফর্সা মেয়ে জন্মায় না খুব একটা, লালচে ফর্সা থাকে নয় তো শ্যামলা, কালো। ফেল খেতে খেতে সিক্সে উঠেছিল। এই যে স্কুল ভরা পড়াশোনার শব্দ পাচ্ছেন? চিৎকার করে পড়া মুখস্ত আউড়াচ্ছে? শাহেদাও এরকম গলা ফাটিয়ে পড়তো মাস খানেক আগে।

অবাক হচ্ছেন? এতগুলো মেয়ের গলার মাঝখানে একটা গলা থাকলেই কি আর না থাকলেই কি? কারো কানে তো আর তারতম্য অনুভূত হচ্ছে না! শুনতে একই রকম লাগে। চিৎকারের কোলাহল কণ্ঠ সংখ্যাটাকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে পারে। শাহেদার গলার অনুপস্থিতিও ঢেকে গেছে। দাঁড়ান, ঐ যে, দেখতে পাচ্ছেন? ওটাই ক্লাস সিক্স- শাহেদা পড়তো আগে ওখানেই। ভেতরে যাবেন? আচ্ছা চলুন।

এত হালকা নীল, মানে ফিরোজা ছিল না ইউনিফর্মটা। কমলা রঙের ছিল শেষবার যখন এসেছিলাম যতদূর মনে পরছে। ড্রেস বদলালো কেন হঠাৎ? ও কি! চা খাচ্ছেন না কেন? ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে তো! কি মনে হয়? মাস ঘুরতেই স্কুল ড্রেসের কালার চেঞ্জ করলো কি ভেবে? - জ্বি? ঘটনা মুছতে? হ্যাঁ। আমিও সেটাই ভাবছিলাম। মানুষের চোখ খুব সংবেদনশীল রঙের প্রতি।

রঙের সঙ্গে ঘটনার যোগসাজ থাকে। রঙ পাল্টে দিলেই ঘটনাও ভুলে যাবে সবাই। আপনার বুদ্ধি দেখছি আমার মতই! হা হা! উফ্‌! এদের ঘ্যান ঘ্যানিয়ে পড়া মুখস্ত করার শব্দেই তো মাথা ধরে যাচ্ছে। চলুন, পেছনের দিকের বেঞ্চটার কাছে যাই। ঘুণে ধরে বেঞ্চটা বাতিল হয়ে গেলেও মাস খানেক আগে শাহেদা এখানে বসেই ক্লাস করতো।

তখন ভাল ছিল বেঞ্চটা। ঘুণে ধরলে খেতে সময় নেয়। শাহেদাকেও ঘুণে যখন ধরেছিল- তখনি শেষ হয়নি। ধীরে ধীরে খেয়েছে। বসুন, ওখানেই বসুন, ভাঙবে না।

নড় বড়ে হয়েছে সিস্টেমের মত। এদিক ওদিক নড়ে কেবল, ভাঙে না। আরাম করে বসুন। ক্লাসও রঙ করা হয়েছে। আগের সেই স্যাঁত স্যাঁতে, শ্যাওলা পরা অনুজ্জ্বল সাদা রংটা দেখছি আর নেই।

কি ব্যাপার? আপনি স্যারটার দিকে তাকাচ্ছেন কেন এভাবে? উনি আব্বাস সিদ্দিক না তো! উনি নতুন এসেছেন। শ্যামা কান্ত। অংকের স্যার। আব্বাস সিদ্দিক তো অন্য জায়গায় পোস্টিং নিয়ে চলে গেছে। এই দেশে চাকরি চ্যুত বলে কোনো কথা নেই, হয় পোস্টিং নয় সরকারী হোস্টিং।

আমলা তন্ত্র ঘাড়ের ওপর থাকে চব্বিশ ঘন্টা। পালে যত ভেড়া মারো- সমস্যা হবে না। ঘরের বৌ পুরাতন হয়েছে? এইখানে নতুন নতুন আছে। স্কুল ছুটি হলেই দপ্তরীর পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে অতি প্রাইভেট টিউশনি দিবেন। বিয়ে হয় নাই? শরীরের চাহিদা বলে তো কথা আছে, না? এত সব ছাত্রীপাল আছে কি করতে? বেছে নেবেন।

কেউ মুখ খুলবে না। কুলুপ এঁটে বসে থাকবে। হায়! হায়!! আপনি দেখি লজ্জ্বায় লাল হয়ে যাচ্ছেন! আপনাকে বলছি না তো। উদাহারণ বুঝালাম। পুরুষ মানেই কি আর ঐসব নাকি? আপনি বরং তাকিয়ে দেখুন তো এই নতুন স্যারটা চশমার ওপর দিয়ে কোনো ছাত্রীর বুকের দিকে তাকাচ্ছে নাকি? পড়া দেখানোর ছলে কারো পিঠে হাত বুলাচ্ছে কি না ভাল করে দেখুন।

এদের পিতৃ সত্ত্বা ক্লাসের ভেতরেই কেন জানি সুর সুরিয়ে বেরোয় আজকাল। ও মা! আপনি দেখি সত্যি সত্যি আমার কথায় স্যারের ওপর নজর রাখতে আরাম্ভ করে দিয়েছেন! হা হা! আমরা মানুষ বড়ই বিচিত্র- জাতে একটার লুঙ্গি বাতাসে উড়ে গেলে বাকিগুলোরও উড়ে গেছে বলে তাকিয়ে থাকা স্বভাব। উঠুন, এভাবে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। আপনার সামনে কেউ কি আর ক্ষুধা দেখাতে আসবে? দুই পায়ের চিপার ক্ষুধা আপাতত চোখ দিয়েই সেরে নিচ্ছে। বাকিটা ঘন্টা পড়ার পরে।

বরং শাহেদার সেই ঘরটা দেখাই। চিনতে পেরেছেন কোনটা? বাহ্‌! আপনার মেমোরী তো বেশ ঝক্‌ ঝকা! ভিক্টিমের নাম মনে না থাকলেও কাহিনী ভালই মনে আছে। অবশ্য কাহিনী শুনতে বা পড়তে কার ভাল লাগে না বলুন? পত্রিকা হাতে নিয়ে খবরগুলো পড়তে গেলেই তো দুটো জিনিস এক সাথে দাঁড়িয়ে যায়। প্রথমটা কাপড়ের নিচে, দ্বিতীয়টা বিবেক। একটা তো আর সবাইকে দেখানো যায় না, বিবেকটাই দেখিয়ে বেড়াতে হয়।

আহারে, মেয়েটাকে মেরেই ফেললো? দণ্ডায়মান বিবেকের দংশনে খানা দশেক গালিও দিয়ে দেই। মানবতা বলে কথা! এটাও এক ধরণের স্খলন। দাঁড়িয়ে যাওয়া বিবেকের স্খলন! হাসছেন কেন? আচ্ছা বাদ দিন। হ্যাঁ, এই যে দপ্তরী ঘরটার পাশের রুমটা দেখছেন? এটা কিন্তু রড সিমেন্ট রাখার ঘর না শুধু। ভাল শয্যা কক্ষও বলতে পারেন! হা হা হা! আব্বাস সাহেব প্রত্যেক সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ছুটির পর প্রাইভেট পড়ানোর জন্য শাহেদাকে এই ঘরে পাঠিয়ে দিয়ে আরো পরে আসতো।

মেয়েটাও বোধ হয় শরীরের ডাক কি জিনিস টের পেয়ে গেছে....... কি হলো? আমার দিকে এভাবে বিষ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছেন কেন? সারা দুনিয়া মেয়ের দোষ খুঁজতে লেগে গেছে- আমি বললেই পাপ? আচ্ছা ঠিক আছে। আমার কথা উঠিয়ে নিলাম। তবে মেয়ের আসলে বুদ্ধি শুদ্ধি কম ছিল, ভয় ছিল বেশি। এজন্য এই রড সিমেন্টের ঘরে সাত দিন অন্তর অন্তর রেপ হতে হয়েছে। নিচু জাতে ভয় থাকে বেশি।

পিল খাইয়ে মাস্টার সাহেব আর কদ্দিন ঠেকাবেন? যে হারে ফার্টিলাইজেশন কর্মসূচি চালাচ্ছে শিক্ষক জাতি- দুনিয়ার কোন পিলের ক্ষমতা আছে পেট বাঁধা ঠেকায়? পৃথিবীর ওপেন সিক্রেট হল যেমন ‘সেক্স’- দ্বিতীয় ওপেন সিক্রেট হল- তুমি পাঁচ ছয় মাসের প্রেগন্যান্ট। কি হল? আবার লাল হচ্ছেন কেন? আপনাকে তো আর প্রেগন্যান্ট বলছি না। শাহেদার কথা বলছি। পেটের কৃমির দোষ দেয়ার বয়স কি আর সিক্সে থাকে? পেট ফুললেই দুধের বাচ্চাও এই দেশে বলতে পারে প্রেগন্যান্ট হয়েছে মেয়ে। শাহেদার বিষয়টাও এজন্য বেশিদিন আর চাপা থাকেনি।

ঐ যে কোঁদালটা দেখছেন? দ্যাট ওয়াজ দ্য লাস্ট সিম্বল অব লাভ এন্ড সেক্স! কি হলো? এভাবে রক্তলাল চোখে তাকাচ্ছেন কেন? সিম্বল অব লাভ বলাতে? আরে ভাই ওটা শাহেদের জন্য বলেছি নাকি? মাস্টার সাহেবের জন্য বললাম। আপনার কি ধারণা তিনি ভালবেসে সেক্স করেননি? আপনি দেখি বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন! প্রতিটা রেপিস্টই তাদের রেপকে পবিত্র জ্ঞান মনে করে সেটা শুরু করে। শেষ করার পর তার সাইকোলজি অনুযায়ি ভেরি করবে। কিন্তু পবিত্র জ্ঞান না করলে- সে সেটা করতে পারবে না। অন্তত কোনো পুরুষের পক্ষে সম্ভব না।

হা হা হা! হোক সেটা সুস্থ মনে কি মাতাল দশায়। এজন্যই ‘লাভ’ বললাম। গম্ভীর হয়ে গেলেন কেন? রসিকতায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন? মানুষ এতো শখ করে রেপের ভিডিও দেখতে পারে, পত্রিকায় কাহিনী পড়তে পারে- আমি একটু রসিকতা করলেই দোষ? বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন জীবনে একটাও ব্লু ফিল্ম দেখেননি? হাহ্‌! আচ্ছা থাক্‌, বাদ দিন ওসব। কোঁদালের প্রসঙ্গে ফিরে আসি। কোঁদালটা দেখে কি মনে হচ্ছে আপনার? এই স্যাঁত স্যাঁতে স্টোর রুমের বালি, সিমেন্ট আর রডের মাঝে এই কোঁদাল কি এমন অর্থ বহন করে? একটু কল্পনা করুন তো, একটা বারো বছরের কিশোরী প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা এই আবছা অন্ধকার ঘরে কতটা ভয় আর আতংক থাকলে স্বেচ্ছায় রেপ হতে আসে? বয়স্ক একটা ষাঁড়ের মত লোক যখন চড়াও হয় ওর ওপর- পৃথিবীর আলোটুকুর প্রতি তীব্র তৃষ্ণা জাগে কি না ওর মাঝে? সে চোখ বন্ধ করে থাকে না।

সে সূক্ষ্ম আলোগুলোর দিকে আকুতি নিয়ে তাকিয়ে থাকে- কি মনে হয়? ও আচ্ছা! আপনি তো আর শাহেদা না। আপনার তো শাহেদার অবস্থা টের পাওয়ার কথা না। পত্রিকা কিংবা গল্প শুনে এক্টিভ পারসনের অনুভূতি টের পাই আমরা। পেসিভ ব্যক্তির আলোর তৃষ্ণার খবর আমাদের রাখাটা উচ্চমার্গীয় বিলাসীতা। এ্যাঁ? কোঁদাল? অ।

বার বার প্রসঙ্গ থেকে সরে যাচ্ছি। শেষ বৃহস্পতিবারটায় আব্বাস সিদ্দিক আসেনি। স্কুল ছুটির পর ফুলতে থাকা পেটটা নিয়ে শাহেদা ঐখানটায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল হয়ত কিছু বলার। আশেপাশে তখন অনেক বালু ফেলে রাখা হয়েছিল কন্সট্রাকশনের কাজের জন্য। আব্বাস সাহেবের অপেক্ষায় মিনিট পেড়িয়ে ঘন্টা হচ্ছিল- তিনি আসেননি।

পেট ফোলা মেয়ের কাছে আসার রুচি থাকে নাকি? আরো নতুন কচি কচি কত ছাত্রী ঘুরে বেড়াচ্ছে চোখের সামনে। সমতল পেটে চাষ করে দেয়ার জন্য ব্যতি ব্যস্ত! শাহেদার খবর রাখার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। পিলে কাজ হয়নি যখন- থাকুক শালি ওর মত! মুখ তো আর খোলার উপায় নাই। আবেগাপ্লুত হচ্ছেন মনে হয়? নাকি ভুল দেখলাম? হতেও পারে। যাগ্যে।

কোঁদালটার পাশেই বসে মেয়েটা এক বোতল বিষ খেয়েছিল। ভাবতে পারছেন মেয়েটা অন্ধকার একটা ঘরে বালুর মাঝে বসে এক বোতল বিষ খাচ্ছে পুরাতন আর নতুন জীবন দুটোকেই পিষে মারতে? এতটুকু মেয়ে বিষ পাবে কোথায় ভাবছেন? শুনেছি শাহেদার মা-বাবাই নাকি বিষের বোতলটা দিয়েছিল মেয়েকে। যেই আঁতুড় ঘরে পাপের সূচনা- কবরটাও সেখানেই রচনা করুক। কি লিখছেন কাগজ কলম বের করে? ওউঁ! কবিতা? বাঃ চমৎকার লিখেছেন তো! “উর্বরা ক্ষেতটায় আগুন ঢেলে শস্য পোড়াচ্ছিল মেয়েটি- অথচ চোখ ছিল সিলিঙয়ের ফাঁক গলে নেমে আসা এক চিলতে আলোর দিকে.......” ও কি! চোখ মুছছেন কেন? আপনাকে তো এরকম কবিতা আরো অনেক লিখতে হবে। শাহেদার কাহিনী থানার ডায়েরিতে লেখা হয়ে গেছে, পত্রিকাতেও লেখা হয়ে গেছে।

এখন মুক্ত প্রদর্শনী শেষে সাহিত্যের মিউজিয়ামে জায়গা করে নেয়াটাই বাকি আছে। আপনি সেটা সেরেও ফেলেছেন প্রায়। প্রশংসা না করে পারছি না। কিন্তু কবিতা এতো বড়ো করে লিখছেন যে? ডায়েরি শেষ হয়ে গেলে বাকিদের নিয়ে লিখবেন কোথায়? কি আশ্চর্য! রেগে যাচ্ছেন কেন? প্রশংসাই তো করলাম! আপনি ঘুরে ঘুরে দেখবেন, কাহিনী শুনবেন আর লিখে যাবেন। মাঝে মাঝে রাত জাগা দণ্ডের ঝিমিয়ে যাওয়ার পর বিবেকের দণ্ডকে জাগ্রত করে হুংকার দিতে হবে না? দিনের বেলা পেসিভ সত্ত্বাদের জন্যও জাগতে হয়।

চা খাবেন আরেক কাপ? এবারেরটা দার্জিলিং থেকে আনা। আমার বড় শালা নিয়ে এসেছে। চিনি কয় চামচ দেবো? (সমাপ্ত) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।