আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মল্লিকার অরণ্যে

মেয়েটি স্বপ্ন দেখেন, কীভাবে আরেকটু ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তাঁর সব স্বপ্ন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ঘিরে। বলছিলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হওয়া মল্লিকা রায়ের কথা। শুধু নিজ বিভাগেই প্রথম নন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদেও প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তাঁর অর্জনের খাতায় যোগ হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’।


প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পাওয়ার পর কেমন লেগেছিল সেদিন? উত্তরে মল্লিকা বলেন, ‘দারুণ এক অনুভূতি! সে ভালো লাগা বলে বোঝাতে পারব না!’ পড়ার এত বিষয় থাকতে সে ক্ষেত্রে অর্থনীতি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুরুতে আমি মেরিন সায়েন্স বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, যেহেতু আমি ছিলাম বিজ্ঞানের ছাত্রী। কিন্তু আমি খেয়াল করলাম, এ বিষয়টির প্রতি আমার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে না। তাই দ্বিতীয়বার আমি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়টি নিয়ে ভর্তি হই। আর তখন থেকে আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, কীভাবে ভালো ফল করা যায়। তাই শুরু থেকে আমি আগ্রহ নিয়ে পড়াশোনা করেছিলাম।

’ তাঁর চেষ্টা বৃথা যায়নি। বিভাগীয় ফলই তার প্রমাণ।
শুধু পড়াশোনায় নয়, এর বাইরেও তিনি অনেক কিছু করেন। বলে চলেন মল্লিকা, ‘আমি স্কুল-কলেজে গার্লস গাইড, স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। শখের বশে উপস্থাপনাও করেছি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।

আর শিখেছি গান। ’ শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পীদের একজন তিনি। এ কথা শোনার পর একটু অবাকই হতে হলো। প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম, একসঙ্গে এত কিছু করেন কীভাবে? একটু ভেবে নিয়ে তিনি বললেন, ‘কথায় আছে না—পড়ার সময় পড়া, খেলার সময় খেলা। আমি এই জিনিসটা মাথায় রেখে কাজ করি।

আর রুটিনমাফিক চলার চেষ্টা করি। তারপর সবকিছুই কেমন করে জানি ঠিকঠাকমতো হয়ে যায়। ’
দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে মল্লিকা বড়। বাবা দীনেশ রায় কুয়েতে চাকরি করেন আর মা গৃহিণী। পড়াশোনা থেকে শুরু করে সব কাজে উৎসাহ পেয়েছেন পরিবারের কাছ থেকে।

এ ছাড়া পরিবারে তাঁর নানি ও খালার কাছ থেকেও পেয়েছেন অনেক অনুপ্রেরণা। অবসরে সময় কাটে কীভাবে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গান শুনি আর মাঝেমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করি। এ ছাড়া বই পড়ি। আর আড্ডা দিতেও ভালো লাগে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিই। আমাদের আড্ডা চলত ক্যাম্পাসের শাটল ট্রেনে।

শাটল ট্রেন নিয়ে আছে অনেক মজার স্মৃতি। সেসব মনে পড়লে এখনো হাসি পায়। ’
মল্লিকা বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি এমফিল করছেন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ কীভাবে প্রভাব ফেলছে তার ওপর। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে উচ্চতর গবেষণা করতে চান।

আর তাঁর গবেষণাকে কাজে লাগাতে চান বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।