রেকর্ড রান চেজ করে এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারালো ভারত। বিরাট কোহলির ধ্রুপদী ব্যাটিং এর কাছে ৬ উইকেটে হারলো পাকিস্তান। কোহলির ব্যাট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে এতটা তাণ্ডব চালাবে তা কে ভেবেছিলো। পাকিস্তানি বোলারদের ভালো লেংতের বলগুলো কোহলি তার নিজস্ব ঢং খেলে বাউন্ডারিতে পরিণত করছিলো।
পাকিস্তানের কোনো বোলারই কোহলির ব্যাটিং এর কাছে পাত্তা পায়নি।
মাঠের সব জায়গা দিয়ে কোহলি পাকিস্তানী বোলারদের পিটিয়েছেন। যে কারণে পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাউল হক কোহলির জন্য ফিল্ডিং সাজাতে ব্যর্থ হয়েছেন। বার বার ফিল্ডিং পরিবর্তন সেটাই প্রমাণ করে। অবশেষে শরীর ক্লান্ত অবস্থায় ১৮৩ রানের মাথায় ক্যাচ তুলে দিয়ে কোহলি বিদায় নেয়। কিন্তু ততক্ষণে ভারতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন কোহলি।
পাশাপাশি ফাইনালে যাওয়ার আশা। ১৮ বোলে ১২ রান বাকি থাকতে কোহলি আউট হোন। অধিনায়ক ধোনির চারে ভারত জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান।
বিরাট কোহলি। কয়েক দিন আগেই হোবার্টে বিস্ময়কর ১৩৩ করে এসেছেন।
কিন্তু যত দিন ভারত-পাক ক্রিকেটের মহাযুদ্ধ থাকবে, তত দিনের জন্য কোহলির নাম একেবারে ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে গেল। যে ইনিংস তিনি রবিবার মীরপুরের মাঠে খেলে গেলেন, তা কোনও ভারতীয়ের খেলা সর্বকালের সেরা ওয়ান ডে ইনিংসের তালিকায় ঢুকে পড়তে বাধ্য। বরং তর্ক উঠে যেতে পারে এটাই সর্বসেরা কি না। তিরাশির বিশ্বকাপে টানব্রিজ ওয়েলসে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে কপিল দেবের ১৭৫ নট আউট-কে আজও ধরা হয় ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ওয়ান ডে ইনিংস।
কোহলির আজকের ইনিংসের পরেও কি তর্কাতীত ভাবে সেটা আর বলা যাবে? জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৭ রানে পাঁচ উইকেট হয়ে যাওয়া ভারতকে টেনে তোলা কপিলের অবিশ্বাস্য ১৭৫ নট আউট? নাকি এ দিন ৩২৯ তাড়া করতে নেমে ২.১ ওভার বাকি থাকতে ছয় উইকেটে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে চূর্ণ করা বিরাট কোহলির ১৪৮ বলে ১৮৩? কোনটা আগে থাকবে?
আরও কত সব ওয়ান ডে মণিমুক্তো নিয়েও তো টানা-হ্যাঁচড়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
ভিভ রিচার্ডসের ১৮৯-ও যার মধ্যে এসে পড়ছে। সচিন তেন্ডুলকরের প্রথম ওয়ান ডে ডাবল সেঞ্চুরি। সেটা ভেঙে সহবাগের নতুন রেকর্ড তৈরি করা ইনিংস। শারজায় তেন্ডুলকরের খেলা পরপর দু’টো মহাকাব্যিক ইনিংস।
ঢাকাতেই সৌরভের একটা দুর্দান্ত ম্যাচ জেতানো ইনিংস ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
সব নতুন করে যেন এসে পড়ছে বিচারকের টেবিলে। শেষ পর্যন্ত কোহলির আজকের ১৮৩ সেরার সেরা স্বীকৃতি পাবে কি না, সেটা হয়তো তর্কের ব্যাপার। কিন্তু যেটা নিয়ে কোনও তর্কের অবকাশ নেই তা হচ্ছে, মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার তফাতে ভারতীয় ক্রিকেটের খুব উজ্জ্বল দু’টো দিন মঞ্চস্থ হয়ে থাকল মীরপুরের মাঠে। ১৬ মার্চ যখন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর শততম সেঞ্চুরির বিরল মুকুট জয় করলেন। আর ১৮ মার্চ যখন বিরাট কোহলি নামক দিল্লির তরুণের উদ্দাম রথে চড়ে ৩২৯ তাড়া করেও পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল ভারত।
কোহলি আউট হয়ে ফিরছেন… দেখা গেল পাক টিমের অনেক ক্রিকেটার এসে পর্যন্ত পিঠ চাপড়ে দিয়ে গেলেন। সচরাচর ভারত-পাক ম্যাচে যা দেখাই যায় না।
সংক্ষিপ্ত স্কোর কার্ড পাকিস্তান ৩২৯/৬(৫০ ওভার), হাফিজ ১০৫, নাসির জামশেদ ১১২
ভারত ৩৩০/৪(৪৭.৫ ওভার) বিরাট কোহলি ১৮৩, রোহিত শর্মা ৬৮, টেণ্ডুলকার ৫২।
ফলাফল ভারত ৬ উইকেটে জয়ী। সংবাদের সূত্র এই লিংকে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।