আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রঙ্গভরা এ বঙ্গদেশ (চলছে গাড়ি, যাত্রাবাড়ি)

হৃদয়ে থাকুক বসন্ত একটা কৌতুক মনে পড়লো- "এক গ্রামে এক সরকারী কর্মকর্তা গেলেন, দায়িত্ব পেয়ে। অফিসে বসে একদিন পুরানো ফাইল ঘেঁটে দেখলেন, একটি পুকুর খনন প্রকল্প! সেখানে গ্রামবাসীর বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য একটি পুকুর খনন করা হয়েছে। কর্মকর্তা অবাক হয়ে দেখলেন, কোনো পুকুরই খনন করা হয়নি! সেখানে খরচ হয়েছে ৪ লক্ষ টাকা! এই কর্মকর্তাও রসিক ছিলেন। তিনি ঐ ফাইলে লিখলেন, পুকুরের পানি পচে গেছে। সেই পানি খেয়ে সবাই অসুস্থ হচ্ছে।

তাই পুকুর ভরাট করা হলো। খরচ ৫ লক্ষ টাকা। নিজের পকেটে ৫ লক্ষ টাকা পুরে কর্মকর্তা সুখের হাসি হাসলেন। " বঙ্গবন্ধুর নামে একটা বিমানবন্দর চাই। আড়িয়ল বিলের পাশে হবে এ বিমানবন্দর।

সুখবর বটে! দেশে বিমানবন্দরের নামে অনেক জায়গা বরাদ্দ আছে। সেগুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেগুলো ঠিক না করে, নতুন এক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সুখবর বটে! আরেকটি কৌতুক মনে পড়ে গেলো। এটা একটু অশ্লীল! তবু বলি, "এক গ্রামে নতুন হুজুর এসেছেন।

তিনি আবার পর্দা প্রথা মেনে চলতে সব মহিলাকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। কট্টর এই হুজুরের ভয়ে সব মহিলা পর্দা মেনে চলেন। মাথায় ঘোমটা দিয়ে চলেন। তো একদুপুরে হুজুর যাচ্ছিলেন, একটা পুকুরের পাশ দিয়ে। পুকুর থেকে সদ্য গোছল করে উঠেছেন, এক মহিলা।

বুকে শুধু একটা গামছা দিয়ে আছেন। উদ্দেশ্য কাছেই ঘর, ঘরে গিয়ে শুকনো কাপড় পড়বেন। পড়ে গেলেন হুজুরের সামনে। সঙ্গে সঙ্গে গামছাটা বুক থেকে টেনে মাথায় ঘোমটা দিয়ে হুজুরকে সালাম দিলেন, মহিলা। মাথায় যে কাপড় দেয়া চাই!" আমাদের হয়েছে সেই দশা।

হোক। আরো বেশি প্রকল্পের অনুমোদন হোক। আর আমরা হরিলুট দেখি। আমরা দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। প্রায় একবছর পর সংসদে গেলো বিএনপি।

জনগনের পক্ষে কথা বলতে? সে আশায় গুড়ে-বালি। তারা গেছে, তাদের সদস্যপদ ধরে রাখতে। সেখানেও আজ হাতাহাতির উপক্রম। সংসদ ভবন কি বেশ্যা পাড়া হয়ে গেছে? ভাগে না বনলে, হাতাহাতি-গালাগালি। আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্র সীমার বিরোধ মেটাতে চায় ভারত।

কেনো? মিয়ানমার আন্তর্জাতিক আদালতে হেরে গেছে বলে? এই ভয়ে? ভারতের সাথে আমাদের আলোচনা সবসময়ই ফলপ্রসু হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়েছে। তিস্তা চুক্তি হয়েছে। এটাও হবে। হায়রে মানুষ।

বন্ধুর সাথে কিসের আলোচনা? ভারতকে সবটাই দিয়ে দিলে কি হয়? বন্ধুত্বের মর্ম এ জাতি বুঝলোনা। সাগর-রুনি হত্যার খুনিদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ধরার কথা ছিলো। ৪৮ দিন পেরিয়ে যাচ্ছে! জগতের সকল প্রানী সুখে থাকুক। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।